আমাদের জীবনে এখন যা ঘটে চলেছে আগামী দিনে সে গুলো ইতিহাস হিসেবে রচিত হবে। ইতিহাস এমন একটি বিষয় যেটা থেকে মানুষ অনেক কিছু শিক্ষা গ্রহণ করে। আপনারা যারা নবম দশম শ্রেণীর মানবিক বিভাগের ছাত্র ছাত্রী তাদের জন্য আধুনিক ইতিহাসের জনক কে এই প্রশ্নটি র উত্তরটি জেনে রাখা ভালো। কারণ আপনারা যখন স্কুল কলেজ শেষে ভার্সিটি ক্ষেত্রে পদার্পণ করবেন তখন মানবিক বিষয় গুলো নিয়ে যখন পড়াশোনা করবেন সে সময় এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। তাই আপনারা অনেকেই আগে থেকে জেনে নিতে চান এ প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে তাই আপনারা ইন্টারনেট সহ গুগলে বারবার সার্চ করছেন এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য। আপনার গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারবেন এই বিষয়টি সম্পর্কে।
বহু প্রাচীনকাল থেকে ইতিহাসের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিহাসের আলোচ্য বিষয় গুলো খুব বিস্তারিত। সাধারণত অতীতের সব কাহিনী গুলোকে ইতিহাস হিসেবে ধরা চলে না। পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে ইতিহাসবিদরা যে ঘটনা গুলোকে সিলেক্ট করে ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা গুলোই ইতিহাস হিসেবে রচিত হয়। আর এই হিসাবে যে বিষয়গুলো প্রাধান্য পায় সেগুলো হল মানুষে র জীবনধারা সমাজ,পরিবেশ এক কথায় বলতে গেলে মানুষের সভ্যতা। আমরা ইতিহাস থেকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাই মানুষ যুগ যুগ ধরে সংগ্রামী প্রতিনিয়ত মানুষ সংগ্রাম করে বেঁচে থাকে। জন্মগত ভাবে মানুষ সংগ্রামী। পরিবেশের সাথে মানুষকে টিকে থাকতে হয়। ইতিহাস থেকে অনুসন্ধান করলে লক্ষ্য করা যায় মানুষ এভাবেই নিজেকে উন্নত সমাজ ব্যবস্থায় নিয়ে এসেছে।
ইতিহাস থেকে আমরা জেনে নিতে পারি মানুষ কিভাবে সভ্য ভাবে পরিবর্তন হয়ে মানব জীবনে ফিরে এসেছে। ইতিহাস থেকে শুধু মানুষের কর্মকাণ্ড গুলোকে খুঁজে পাওয়া যাইনা ইতিহাস থেকে মানুষের জীবনের উদ্দেশ্যে খুঁজে পাওয়া যায়। অতীতের ঘটনা গুলো বিশ্লেষণ করলে বিজ্ঞান সম্মতভাবে যা সৃষ্টি হয় তাই হলো ইতিহাস। অতীতের গুণী মানুষ গুলোর লেখা স্থাপত্য ভাস্কর্য চিত্রকলা লুকিয়ে থাকা বিষয়বস্তু গুলো হলো ইতিহাস। মানুষ আদিকাল থেকে ইতিহাস রচনা করলে ও এই বিষয়টি ইতিহাসের রচিত হয়েছে অনেক পরে। কারণ মানুষ ইতিহাস বিষয়ে তেমন একটা সচেতন হচ্ছিল না। তাই ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণ অনেক ক্ষেত্রে বাদ পড়ে গিয়েছে। আর এই ইতিহাস কে রচনা করেছিলেন হেরোডোটাস। এই মহান ইতিহাসবিদ সর্বপ্রথম ইতিহাস রচনা করেছিলেন। তাই তাকে আধুনিক ইতিহাসের জনক ও ইতিহাসের জনক বলে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
একটি জাতির মূল চেতনাকে জাগিয়ে তুলতে হলে সে জাতির ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। কারণ একটি জাতির ঐতিহ্য গৌরব ইতিহাস থেকে জানতে পারা যায়। কোন ব্যক্তি যদি নতুন প্রজন্মকে রাষ্ট্র সম্পর্কে জানতে হয় বলে তাহলে সর্বপ্রথম তাকে ইতিহাস থেকে জেনে নিতে হবে। নতুন প্রজন্ম ইতিহাস জেনে দেশের প্রতি ভালোবাসা জন্ম নেয়। তাছাড়া ইতিহাস থেকে একটি জাতির সঠিক তথ্য ও পরিচয় পাওয়া যায়। ইতিহাস থেকে একটি দেশের নাগরিকের জাতীয়বাদ ও দেশপ্রেমের সৃষ্টি হয়। প্রধানত একটি জাতির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সুন্দরভাবে আঁকড়ে ধরে থাকতে ইতিহাসের তুলনা নেই। জাতির ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক মুল্যকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে ইতিহাস। তাই ইতিহাস একটি জাতির অগ্র গতির লক্ষ্যে ব্যাপক ভাবে সহায়তা করে।
ইতিহাস থেকে বর্তমান মানুষেরা খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। কারণ ইতিহাস থেকে জেনে নেওয়া যায় মানুষ কি ধরনের পরিকল্পনা করে জীবনের এত পরিবর্তন সম্ভব। অতীতের মানুষ ভবিষ্যতের জন্য কি ধরনের পরিকল্পনা করছে বর্তমানে সেই পরিকল্পনা কি তা কম্পেয়ার করে খুব সহজেই মিলিয়ে নিচ্ছে। অতীতের মানুষ কীভাবে এই সব দায়িত্ব পালন করেছে ইতিহাস থেকে তা জানা যায় এবং এই জ্ঞান বর্তমান ও ভবিষ্যতের কাজে লাগানো যায়। ইতিহাস মানুষকে অনেক জ্ঞান প্রদান করে যা থেকে মানুষ অনেক ধরনের শিক্ষা পায়।
আশা করছি আপনারা যারা আধুনিক ইতিহাসের জনক কে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে চান আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে তা জানিয়ে দিলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন।