বাংলা সাহিত্যের জনক কে

একজন বাঙালি হিসেবে প্রত্যেকের বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। একজন বাঙালি হিসেবে বাংলা সাহিত্য কে অবশ্যই আমাদের ভালোবাসা উচিত। আনুমানিক খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর মাঝামাঝি বাংলা ভাষায় সাহিত্য সূত্রপাত হয়। জীবনে চলার ক্ষেত্রে বাংলা সাহিত্য আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা দান করে। তাছাড়া আমরা অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে বাংলা সাহিত্যের জনক কে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চাই বা এই প্রশ্নটির সম্মুখীন অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে হয়ে পড়ি। তাই আপনারা যারা এই প্রশ্নটির উত্তরটি সম্পর্কে জেনে নিতে বেশ আগ্রহী আপনাদের জন্য আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো নিয়মিত ভাবে প্রকাশিত করি। আপনারা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নেয়ার জন্য গুগলে সার্চ মারার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক এ বিষয়টি সম্পর্কে।

বাংলা সাহিত্য হলো সমাজের দর্পণ। বাংলা সাহিত্য থেকে মানুষ অনেক কিছু শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। বাংলা সাহিত্য হচ্ছে মানুষের সৃষ্ট শিল্প সাহিত্য ব্যাপক ও বিচিত্র একটি ধারা যেখান থেকে মানুষ তার জীবনের অনেক কিছু শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। বাংলা সাহিত্যের সামগ্রিক ইতিহাসকে তিন যুগে ভাগ করা হয়েছে। এর প্রথম যুগের নাম প্রাচীন যুগ। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ও ঐতিহাসিক যুগ হিসেবে চর্যাপদ ছিল অন্যতম। চর্যাপদ আবিষ্কারের মাধ্য মে বাংলা সাহিত্যের আবির্ভাব ঘটে। চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন বলে বিবেচিত হওয়ায় প্রাচীন বাঙালির জীবন ও সাধনা সম্বন্ধে অনেক রহস্যের সমাধান ঘটেছে এই বাংলা সাহিত্যের মাধ্যমে। যা বাঙালি জীবন আরো উন্মোচিত করে।

যারা বাংলা সাহিত্যকে ভালবাসেন বা বাংলা সাহিত্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে বা বাংলা সাহিত্যের এতোটুকু জ্ঞান রয়েছে তারা কখনো দেশবিরোধী হতে পারবেন না। তারা প্রতিনিয়ত দেশকে ভালবাসবেন দেশের প্রতিটি ধর্মবর্ণ মানুষকে শ্রদ্ধা করবেন। এমন অনেক মানুষের সংখ্যা রয়েছে যারা অন্য ধর্মের মানুষকে ঘৃণা করে অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করেনা কিন্তু বাংলা সাহিত্যের জ্ঞান যার মধ্যে রয়েছে তিনি কখনোই অন্য ধর্ম বা অন্য ধর্মের মানুষকে ঘৃণা করবে না কারণ বাংলা সাহিত্যকে এমন একটি সাহিত্য যেখানে প্রতিটি ধর্ম বর্ণ মানুষকে সমান হিসেবে দেখেন। বাংলা সাহিত্য পাঠের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির ধর্ম ,বর্ণ শিল্প ও সাহিত্যিক দেশপ্রেম ও সব ধরনের জাতি ও শ্রেণী পেশার মানুষকে এবং প্রতিটি মানুষকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে শিক্ষা দেয়। যা এই সাহিত্যিক এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় একটি অবদান।

বাংলা সাহিত্যের মধ্য যুগে অনেক প্রতিভাবান কবি সমাবেশ ঘটেছিল। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস এ ১২০১-১৮০০ সাল পর্যন্ত সময়কে বলা হয় মধ্যযুগ। তাদের বিভিন্ন ধরনের গল্প কবিতা লেখার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের ব্যাপকভাবে বিস্তরণ লাভ করেছিল। মধ্য যুগের প্রথম ও বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় নিদর্শন হল শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন। প্রথম মুসলমান সাহিত্যিকের আবির্ভাব ঘটে এ যুগে। তাই এ যুগে আবিষ্কার হয়েছিল ইউসুফ জুলেখার প্রথম কাব্যগ্রন্থটি। মধ্যযুগের অন্যতম কবি হিসেবে বাংলা সাহিত্যের বেশ খ্যাতি অর্জন করেন তার মধ্যে হলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র , মাইকেল মধুসূদন দত্ত, সুকুমার রায় সহ অনেক নামকরা কবি ও লেখক।

অতি প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত এ পর্যন্ত অনেক ধরনের বাংলা সাহিত্যের লেখক ও কবি হিসেবে অনেক অবদান রয়েছে। অতি প্রাচীনকাল থেকে মধ্যযুগ,মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগ এই তিনটি যুগেই অনেক লেখক ও কবি গভীর অবদান রেখে গিয়েছেন। তবে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে বেশি অবদান রেখে গিয়েছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি বাংলা সাহিত্যকে লিখিতভাবে রূপ দেয়ার পাশাপাশি অনেক ধরনের ভূমিকা রেখে গিয়েছেন। আর তিনি বাংলা সাহিত্যিকের প্রথম রূপকার। আর সব মিলিয়ে এসব অবদানের জন্যই বাংলা সাহিত্যের জনক হিসেবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এই কবি ছাড়াও বাংলা সাহিত্যে অনেক কবি রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত বাংলা সাহিত্যকে নতুন নতুন রূপে আবির্ভাব ঘটিয়েছে।

আপনারা যারা এ ধরনের শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করি। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং আপনাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরগুলি জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *