ভাষার মাধ্যমে মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করে। প্রতিটি জাতির কাছে তার মাতৃভাষার গুরুত্ব জীবনের থেকেও দামি। আর বাঙালি জাতির কাছেও তার মাতৃভাষার গুরুত্ব কতটুকু সেটা ইতিহাস অনুসন্ধান করলে বুঝা যায়। বাঙালি জাতি এমন একটি জাতি যারা ভাষার জন্য নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে পিছপা হয়নি। তারা নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছে ভাষার জন্য। তাই আমরা অনেকেই এই ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ কে হয়েছিলেন এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বেশ আগ্রহী। আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেবো আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে। আপনারা যারা এই বিষয় টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমাদের ওয়েব সাইটে থাকা আর্টিকেলটি সম্পূর্ণটি পড়ুন আর জেনে নিন এই বিষয়টি সম্পর্কে।
ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক একটি ঘটনা। এ আন্দোলন বাঙালির জাতীয় চেতনার ভিত্তি আরো শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই উর্দু আর বাংলা ভাষা নিয়ে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মুসলিম নেতৃবৃন্দের মধ্যে বির্তক দেখা দেয়। সে সময় পাকিস্তান রাষ্ট্রের গর্ভনর মোহাম্মদ জিন্নাহ আলী খান পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দু কে সমর্থন করেন এবং রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দু কে ঘোষণা করেন। আর উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করার কারণে এক বিশাল আন্দোলনের রূপ নেয়। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন আরো চারিদিকে ছড়িয়ে তীব্র আকার ধারণ করে। তারা বাংলা ভাষার দাবিতে চারিদিকে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর ধারণ করে।
অবশেষে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে সমগ্র পূর্ব বাংলা সাধারণ মানুষ ধর্মঘট ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু এই বিক্ষোভ সমাবেশ করতে না দেওয়ার কারণে পূর্ব পাকিস্তান সরকার পরিকল্পনা অনুসারে ১৪৪ ধারা জারি করে। যেখানে বলা হয় সকল ধরনের সভা সমাবেশ মিছিল মিটিং এগুলো করা নিষিদ্ধ। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজ এই বিষয়টা কোনভাবে মেনে নিতে পারেনি। তারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে নেমে পড়েন। আর এই ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার কারণে পুলিশ ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাথাড়ি ভাবে নির্বিচারে গুলি চালায়। আর এই গুলিতে সালাম,রফিক বরকত ,জাব্বার সহ নাম জানা না জানা আরও অনেক ছাত্র শহীদ হন। তবে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী তে ভাষা আন্দোলনে প্রথম একসাথে শহীদ হন রফিক উদ্দিন আহমদ ও আবুল বরকত তবে শহীদদের তালিকায় রফিকের নাম সব সময় আগে থাকে।
মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে বাঙালি জাতিকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। প্রতি ক্ষণে ক্ষণে ও প্রতিটি মুহূর্তে বাঙালি জাতিকে বাধা অতিক্রম করেতে হয়েছে। অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বাঙালি জাতি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা অর্জন করতে পেরেছে। তবুও বাঙালি জাতি হাল ছেড়ে দেননি বাংলা ভাষার আদায়ের দাবিতে প্রতিটি মুহূর্তে আন্দোলন করে গিয়েছে। পাকিস্তান সরকার বাংলা ভাষার বিপক্ষে প্রতিটি মুহূর্তে বিরোধিতা করেছে তবুও বাঙ্গালী জাতিকে তাদের রাখতে পারেনি পাকিস্তান সরকার। বাংলা ভাষা মাতৃভাষা হিসেবে দাবি আদায়ের বাঙালি অটুট ছিল। কোন বাধাই তাদেরকে সীমাবদ্ধ করতে পারেনি। প্রতিটি বাধা পেরিয়ে মাতৃভাষা বাংলাকে জয় করেছে।
বাংলাদেশের প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা আন্দোলন শহীদদের বিনিময়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এই দিনটি বাংলাদেশের জাতীয় দিবস গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দিবস। একুশে ফেব্রুয়ারি এই দিনটিতে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালন করে ও রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটি পালন করা হয়। শহীদদের শ্রদ্ধা জন্য একুশে ফেব্রুয়া রি সকালে খালি পায়ে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করি। আর আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কে ভুলিতে পারি এই গানটি গেয়ে ভাষা আন্দোলন কারী শহীদদের স্মরণ করি।
ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ কে আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে চান আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত করি। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিন।