বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক কে

বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক কে আপনারা অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বেশ আগ্রহী। আপনারা প্রতিনিয়ত এ বিষয়টির সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য গুগল সহ ইন্টারনে টের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করছেন। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিতে চাই। এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শুরু করে শেষ অবধি ধৈর্য সহকারে পড়তে হবে। আর এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তরটি জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনাকে সর্বপ্রথম নির্বাচন করতে হবে। আপনাদের সুবিধার জন্য প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করে থাকি। তাহলে দেরি না করে চলুন দেখে নেয়া যাক এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক উত্তরটি।

কোন কাজের মূল পরিকল্পনা ও কর্মীদের পর্যবেক্ষণের একটি মূল প্রস্তাবনা বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে। সাধারণত বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা হলো কাজের বৈজ্ঞানিক অধ্যয়ন এবং কাজকে এর ক্ষুদ্রতম কারিগরী উপাদান সমূহে বিভক্তি করণ এবং তারপর তাদের সবচেয়ে দক্ষ সমাবেশে পুনর্বিন্যাস করণের মাধ্যমে একটি সঠিক তথ্য প্রদান করা। কর্মীদের ইচ্ছামত কাজ করা স্বাধীনতা প্রণয়ন ও দক্ষ কাজে র জন্য ব্যবস্থা পরিষদ যা বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা কে পরিবর্তন করে। তাই বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা শ্রম বিভাজন, সময় এবং গতিবিদ্যা, কাজের পরিমাপ এবং অংশ হার ও মজুরির মাধ্য মে কাজের যুক্তি যুক্তকরণ এবং মান নির্ধা রণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার মতবাদের মূল সূত্র হলো বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে একটি প্রয়োগ।

বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা হলো চিন্তার একটি ধারা। যেটা দ্বারা নিজের মনোভাব প্রকাশিত করা হয়। যে সকল অবস্থার ওপর বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা সাফল্য নির্ভরশীল, সেসব অবস্থাতে বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার ওপর উৎপাদিত করা হয়। বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা গতানুগতিক পন্থা ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বর্জন করে। বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে প্রতিটি শ্রমিকের জন্য কার্য ও দায়িত্ব নির্ধারণ করে এবং কার্যের প্রত্যেকটি স্তরে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রবর্তন করে। যা বিজ্ঞান ভিত্তিক অনুসারে বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শ্রমিকদের বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রশিক্ষণের জন্য বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনাটি অন্যতম। এই ব্যবস্থাপনায় ব্যক্তিগত ভাবে সকল শ্রমিকের এবং সামগ্রিক ভাবে শিল্পের দক্ষতা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

শিল্প জগতে বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার দর্শন যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছিল। কিন্তু এ পরিবর্তন বেশি দিন স্থায়িত্ব ছিল না তা খুব দ্রুতই পরিবর্তন হতে থাকে। প্রথমদিকে বহু শিল্পপতি বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার দর্শনে মুগ্ধ হন এবং এর প্রয়োগে উৎসাহী ও যত্নশীল হন। কিন্তু এই নীতির পরস্পর বিরোধিতা ও সমালোচনার সৃষ্টি হতে থাকে। তাই এই ব্যবস্থাপনার কিছু অসুবিধা সৃষ্টি হয় আর এই অসুবিধা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো। বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার কার্য ক্রম অনুসরণ করতে হলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। তাই এ পদ্ধতি অনেক ভুল তাই মাঝারি ও ছোট শিল্পরা এই অর্থ কোনভাবে বহন করতে পারবে না। এই পদ্ধতির মাধ্যমে সব সময় পরীক্ষার নিরীক্ষা চালিয়ে যেতে হয় এবং নতুন নতুন যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়।

বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনাকে পরিবর্তন করার জন্য সারা জীবন শিল্প উৎপাদন কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন এই ব্যক্তি। তিনি বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির নমুনা তৈরি করে এ গুলোকে গবেষণা করে বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার পরিপূর্ণরূপ প্রদান করে। তাই বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক হিসেবে এফ ডব্লিউ. টেইলর। যার নাম পুরোপুরি বললে ফ্রেডরিক উইন্সল টেইলর। আর তাকেই বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার পরিপূর্ণ জনক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। শিক্ষাজীবনের শুরুতে তিনি আইনজীবী হিসেবে পড়াশোনা শুরু করেন পরে ১৮৭৫ সালে ক্ষুদ্র নির্মাণ শিল্পে শিক্ষানবিশ নকশা প্রণেতা হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। আর তারপর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তিনি একের পর এক গবেষণা করে বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক হিসেবে স্বীকৃতি পান।

আশা করছি বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক কে আপনারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি থেকে স্পষ্ট ধারণা পাবেন। তাছাড়া এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো বিস্তারিতভাবে জানতে হলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *