বিগ ব্যাং এমন একটি তত্ত্ব যেটা মহাবিশ্বের সৃষ্টি বিষয়ক একটি তত্ত্ব। বিগ ব্যাং হলো বিশ্বব্রহ্মান্ডের সবগুলাে গ্যালাক্সি একে অন্য থেকে দূরে সরে যাওয়ার মত একটি ঘটনা। বিগ ব্যাং এ মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব প্রদান করে ছিলেন। এই তত্ত্ব অনুসারে ১৩৮০ কোটি বছর আগে বিশাল বস্তুপিণ্ডের বিস্ফোরণের ফলে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল। আর সেই তত্ত্ব অনুসারে বর্তমান মহাবিশ্বের বয়স ধরা হয়। তাই আপনারা অনেকেই জানতে আগ্রহী বিগ ব্যাং তত্ত্বের জনক কে। তাছাড়া আমাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তাই আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জানিয়ে দেবো। আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্নের উত্তর আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করি। আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েব সাইডে ভিজিট করে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিতে পারবেন।
বিগ ব্যাং এই তত্ত্বটির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা ধারণা করে থাকে প্রায় পনেরশ কোটি বৎসর আগে, মহাবিশ্বের সকল বস্তু আন্তঃ আকর্ষণে একটি বৃহৎ পরমাণুতে পরিণত হয়। বিগ ব্যাং এর ফলে পদার্থ এবং শক্তি চারপাশের স্থানে ছিটকে পড়েনি। বিগ ব্যাং তত্ত্ব বলে স্থান তার মাঝে যা কিছু আছে তার সবকিছু নিয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে। সকল বস্তু ঐ স্থানের মধ্যেই ছিল তারা একে অপরের থেকে দূরে চলে যাচ্ছে প্রতি নিয়ত। তাই আমরা যখন মহা আকাশের দিকে তাকাই তখন লক্ষ্য করি বিভিন্ন গ্রহ, অজস্র তারা, গ্যালাক্সি এবং তাদের মাঝে বিস্তীর্ণ স্থান। ঐ বিস্তীর্ণ স্থান দিয়ে তারা আলাদা আলাদা ভাবে আছে। বিগ ব্যাং আদি মুহুর্তে সকল বস্তু,শক্তি আর স্থান এক শূন্য আয়তনের কিন্তু অসীম ঘনত্ব বিশিষ্ট এক বিন্দুতে সীমাবদ্ধ ছিল। বিজ্ঞানীরা এই অবস্থাকে বলেন সিঙ্গুলারিটি।
বিজ্ঞানীদের মতে বিগ ব্যাং শুধুমাত্র একটি তত্ত্ব নয় এটা থেকে আমরা মহাবিশ্বের সকল গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য জেনে নিতে পারে। বিগ ব্যাং এর এক বিলিয়ন বছর পর সম্প্রসারিত হতে হতে মহাবিশ্ব স্বচ্ছ হয়ে আসে এবং তাপমাত্রা কমতে কমতে নেমে আসে চার হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই বিগ ব্যাং তত্ত্বটি সম্পর্কে আমরা আপনাদের কে অনেক ধরনের তথ্য জানিয়ে দিলাম। এখন আমরা আপনাদের কে জানিয়ে দেব এই বিগ ব্যাং তত্ত্বটির জনক কে ছিলেন। বিগ ব্যাং তত্ত্বের জনক হলেন জি.ল্যামেটার। তবে এই তত্ত্বটি ১৯২৯ সালে বেলজিয়ামের ধর্মপ্রচারক জর্জ এদুয়ার ল্যমেত্র্ সর্ব প্রথম প্রস্তাব করেন। এই তত্ত্বের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো কোনও ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার পরিবর্তে না হয়ে একটি বিশেষ মুহূর্তে মহাবিশ্বের উদ্ভব হয়েছিল।