জার্মানির প্রজাতন্ত্রীর চ্যান্সেলর হচ্ছে দেশের সরকার প্রধান।যা মূলত ১৮৬৭ সালে উত্তর জার্মান মৈত্রীসংঘে প্রতিষ্ঠিত হয়।সাধারণত গণতান্ত্রিক উপায়ে জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত করা হয় দেশটিতে। তাই আপনারা অনেকেই একটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে বেশ আগ্রহী আর তা হল জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর কে। আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত করি। আর এ প্রশ্নটির উত্তর জেনে নিতে হলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইটটি সর্বপ্রথম সিলেক্ট করতে হবে। তাছাড়া আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন। আর এই প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের ওয়েব সাইটে বারবার ভিজিট করতে হবে। চলুন তাহলে দেরি না করে আপনাদের অজানা কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নেই
১৮৬৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নির্বাচিত চ্যান্সেলর এর মধ্য দিয়েই জার্মানির শাসন ক্ষমতা পরিবর্তন ঘটে যায়। জার্মানীর শিল্প উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ। ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে এ দেশটির সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায় শুধু অর্থনীতির জন্য। জার্মানি প্রায় ষোল টি অঙ্গরাজ্য নিয়ে গঠিত।প্রযুক্তি ও প্রকৌশলের উন্নয়নের সঙ্গে বদলে গেছে জার্মানি। প্রযুক্তিগত কারণেই মূলত ইউরোপ মহাদেশের শীর্ষ দেশগুলোর একটি জার্মানি। এদেশের প্রকৌশলীরাই মূলত জার্মানিকে ইউরোপের সবচেয়ে বিকশিত দেশ হিসেবে আত্নপ্রকাশ করিয়েছে। যার সুবাদে প্রযুক্তির দৌড়ে জাপানের সবচেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জার্মানিরা। জার্মানি আয়তনে খুব বেশি বড় না হলেও এখানে অর্থনৈতির চাকাটা বেশ শক্তিশালী।
অনেক মানুষ অনেক ভাবেই জার্মানিকে চিনে তাই জার্মানি সম্পর্কে জানতে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। বিশেষ করে জার্মানির বিখ্যাত ব্যক্তি হিটলার কে কমবেশি সবাই চেনে। তাছাড়া জার্মানি হলো বিশ্বের ৬২ তম ও ইউরোপের সপ্তম তম বৃহত্তম দেশ। জার্মানির মুদ্রার নাম হলো ইউরো। আর এদের জাতীয় ভাষা হল জার্মান। জার্মানের প্রায় সবাই জার্মানি ভাষায় কথা বলে। জার্মানি ইউরোপের অন্যতম প্রধান শিল্পোন্নত দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জার্মানি লোহা, ইস্পাত, যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম এবং মোটরগাড়ি রপ্তানি করে। জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি।এটি সরকারিভাবে সংযুক্ত প্রজাতন্ত্রী জার্মানি হিসেবেই পরিচিত। দেশেটির রাজধানী ও বৃহত্তম শহর বার্লিন। তবে দেশটিতে রয়েছে ১৬টি রাজ্য।
জার্মানির চ্যান্সেলর হল জার্মান পার্লামেন্টের সর্ব প্রধান। জার্মানির পার্লামেন্টের ভোটের মাধ্যমে জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হয়ে থাকে। তাই আপনারা অনেকেই বর্তমানে জার্মানির চ্যান্সেলর কে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান। আসলে জার্মান দেশটিতে আঙ্গেলা ম্যার্কেল ষোল বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন। যা জার্মান পার্লামেন্টের ইতিহাসে রেকর্ডতম ঘটনা কোন জার্মানির চ্যান্সেলর এত বছর ধরে জার্মান পার্লামেন্টকে শাসন করে যায়নি। তাই জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নিয়েছেন ওলাফ শলৎস। আর ওলাফ শলৎস জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর হিসাবে নিযুক্ত হন আর এর মাধ্যমে ১৬ বছর ধরে জার্মানির চ্যালেঞ্জার হিসেবে আঙ্গেলা ম্যাকেল এর অবসান ঘটে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জার্মানির পার্লামেন্টে শাসন পরিচালনা করে দেশ সুনাম অর্জন করেছে দেশটির জন মানুষের কাছ থেকে।
জার্মান পার্লামেন্টের ৭০৭ ভোটের মধ্যে ৩৯৫টি ভোট পান শলৎস। আর তিনি ৩৯৫ ভোট পেয়ে জার্মানি পার্লামেন্টের চ্যালেঞ্জার হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তবে এসপিডি এফ ডিপি গ্রিনের এই জোটের সব সদস্য শলৎসকে ভোট দেননি। তাদের সবার ভোট পেলে শলৎসের ভোট সংখ্যা হওয়ার কথা ছিল ৪১৬ টি। জার্মানির নবম চ্যান্সেলর হিসেবে নিযুক্ত হলেন ওলাফ শলৎস। তাছাড়া বুন্ডেসটাগ গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদানের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে। শলৎসের চ্যান্সেলর হওয়া নিয়ে কোনও বিতর্ক হয়নি। জার্মান নির্বাচনে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দল থেকে চ্যান্সেলর পদে লড়ে ছেন ওলাফ শলৎস। ইতোমধ্যে কঠিন সংকট মোকাবেলায় দক্ষ এক রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছেন জার্মানি এই বিখ্যাত রাজনীতিবিদ।
আপনারা যারা আপনাদের এই কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিতে চান আমরা উপুক্ত আলোচনা থেকে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করলাম। আপনারা আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে আপনাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরটি খুব সহজে জেনে নিন।