মনোবিজ্ঞানের জনক কে

মনোবিজ্ঞান মানুষ ও প্রাণী আচরণের বিজ্ঞান। এই বিজ্ঞান টি অন্যান্য মৌলিক বিজ্ঞানের মত একটি বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের যে শাখায় মানুষ ও প্রাণীর মন সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে মনোবিজ্ঞান বলা হয়। তবে অনেক বিজ্ঞানী মনোবিজ্ঞান কে আচরণ ও মানসিক প্রক্রিয়ার বিজ্ঞান হিসেবেও বিশেষ ভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। আমরা প্রথমেই বলেছি এই বিজ্ঞানটি শুধু মানুষের জন্য নয়, এই বিজ্ঞানটি আরো অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয়ে থাকে। বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রের সঙ্গে মনোবিজ্ঞানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও যোগ সূত্র রয়েছে। তাই এই মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে আপনারা অনেকেই অনেক বিষয়ে জেনে নিতে আগ্রহী। তাছাড়া আমাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞানের জনক কে এ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের কাঙ্ক্ষিত এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জানিয়ে দেব। চলুক জানা যাক এ বিষয়টি সম্পর্কে।

একজন মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে তার মন সব থেকে ভালো রাখতে হবে আগে। মন ভালো না থাকলে একজন মানুষকে সুস্থ বলে ধরা চলে না। বিজ্ঞানের জয়যাত্রার সঙ্গে সঙ্গে মনোবিজ্ঞানের জয়যাত্রা সমানতালে এগিয়ে চলেছে। মনোবিজ্ঞান এমন একটি বিজ্ঞান যা মানুষ ও প্রাণীর আচরণ এবং মানসিক প্রক্রিয়া সম্বন্ধে অনুধ্যান করে। মনোবিজ্ঞান অধ্যয়ন করা কঠিন বলে এক এক বিজ্ঞানী এক এক অঙ্গের আচরণের ওপর বিশেষ নজর দিয়ে থাকেন। একজন মনোবিজ্ঞানে একটি মানুষের মানুষের সকল মনস্তাত্ত্বিক বিষয় গুলো বুঝে নিতে পারে। মনের আচরণের পার্থক্য পরী লক্ষিত হলে আমরা অনেক সময় মনোবিজ্ঞানের পরামর্শ নিয়ে থাকি। আর একজন মনোবিজ্ঞানী মনের আচরণের পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা বুঝতে পারে।

মনোবিজ্ঞানকে সম্পূর্ণভাবে আয়ত্ত করা খুব কঠিন একটি বিষয় তবে এই বিষয়টি সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান থাকাটা আমাদের সবারই উচিত। একজন মনোবিজ্ঞানী নিজেও ব্যক্তিগত ও সামাজিক আচরণের ক্ষেত্রে মানসিক কর্ম প্রক্রিয়ায় ভূমিকা কে বোঝার চেষ্টা করেন এবং পাশাপাশি তিনি মানুষের মনের চেতনা কেউ বোঝার চেষ্টা করে থাকেন।

আমরা আপনাদের মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে অনেক ধরনের তথ্য জানিয়ে দিলাম এখন আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেব মনোবিজ্ঞানীর জনক কে মনোবিজ্ঞানের জনক সিগমুন্ড ফ্রয়েড। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়টির ওপর নানান ধরনের গবেষণা চালিয়েছেন। তিনি শরীর বিদ্যার বিজ্ঞানী ও ডাক্তার ছিলেন। আর মানুষের মনের বিষয়ে তিনি নানান ধরনের গবেষণা করে অনেক ধরনের তথ্য প্রদান করে গিয়েছেন। তাই মনোবিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য তাকে কোন বিজ্ঞানের জনক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *