এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের লাল সবুজের জাতীয় পতাকা অর্জন। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের মাধ্যমে লাল সবুজের ১০ ফুট পতাকাটা অর্জন করেছে বাঙালি জাতি। তাই বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাটা সম্পর্কে অনেক সময় অনেক প্রশ্ন বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা পেয়ে থাকি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই বিষয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আর তার মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কে এই প্রশ্নটি অন্যতম। তাই আপনারা অনেকেই এই প্রশ্নটির উত্তর সম্পর্কে জেনে নিতে চান। আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দিতে চাই এই বিষয়টি সম্পর্কে। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকালি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন আর জেনে নিন এই বিষয়টি সম্পর্কে। চলুন দেরি না করে জেনে নেই এ বিষয়টি সম্পর্কে।
একটি দেশের জাতীয় পতাকা দেশের পরিচয় বহন করে। প্রত্যেকটি জাতির জন্য তার দেশের জাতীয় পতাকাটি তার জাতীয়তা সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেয়। একটু সহজ ভাবে বলতে গেলে আপনি যদি দেশের বাইরে কখনো ভ্রমণ করেন সে ক্ষেত্রে যদি আপনার হাতে দেশের পতাকা থাকে তাহলে অবশ্যই অন্য দেশের মানুষ আপনাকে কোন দেশের মানুষ সে হিসেবে চিহ্নিত করতে পারবে। তাই অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের পতাকা ও দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বাংলাদেশের পতাকাটি লক্ষ কোটি প্রাণের বিনিময়ে এদেশের পতাকা অর্জন। বাঙালিরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে এদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় ছিনিয়ে এসেছে। তাইতো এ দেশের জাতীয় পতাকা লাল সবুজের।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাটি প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন ও দপ্তর, যেমন রাষ্ট্রপতি ভবন, প্রধানমন্ত্রী ভবন, জাতীয় সংসদ ভবন ইত্যাদিতে কর্মদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত থাকে। তাছাড়া বাংলাদেশের বিশেষ বিশেষ দিন ও জাতীয় দিবস গুলোতে পতাকা উত্তোলন করা হয়। যেমন স্বাধীনতা দিবস ,বিজয় দিবস ,একুশে মার্চ দেশের প্রত্যেকটি জায়গায় প্রত্যেকটি স্থানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাটি উত্তোলন করা হয়। বাংলাদেশের জাতীয় দিবস গুলোতে সরকারি প্রতিষ্ঠান ,বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি দেশের সকল স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হয়েছে। আর কেউ যদি এই বিষয়টি অমান্য করে তার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
১৯৭১ সালের ২ এই মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশনটি স্থগিত করে এক সামরিক শাসন আইন জারি করা হয়। এর প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে যায় সারা দেশ। আর সেই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছিল এক ছাত্রদের বিশাল সমাবেশ আর সেই সমাবেশ সর্বপ্রথম উত্তোলন করা হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। সবুজ জমিনের উপর লাল সূর্যের মাঝে হলুদ রঙের বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা স্বাধীন বাংলাদেশের বার্তা দিয়েছিল যেন গোটা বাঙালি জাতিতে। স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকাটি উত্তোলনের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আলাদা একটি উদ্দীপনা তৈরি হয়েছিল। আর এই জাতীয় পতাকাটি উত্তোলনের পিছনে একমাত্র অনু প্রেরণা ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।
১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা মার্চের ২ তারিখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল য়ের কলা ভবনে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। সবুজ জমিনের ওপর লাল বৃত্তের মাঝখানে সোনালি মানচিত্র খচিত পতাকা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের পরে পুনরায় বাংলাদেশ জাতীয় পতাকে নতুন রূপে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। তবে ১৯৭২ সালের ১৭ই জানুয়ারি সরকারিভাবে নতুন ভাবে পতাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আর এই পতাকার দের ডিজাইন হিসাবে সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল সবুজের বৃদ্ধ থাকবে। সবুজ রং হবে বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতির জন্য। আর লাল বিত্তাংশ হবে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগ কারীদের রক্তের প্রতীক হিসেবে। আর এই জাতীয় পতাকাটির ডিজাইনার হিসেবে ছিলেন কামরুল হাসান। আর এই জাতীয় পতাকাটির মধ্যে শুধু বাংলাদেশের মানচিত্র টা বাদ দিয়ে নতুন পতাকাটি উত্তোলন করা হয়।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কে আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিতে আগ্রহী আপনাদের জন্য এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করা হলো। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।