অনিশ্চয়তা নীতির জনক কে

আমরা সাধারণত অনিশ্চয়তা নীতি বলতে বুঝি একটি নির্দিষ্ট সময়ে পরমাণুর মধ্যে কোন একটি ইলেকট্রনের অবস্থান ও ভরবেগ একই সাথে নির্ণয় করা যায়। আমরা সকলেই হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতির নামও শুনে থাকবো। এই পদার্থবিদ ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ ১৯২৭ সালে উল্লেখ করেন যে কোন কণার অবস্থান এবং ভরবেগ একই সাথে নির্ভুল এটি নির্ণয় করা সম্ভব নয়। কারন এই ভরবেগটা যত নির্ভুল ভাবে সৃষ্টি করা যাবে এটা তত অনিশ্চয়তার দিকে সৃষ্টি হবে। তাই আমরা অনেকেই অনেক সময় এই অনিশ্চয়তা নীতির জনক কে এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আর এই প্রশ্নের উত্তরটি জানার জন্য আপনারা গুগলসহ ইন্টারনেটের অনেক জায়গায় অনুসন্ধান করছেন তাই আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে কাঙ্খিত এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জানিয়ে দেব। এই ধরনের ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর গুলো আমরা প্রতিনিয়ত আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করি। আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এই প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে জেনে নিতে পারবেন।

বিজ্ঞানের মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম একটি শাখা হলো পদার্থ বিজ্ঞান আর পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম একটি বিষয় হলো অনিশ্চয়তা নীতি। তাই পদার্থের কোন একটি কণা যে কোন মূহুর্তে ঠিক কোথায় আছে, তা জানার জন্য আমাদেরকে কণাটির উপর আলো ফেলতে হবে। যার সাহায্যে আমরা এর অবস্থান নির্ণয় করতে পারবো। কারন ইচ্ছামত কোন ক্ষুদ্র আলো ফেললে হবে না। কোন কণার অবস্থান এবং ভরবেগ একই সাথে নির্ভূল ভাবে নির্ণয় করা সম্ভব নয়। এদের একটি কে যতটা নিখুঁত করা হবে, অন্যটি তত অনিশ্চিত হবে। যদি আলো না ফেলে চেষ্টা করি, সে ক্ষেত্রে এর গতিপথ পরিবর্তন না ঘটার কারণে এর ভরবেগ সঠিক ভাবে মাপা যাবে না। সে ক্ষেত্রে সেই গতিবেগের অবস্থানটা নির্ণয় করা সম্ভব হবে না।

আমাদের মধ্যে অনেকেরই অনিশ্চয়তার নীতি সম্পর্কে অনেক ধরনের মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে মনে করেন এ কেমন নীতি যে বিজ্ঞানী এই নীতি আবিষ্কার করেছে সে নিজে জানেনা। আসলে বিষয়টি অন্যরকম অনিশ্চয়তা নীতির ক্ষেত্রে আসলে এর উদ্ভাবকের অনিশ্চয়তার জন্য তৈরী হয়নি। ফোটন ব্যবহার করে ভরবেগ নির্নয়ে জন্যই অনিশ্চয়তা জন্য এই নীতির নাম অনিশ্চয়তা নীতি। আর জার্মান পদার্থবিদ ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ এই মৌলিক নীতিটি আবিষ্কার করেন। তাই ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ কে অনিশ্চয়তা নীতির জনক বলা হয়। অনেকে এই নীতিটির নাম হাইজেন বার্গের অনিশ্চয়তা নীতি বলে জানেন। এই বিষয়টির ওপর তার বিশেষ অবদানের জন্য তাকে এই নীতিটির জনক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *