শ্রেণীবিন্যাস বিজ্ঞানের একটি অন্যতম শাখা। শ্রেণীবিন্যাস হলো বিজ্ঞানের বিভিন্ন সদস্যদের যথাক্রমে সনাক্ত করণ বিজ্ঞান। শ্রেণীবিন্যাস করার মূল লক্ষ্য বা কারণ হলো এই বিশাল বিশ্বের জীব জগৎ কে খুব সহজেই ভালোভাবে জানা ও বুঝা। শ্রেণীবিন্যাস করার ফলেই আমরা আজকে খুব সহজেই বলে দিতে পারছি কোনটি কোন প্রজাতির প্রানী এবং কোন প্রাণীটি কোন গোত্রের। তাই শ্রেণিবিন্যাস আমাদের কে আরো সহজ করে দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন জীব জগৎ ও প্রণীদের জানতে ও চিনতে। তাই আমাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে শ্রেণিবিন্যাসের জনক কে এ প্রশ্নটির মুখোমুখি হতে হয়। তাই আমরা আপনাদের কে আপনাদের সুবিধার জন্য আজকে জানিয়ে দেবো শ্রেণীবিন্যাসের জনক কে। তাই আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর জেনে নিন আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।
বিশাল এই জীবজগৎ কে সহজে আয়ত্ত তো করার জন্য একটি সহজ পদ্ধতি অবলম্বন হিসেবে আবিষ্কার করা হয় শ্রেণীবিন্যাস করন। শ্রেণীবিন্যাসের উৎপত্তির মাধ্যমে জীব জগতের প্রাণী গুলোকে আলাদা আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা হয়। এই পৃথিবীতে নানান ধরনের প্রাণীকুল রয়েছে প্রত্যেক টি প্রাণী অথবা উদ্ভিদেরই একেক দেশে বা একেক অঞ্চলে একেক ধরনের নাম হয়ে থাকে। কিন্তু পৃথিবীর সকল জায়গা থেকেই একটি নামে যদি চেনা যায় তাদেরকে তাহলে বিজ্ঞানীদের জন্য গবেষণা কাজে অনেক সহজ হয়ে থাকে শ্রেণীবিন্যাস করনের মাধ্যমে। আর এসব বিষয়ে উদ্ভাবন করার জন্যই জীব বিজ্ঞানটি তে শ্রেণীবিন্যাস করনের উন্মোচন করা হয়েছে। অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে জীব বিজ্ঞানের অন্যতম একটি শাখা হলো শ্রেণীবিন্যাস করন। তাই শ্রেণীবিন্যাস এর সাহায্যে পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্বন্ধে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে সহজে অল্প পরিশ্রমে ও অল্প সময়ে জানা যায়।
বর্তমানে পৃথিবীতে উদ্ভিদ প্রজাতির সংখ্যা প্রায় পাঁচ লক্ষের মতো। আর এই পাঁচ লক্ষ উদ্ভিদ একটি থেকে আরেকটি ভিন্নতর। বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে এদের প্রত্যেকটি কে আলাদা আলাদা শ্রেণীতে সনাক্ত করা হয়ে থাকে। উদ্ভিদের শ্রেণীবিন্যাস সাধারণত তিন ভাবে হয়ে থাকে। কৃত্রিম শ্রেণীবিন্যাস, প্রাকৃতিক শ্রেণীবিন্যাস ও জাতি জনি শ্রেণী বিন্যাস। আমরা আপনাদের কে শ্রেণীবিন্যাস সম্পর্কে অনেক তথ্য জানিয়ে দিলাম। এখন আপনাদের কে জানিয়ে দেবো শ্রেণীবিন্যাসের জনক কে ক্যারোলাস লিনিয়াস কে শ্রেণী বিন্যাসের জনক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। শ্রেণীবিন্যা সে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ক্যারোলাস কে এর জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়টির ওপর গবেষণা করে পরবর্তীতে বেশ সফলতা অর্জন করেন।