ত্রিকোণমিতি হচ্ছে গণিত বিভাগের একটি বিশেষ শাখা। ত্রিকোণমিতি শব্দটি একটি গ্রিক শব্দ। ত্রি যার অর্থ হলো তিন এবং মিতি শব্দের অর্থ হলো পরিমাপ। অর্থাৎ ত্রিকোণমিতির শব্দের অর্থ দাঁড়াচ্ছে তিন কোণের পরিমাপ। তাই আমরা যারা নবম দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা রয়েছি, তাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় ত্রিকোণমিতির জনক কে তাছাড়া অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের প্রশ্ন আমাদের সামনে চলে আসেন।
তাই আপনারা যারা এ প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এই প্রসঙ্গে জানিয়ে দেবো। এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাছাড়া আপনাদের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের শিক্ষা সংক্রান্ত ও আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করি। আপনারা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইডে ভিজিট করে জেনে নিতে পারবেন।
গণিতের গুরুত্বপূর্ণ শাখার মধ্যে ত্রিকোণমিতি অন্যতম। সাধারণত গণিতের যে শাখায় ত্রিভুজের তিনটি কোণ ও তিনটি বাহুর পরিমাপ এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় তাকে সাধারণত ত্রিকোণমিতি বলা হয়। আধুনিক গণিত সম্পর্কে বিশেষ ধারণা রাখতে হলে অবশ্যই ত্রিকোণমি তির জ্ঞান রাখা জরুরী। আর সাধারণত ত্রিকোণমিতিতে শুধু কোনেরই আলোচনা হয় না এখানে বিশেষ করে তিনটি বাহু নিয়েও এই শাস্ত্রে আলোচনা করা হয়। আমার অনেক সময় বিশেষ বিশেষ কাজে সমকোণী ত্রিভুজের ব্যবহার করে থাকি। তাছাড়া পরিমাপের ক্ষেত্রে উদ্ভূত নিত্য-নতুন জটিল সমস্যা সহজে সমাধানের জন্যই ত্রিকোণমিতির আবির্ভাব। আর এই বিষয়টি আবিষ্কারের ফলেই খুব জটিল বিষয় গুলি খুব কম সময়ে সমাধান করা সম্ভব হয়।
আমরা সাধারণত কমবেশি সবাই জানি গণিতের অন্যতম শাখা হলো জ্যামিতি আর জ্যামিতির বিশেষ অংশ হল ত্রিকোণমিতি। আর বহু প্রাচীনকাল আগ থেকেই গাণিতিক বিদ্যায় ত্রিকোণমিতির ব্যবহার হয়ে আসছে। তাই সূর্যের গতি ও সময় নির্ণয়ের প্রাচীনতম যন্ত্র হিসেবে শ্যাডো স্টিক এ প্রথম ব্যবহার হয়েছিল এই ত্রিকোণমিতি তে। তাছাড়া যুগের পর যুগ ত্রিকোণমিতির আবির্ভাব এর ফলে নানান ধরনের সুবিধা ভোগ করে চলেছে মানুষ। ত্রিকোণমিতি ব্যবহার করে অনেক ধরনের অত্যাধুনিক ঘড়ি আবিষ্কার হয় যেগুলো বিভিন্ন নক্ষত্রের সাহায্যে সময় নির্ধারণ করতে পারেন। তাছাড়া ত্রিকোণমিতির সাহায্যে জ্যোতিষীরা ঋতু নির্ণয় করে সেই সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে পূর্বভাস দিত।
ত্রিকোণমিতি সম্পর্কে আমাদের সবারই প্রাথমিক জ্ঞান থাকা জরুরী। গণিত শাস্ত্রের বিশেষ একটি অংশ হল ত্রিকোণ মিতির আর এই শাস্ত্র থেকে ত্রিকোণমিতিক অনুপাত গুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় করা যায় তাই ত্রিকোণমিতির ছাত্রীর শিক্ষার্থীদের এই বিষয়টি সম্পর্কে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের অনেকটাই ধারণা প্রদান করলাম এখন জেনে নিতে হবে ত্রিকোণমিতির জনক কে। ত্রিকোণমিতির জনক নিকাইয়ার হিপ্পারকাস। তিনি এই শাস্ত্রে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন তা ছাড়া এই বিষয়টি নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন গবেষণা চালিয়ে গিয়েছেন এবং বেশ সফলতা পেয়েছেন। তারপর থেকে তাকে ত্রিকোণমিতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
আপনাদের জন্য আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি আমরা আমাদের আজকের উপরোক্ত আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দিলাম। তাছাড়া শিক্ষা সংক্রান্ত সকল শ্রেণীর এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর আমরা আমাদের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত করি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আপনাদের যেকোন প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিন।