ইতিহাসের জনক কে

ইতিহাস বলতে আমরা বুঝি অতীতের কাহিনী। বা আমরা খুব সহজেই বলে ফেলি আজ যা ঘটে চলেছে অতীতে সেটা ইতিহাস হিসেবে রচিত হবে। আর এই ইতিহাসের মাধ্যমে একজন মানুষ একটি রাষ্ট্র তথা একজন গুণী মানুষের সকল তথ্য জেনে নিতে পারে। আর এই অতীতের কাহিনী গুলো লিপিবদ্ধ করার জন্য ইতিহাসে কিছু ব্যক্তি রয়েছে। আর সেই সব ব্যক্তি হলো ইতিহাসের জনক। তাই আপনারা ইতিহাসের জনক কে এই বিষয়টি জেনে নিতে বেশ আগ্রহী। তাই আপনাদের এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দেয়ার জন্য আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য জানিয়ে দেব। আপনারা গুগলে এই প্রশ্নের উত্তরটি সার্চ করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ওয়েব সাইট থেকে এই প্রশ্নের উত্তরগুলো খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন কারণ আপনাদের সুবিধার জন্য প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমরা লিখে থাকি।

ইতিহাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ইতিহাসের মাধ্যমে একটি রাষ্ট্রের অতীতের সকল তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় তাছাড়া ইতিহাসের মাধ্যমে একজন গুনী ব্যক্তির কি কি গুন রয়েছে সে সম্পর্কে আমরা খুব সহজেই জেনে নিতে পারি। ইতিহাস থেকে আমরা জেনে নিতে পারি আদিম যুগের মানুষেরা কিভাবে তাদের অসহায় জীবনযাপন করেছেন। আর কিভাবে সেই অসহায় জীবনযাপন থেকে আস্তে আস্তে মানুষ এত উন্নত জীবনযাপন করছে। তাছাড়া আগেকার সমাজ জীবনে কি ধরনের সংস্কৃতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল সে সম্পর্কে আমরা জেনে নিতে পারবো। আর আদিম যুগ থেকে কি পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষ সমাজ জীবনে এত পরিবর্তন ঘটলো সেই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবো।

ইতিহাসের জনক হিসেবে যে মানুষটির প্রথম নামটি আসে সে হল বিখ্যাত ইতিহাসবিদ হেরোডোটাস। তিনি গ্রীকের প্রথম ইতিহাসবিদ ছিলেন। ইতিহাসবিদ হেরোডোটাস হলো প্রথম ব্যক্তি যিনি ঐতিহাসিক বিষয় গুলোর উপর একটি বিশেষ পদ্ধতির অনুসন্ধান করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই ঐতিহাসি ক বিষয় গুলোর উপর অনুসন্ধান করে সেগুলোকে সুন্দর ভাবে লিপিবদ্ধ করেছিলেন। হেরিডেটাসের লিখার ইতিহাস গুলোর মধ্যে অন্যতম কিছু বিষয় বস্তু ছিলেন যার জন্য তাকে ইতিহাসের জনক হিসেবে খ্যাতি দান করা হয়। পঞ্চম শতাব্দীর শেষের দিকে এই বিজ্ঞানী কে এই খ্যাতিটি দান করেন। তারপরে অনেক ইতিহাসবিদের জন্ম হয়েছে আধুনিক ইতিহাসবিদ, যুগের সাথে সাথে ইতিহাসকে গবেষণা করে আরো অনেক কে ইতিহাসের জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

পৃথিবীর সৃষ্টির শুরু থেকে ইতিহাসের জন্ম। তবে অতীতের সব কিছুই ইতিহাস হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। কিছু কিছু বিশেষ মুহূর্ত বিশেষ বিশেষ দিন ও বিশেষ বিশেষ কারণে ইতিহাস রচিত হয়। পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে কোনটা ইতিহাস হিসেবে ধরা হয় সেটা নির্ধারণ করে ইতিহাসবিদরা। ইতিহাস যেমন ঘটে যাওয়া ঘটনা বিশ্লেষণ করে, তেমনি এটি ঘটার কারণ সমূহ নিয়েও আলোচনা করে। আর এই ইতিহাস থেকেই মানুষ জেনে নিতে পারে সমাজের পরিবর্তন কিভাবে ঘটেছে কিভাবে যুগের পরিবর্তন ঘটছে কোন পদ্ধতিতে যুগ পরিবর্তিত হয়। মূলত সামাজিক সংস্কৃতি ঘটনা বলি বিশ্লেষণ করে একটি ইতিহাস রচিত হয়। ইতিহাস মানুষকে অনেক কিছু শিক্ষা দান করে। তাছাড়া ইতিহাস এর মাধ্যমে মানুষ অনেক কিছু সম্পর্কে সচেতন হয়।

যে কোনো জাতি বা গুণী ব্যক্তি সম্পর্কে জেনে নিতে হলে সর্বপ্রথম সেই জাতি বা ব্যক্তির ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। একটি নতুন প্রজন্মকে একটি দেশের সম্পর্কে জেনে নিতে হলে সে দেশের ইতিহাস আগে জেনে নিতে হবে। কোন জাতির ঐতিহ্য ও গৌরবের ইতিহাস ঐ জাতিকে উৎসাহিত করে। আর নতুন প্রজন্মকে ইতিহাসের মাধ্যমে জাতির সঠিক পরিচয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হয়। নতুন প্রজন্মের দেশ প্রেম গড়ে ওঠে একটি জাতির ইতিহাসের মাধ্যমে। তাই ইতিহাস একটি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ইতিহাসের মাধ্যমে একটি জাতির আত্মপরিচয় ঘটে। বর্তমানকে ধরে রাখার জন্য ও ভবিষ্যৎ কে গঠন করার জন্য ইতিহাস সম্পর্কে জেনে রাখাটা অত্যন্ত জরুরী।

আপনারা যারা ইতিহাসের জনক কে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে আগ্রহী ছিলেন আপনাদের জন্য আমরা এই বিষয়টি সম্পর্কে কিছু তথ্য আপনাদের জানিয়ে দিলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *