বাংলা একাডেমী বাংলা ভাষা সংক্রান্ত দেশের সর্ববৃহ গবেষণা প্রতিষ্ঠা হিসেবে বেশ পরিচিত। বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা হয় বাংলা ভাষায় সংরক্ষণের জন্য ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর। প্রথমে বাংলা একাডেমির কাজ শুরু হয় গবেষণা বিভাগ অনুবাদ বিভাগ সংকলন ও প্রকাশনা বিভাগ এবং সাংস্কৃতিক বিভাগ এই মোট চারটি বিভাগের মাধ্যমে। আপনারা অনেকেই অনেক সময় এই ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে পড়েন আর সেটা হল বাংলা একাডেমির বর্তমান সভাপতি কে। আপনারা যারা এই প্রশ্নটির উত্তরটি জেনে নিতে আগ্রহী এবং এই প্রশ্নটি উত্তরটি জানার জন্য ইন্টারনে টসহ গুগলের বিভিন্ন জায়গায় বারবার সার্চ করছেন আপনাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেল টিতে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর জানিয়ে দেব আপনারা গুগলে এ সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে জেনে নিতে পারবেন চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক এই বিষয়টি সম্পর্কে।
১৯৫৩ সালে বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু ওই বছরে নানা প্রতিবন্ধকতার কারনে বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। কিন্তু পরের বছরে বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। নানা বাধা ও বিপতি পার করে বাংলা ভাষার অধিকার ও মর্যাদা সৃষ্টির লক্ষ্যের জন্য বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠান টি বাস্তবে রূপ পায়। পূর্ববাংলা সরকার বাংলা একাডেমী পরিচালনার জন্য প্রথমে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন।
বাংলা একাডেমির মাধ্যমে বাঙালি জাতির যে একটি বাংলা ভাষাকে নিয়ে ইতিহাস রয়েছে সেই ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। বাংলা একাডেমি হল ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রদান করে। বাংলা একাডেমি ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, ভাষা শহীদদের জীবনী, ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বড় একটি অবদান হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া দেশের সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের কাছে জাতির সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সময়কে ধরে রাখার জন্য বাংলা একাডেমী সব সময় কাজ করে যান। তাছাড়া বাংলা ভাষার সাহিত্যিক দলিল, বাংলা বর্ণমালার উৎপত্তি, প্রাচীন পুঁথি গুলো সংরক্ষণের জন্য বাংলা একাডেমী এক বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে ও বাংলা ভাষার প্রতি বিশেষ কৃতিত্ব অর্জনের জন্য বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠিত ও সংস্কারের দায়িত্বটি বাঙ্গালীদের।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি পূরণের পর থেকে পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা করার দাবি ওঠে। আর বাংলা গ্রামী প্রতিষ্ঠা করার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলা কে সংরক্ষণের জন্য। তাছাড়া একটি রাষ্ট্র তার নিজ মাতৃভাষা অর্জনের জন্য কি ধরনের ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে তা নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্য বিশেষ ভাবে প্রয়োজন ছিল বাংলা একাডেমী। তাই বাংলা একাডেমির প্রথম কাজ শুরু হয় সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে। চারটি বিভাগ মিলে বাংলা একাডেমির কাজ শুরু হয়েছিল। প্রথমে কাজ শুরু হয় অনুবাদ বিভাগ থেকে। তারপরে পর্যায়ক্রমে সংস্কৃতি বিভাগ ও গ্রন্থাগার বিভাগ ১৯৫৮ সালের জানুয়ারি মাসে এ দুটি বিভাগ এর মাধ্যমে কাজ শুরু হয়। এবং সর্বশেষ যে বাংলা একাডেমি কিভাবে কাজ শুরু হয় তা হলো ১৭৫৭ সালের গোড়ার দিকে আর এ সর্বশেষ বিভাগ টির নাম হল প্রকাশন বিভাগ।
বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের পরে বাংলা একাডেমি টি প্রতিষ্ঠি ত হয়। আর এ প্রতিষ্ঠান টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে অনেকেই বাংলা একাডেমির দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। আর তাই বর্তমানে বাংলা একাডেমির নতুন সভাপতি পদে নিয়োগ পেয়েছেন কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। আগামী তিন বছরের জন্য বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য প্রতিষ্ঠানের একটি করে সভাপতি প্রয়োজন আর যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিচালনা সম্ভব। তাই বাংলা একাডেমী ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়।
বাংলা একাডেমির বর্তমান সভাপতি কে আপনারা যারা এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিতে আগ্রহী আপনাদের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে তা জানিয়ে দিলাম আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আপনাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরগুলো খুব সহজে জেনে নিন।