কোয়ান্টাম তত্ত্ব পদার্থ বিজ্ঞানের খুব পরিচিত একটি তত্ত্ব আমরা যারা বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করেছি, তারা এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেক কিছু জানি। তাছাড়া প্রত্যেক বর্ণের আলোর জন্য এক একটি বিচ্ছিন্ন প্যাকেটের শক্তির নির্দিষ্ট মান রয়েছে। এই এক একটি বিচ্ছিন্ন প্যাকেট কে কোয়ান্টাম বা ফোটন বলে।আর কোয়ান্টাম তত্ত্বটি এই বিষয়টি সর্বপ্রথম উনিশ শতকের দিকে আবিস্কার করেন এক পদার্থ বিজ্ঞানী। তাই আমাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে এই কোয়ান্টাম তত্ত্বের জনক কে এই ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।
আর এ প্রশ্নটির উত্তর জানার জন্য আপনারা অনেকেই বেশ আগ্রহী। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাদের প্রশ্নের উত্তরটি বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেব। আর এই বিষয়টি আপনাকে জেনে নিতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাছাড়া এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো জানতে আপনারা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন আর জেনে নিন আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর।
১৯৩১ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিজ্ঞানী ও বিশিষ্ট এক পদার্থ বিজ্ঞানী দীর্ঘ ছয় বছর ধরে গবেষণা করার পর এই কোয়ান্টাম তত্ত্বটি আবিষ্কার করেছিলেন। আর অনেকেই জানতে চাই বিশেষ এই কোয়ান্টাম তত্ত্বটি কোন পদ্ধতিতে আবিষ্কার করেছিল তারা। সাধারণত কোয়ান্টাম তত্ত্ব হলো ভৌত ব্যবস্থা সমূহ ব্যাখ্যা করার বিশেষ একটি তত্ত্ব বা কাঠামো যে কণা পদার্থবিজ্ঞান ও ঘনীভূত পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। আধুনিক কণা পদার্থ বিজ্ঞানের বেশির ভাগ তত্ত্ব যেমন মৌলিক কণাসমূহের আদর্শ মডেল ও তাদের মধ্যকার মিথস্ক্রিয়া আপেক্ষিক কোয়ান্টাম তত্ত্বটি ব্যবহার করে পরবর্তীতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ঘনীভূত পদার্থ পদার্থ বিজ্ঞানেও এটি ব্যবহার করা হয়।
আলোকরশ্মি যখন কোন উৎস থেকে অনবরত বের না হয়ে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিচ্ছিন্ন প্যাকেট শক্তি গুচ্ছ আকারে বের হয় তখন প্রত্যেক বন্যের আলোর জন্য একটি বিশেষ নির্দিষ্ট শক্তির মান থাকে যার সাহায্যে কোয়ান্টাম তত্ত্বটি সম্পূর্ণভাবে গঠন হয়ে থাকে। আর বিজ্ঞানী ম্যাক্সপ্লাঙ্ক ১৯০০ সালে কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রদান করেন। বিখ্যাত এই জার্মানি বিজ্ঞানী বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই এই কোয়ান্টাম তত্ত্বটির জন্ম দিয়ে থাকেন। তাই আপনারা যারা জানতে চান কোয়ান্টাম তত্ত্বটির জনক কে তাদের উদ্দেশ্যে বলছি এই কোয়ান্টাম তত্ত্বটি জনক হলেন ম্যাক্সপ্লাঙ্ক। এই তত্ত্বটি তিনি আবিষ্কার করেন আর এই তত্ত্বটি আবিষ্কারের তার বিশেষ অবদান রয়েছে তাই তাকে এই তত্বটির জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তবে এই তত্ত্বটি আবিষ্কার করা খুব একটা সহজ কাজ ছিল না।