ব্র্যাক এই শব্দটি অনেকের কাছে সুপরিচিত একটি শব্দ। কারণ বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান হল ব্রাক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে স্যার ফজলে হাসান আবেদ এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন।এই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মানুষকে আর্থসামাজি ক ও নানান ধরনের সচেতনা মূলক জ্ঞান দান ও ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে তাদের জীবনকে উন্নত করা। তাই এই প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে আপনাদের জানার আগ্রহ শেষ নেই। তাই আপনারা অনেকেই জেনে নিতে চান ব্র্যাকের বর্তমান চেয়ারম্যান কে আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে জানিয়ে দেবো। আর এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে হলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শুরু করে শেষ অব্দি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। আর এ বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে যারা সার্চ করছেন তারা খুব সহজেই আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
সাধারণত ব্রাক প্রতিষ্ঠানটির জন্ম বাংলাদেশে তবে বর্তমানে এটা একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে ব্রাক প্রতিষ্ঠানটির জন্ম হয়। ব্রাক বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম উন্নয়ন সংস্থা গুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ছাড়াও ব্র্যাকের অবস্থান এখন দেশের বাইরেও। ব্রাকের কার্যক্রম বর্তমানে বিশ্বের তের টি দেশে। জাতীয় পর্যায়ে সারা বাংলাদেশ ব্যাপী উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বর্তমানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করে এই প্রতিষ্ঠানটি বেশ সুনাম অর্জন করেছে।
বর্তমানে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠানটি তে প্রায় এক লক্ষ উপরের কর্মী কাজ করছে নানান বিষয়ের উপর। আর ব্রাক প্রতিষ্ঠানটির বেশিরভাগ কর্মী নারীরা। বিভিন্ন খাতে বিভিন্ন ভাবে আলাদা আলাদা সেক্টরের নানান ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্র্যাক প্রতিষ্ঠানটি সর্বপ্রথম উন্মোচিত করা হয় সিলেট জেলা থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৬৪ জেলায় ৫১৯ টি উপজেলায় ব্রাক তার কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। বর্তমানে ব্র্যাক বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং দরিদ্র জন গণের ক্ষমতায়নের মতো দীর্ঘ মেয়াদী বিষয়ে মনোনিবেশ করছে। তাছাড়া ব্র্যাকের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, মানবাধিকার, নারী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন প্রভৃতি কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের জীবনমান পরিবর্ত নের লক্ষ্যে তাদের কর্মসূচি পরিচালনা করছে।বর্তমানে বাংলা দেশের মোট এগারো কোটি লোককে ব্র্যাকের উন্নয়ন কার্য ক্রমের আওতায় নিয়ে এসেছে। যা দরিদ্র ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দের ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করে দিচ্ছে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠানটি।
দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধিতে ব্র্যাকের অবদান অতুলনীয়। প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজে ব্র্যাকের ভূমিকা অপারিসীম। ১৯৭২ সালের ব্রাক প্রতিষ্ঠানটি জন্মের পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানটিকে পিছনে তাকাতে হয়নি একের পর এক সফল তা ও মানুষের উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি মানুষের মনকে জয় করে গিয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র গঠনে এই প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা অপারেশন। স্বাধীনতার পরে যখন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে অর্থনৈতিক সামাজিক ও মানসিকভাবে সবকিছু ভেঙে পড়েছিল তখন বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষা ক্ষেত্রে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে, মানুষ কে সচেতন মূলক সকল বিষয়ে জ্ঞান দান করতে, বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে, সামাজিক সহায়তার ক্ষেত্রে প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজে এ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অপরিসীম।
স্বাধীনতার পরে ব্র্যাকের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গিয়েছিলেন বেগম সুফিয়া কামাল। ব্র্যাকের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি ছিলেন ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত বেগম সুফিয়া কামাল ব্রাকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীতে এ দায়িত্বে ছিলেন ফজলে হাসান। ফজলে হাসানের বিদায় পর বর্তমানে ব্র্যাক এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন হোসেন জিল্লুর রহমান। হোসেন জিল্লুর রহমান ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ ও অর্থনৈতিক বিদ। ব্রাকের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তিনি প্রতিষ্ঠানকে অনেক ধরনের পরিবর্তন করেছেন যা প্রতিষ্ঠানটি সুনাম আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
আপনারা যারা ব্র্যাকের বর্তমান চেয়ারম্যান কে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা এই বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে সঠিক উত্তরটি প্রদান করলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নিন।