রসায়নের জনক কে

বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হলো রসায়ন। বিজ্ঞানের বেশিরভাগ গবেষণা হয় রসায়নের মাধ্যমে। বিজ্ঞানের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসায়নের ভূমিকা অপরিহার্য। বহু বিজ্ঞানী ও বহু গবেষণার প্রতিফলন হলো রসায়ন। তাই আমরা অনেকেই জেনে নিতে চাই বা জানতে বেশ আগ্রহী রসায়নের জনক কে বা কে রসায়নের জনক ইত্যাদি এই বিষয় গুলো সম্পর্কে। প্রতিনিয়ত কোন না কোন ক্ষেত্রে বা কোন না কোন কোন সময় এ ধরনের প্রশ্নে গুলোর সম্মুখীন হতে হয়‌ আমাদের। তাই আপনাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে রসায়নের জনক কে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দেবো। আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদে র সুবিধার জন্য লিখে থাকি। আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেয়া যাক আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি।

বহু প্রাচীন বিজ্ঞানের মধ্যে অন্যতম একটি অংশ হল রসায়ন প্রাচীন কালে বিজ্ঞানের অন্যতম একটি আবিষ্কার ছিল আগুন। মূলত আগুন আবিষ্কারের পর থেকে মানব জীবনে রসায়নের মূল আবির্ভাব হয়েছিল। আর তাই বিজ্ঞানের বড় একটি অংশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান পালন করে রসায়নবিজ্ঞান। রসায়ন হলো বিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যা পদার্থের কাঠামো, উপাদান, ধর্ম ও পারস্পরিক ক্রিয়া বিক্রিয়া নিয়ে সব কিছু পর্যালোচনা করে থাকে। রসায়ন সাধারণত বিজ্ঞানের মূল পাওয়া তো গঠনকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই উপাদানটিতে কেমন প্রক্রিয়া হবে, উপাদানের উপস্থিত তিতি কেমন থাকবে এটা হল রসানের মূল বিষয় বস্তু।

রসায়ন সাধারণত প্রাথমিক পর্যায়ে এক ধরনের অনু। রসায়ন হলো পদার্থ বিজ্ঞান একটি বিশিষ্ট বৈশিষ্ট্য। যা এক একটি প্রাকৃতিক বিজ্ঞান গুলোকে পূরণ করে। আয়ন গুলোর সমন্বয়ে গঠিত যৌগ গুলো পূরণ করে। তাই মৌল বা যৌগ গঠন কালে এসব উপাদান যেভাবে একসাথে যুক্ত হয়, বন্ধন গঠন করে অথবা পদার্থের অভ্যন্তরীন গঠনের পরিবর্তন করে ইত্যাদি বিষয় গুলো রসায়নের আলোচ্য বিষয়। তাইতো আদিম যুগে মানুষেরা পাথরের সঙ্গে ঘর্ষণ করে আগুনের সৃষ্টি করে যেটা রাসায়নিক ভাবে উৎপাদন হয়। এটা ছিল রসায়ন বিজ্ঞানের প্রথম ও অন্যতম একটি আবিষ্কার যার মাধ্যমে এখনো মানুষ এর উপকারিতা পেয়ে চলেছে। এটা ছিল রসায়ন বিজ্ঞানের অন্যতম আবিষ্কার।

আমরা অনেকেই জেনে নিতে চাই রসায়নের জনক কে, আনুমানিক প্রায় সাতশত থেকে আটশত খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে একজন মুসলিম বিজ্ঞানী রসায়ন নিয়ে গবেষণার কাজ করেছিলেন। এ মুসলিম বিজ্ঞানী টি সর্বপ্রথম রসায়ন নিয়ে এত বেশি গবেষণা করেন যে, সে কারণে রসায়নের জনক হিসেবে তাকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। তাই তার নাম ইতিহাসের পাতায় রসায়নের জনক হিসেবে স্বর্ণা ক্ষরে লিখা রয়েছে। আর এই মহাগুনি ব্যক্তিটির নাম হল জাবির ইবনে হাইয়ান। জাবিরের রসায়ন গবেষণা একটি বিশেষ সাংকেতিক ভাষায় লিখা ছিল। যা এসব সাংকেতিক ভাষা তেমন কেউ বুঝে না। রাসায়নিক বিজ্ঞানীদের মতে এ গুলো রাসায়নিক সাংকেতিক চিহ্নিত হিসেবে ছিল।

রসায়ন অনেক পূর্বের একটি বিষয়। বহু প্রাচীনকাল থেকে মানুষ একটু একটু করে পরিবর্তন হতে শিখে শুধু পদার্থ বিজ্ঞান ও রাসায়নিকের ফলে। তাই রাসায়নিকের মাধ্যমে একধরনের অস্ত্র ব্যবহার করত৷ কপার ও টিনকে গলিয়ে একত্র করে এ মিশ্রণকে ঠান্ডা করে কঠিন শংকর ধাতুতে পরিণত করা হয়৷ এ শংকর ধাতুটিই হল ব্রোঞ্জ৷ যা রসায়ন চর্চায় প্রাচীন মিশরীয়দের অবদান অনেক। কারন তারা যে মমি তৈরি করতো তাতে তারা নানান রকমের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করতো। ফলে তারা সোনা বানাতে না পারলেও বিভিন্ন পদার্থ মিশিয়ে সোনার মত দেখতে অনেক পদার্থ তৈরি করেছিলেন এবং এসব গবেষণার বিষয় গুলো লিখে রেখেছিলেন। এসব গবেষণাকেই রসায়নের ইতিহাসে প্রথম পদ্ধতিগত রসায়নের গবেষণা বলা যায়।

আশা করছি আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের রসায়নের জনক কে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করতে পেরেছি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *