আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো এই গানটি একটি দেশাত্মবো ধক গান। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো এই গানটি প্রতিটি বাঙালির একটি সুপরিচিত গান। এই গানটির মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করে। এই গানটি বাঙ্গালীদের কাছে একুশের গান বলে পরিচিত। তাই আমরা বাঙালিরা অনেকেই জেনে নিতে চাই আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানটি সুরকার কে। আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দেব। এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম আমাদের ওয়েবসাইটটি সিলেক্ট করতে হবে। তারপরে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ অবধি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে দেরি না করে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আসলেই আমাদের এই গানটির কথা মনে পড়ে যায়। নানা আয়োজনের মাধ্যমে এই দিনটিকে আমরা পালন করে থাকি। এই গানটি ছাড়া হয়তো আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারি পরিপূর্ণ লাভ পাই না। প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারির ভোরেই বাঙ্গালীদের প্রতিটি মুখে সেই কালজয়ী গান, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কী ভুলিতে পারি এই গানের মাধ্যমেই বাংলা ভাষা আন্দোলন বাঁচিয়ে রাখার জন্য আত্মবলিদান দেওয়া ভাষা শহীদদের স্মরণ করে আজকের এই নতুন প্রজন্ম এই গানটি গেয়ে তাদের স্মরণ করে। পাক বাহিনীদের বুলেটের মুখে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে বাঙ্গালীদের এই গানটি এক উজ্জীবিত সৃষ্টি করেছিল। শুধু বাংলার ভাষা সংগ্রামের ক্ষেত্রে নয়। মুক্তিযো দ্ধার প্রতিটি ক্ষেত্রে মুক্তি সংগ্রামের জন্য এই গানটি গাওয়া হয়েছিল।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের সময় নির্বিচারে ছাত্রদের ওপর গুলি চালান। আর এই আন্দোলনে র সময় অনেক ছাত্রের প্রাণ চলে যায় অনেক ছাত্র আহত হয়ে পড়ে। আর ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা কলেজে অধ্যায়নরত ছিলেন আঠারো বছর বয়সী আব্দুল গাফফার চৌধুরী। পুলিশের এরকম নির্মম গুলি চালানোর পর তিনি ঢাকার মেডিকেলে আহত ছাত্রদের দেখতে যান। সেই সময় আউটডোরে এক নিহত ছাত্রের লাশ দেখে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। পুলিশের গুলিতে ছাত্রটির মাথার খুলি উড়ে গিয়েছিল। নিথর দেহটি ছিল শহিদ রফিকউদ্দিনের।
একুশে ফেব্রুয়ারির নির্মম ও এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর প্রতিবাদে পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারি নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আর বর্বরোচিত গুলি কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজপথে মিছিলে সামিল হয়েছিল লাখো জনতা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন গাফফার চৌধুরীও। আবারো এই মিছিলটিতে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। আর এই লাঠি আঘাতে আহত হয়ে পড়েন আব্দুল গাফফার চৌধুরী। আর আহত অবস্থায় তিনি গানটি লিখে ফেলেন আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। পরে ঢাকা কলেজের নব নির্বাচিত ছাত্র সংসদের অভিষেক অনুষ্ঠা নে আব্দুল লতিফ ও আতিকুল ইসলাম প্রথম গানটি পরিবেশন করেন। তবে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির ভাষা শহীদদের স্মৃতি ফিরিয়ে আনে যে গানটি সুর করেছিলেন তার সুরাকার ছিলেন কিংবদন্তি সুরকার আলতাফ মাহমুদ।
একুশে ফেব্রুয়ারি এখন বিশ্বের অনেক দেশে ভাষা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। এটা এখন বর্তমানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমার ভাই রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি এই গানটি বর্তমানে বারটি ভাষায় গাওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই গানটি হিন্দি, বাংলা ,উর্দু,ফরাসি ,সুজন জাপানি নানান দেশের নানান ভাবে গাওয়া হয়। বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের সময় রফিক সালাম বরকত জাপানের স্মৃতির স্মরণে প্রতিবছর নানা আয়োজনে বাংলাদেশ এই গানটি গিয়ে দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশের জাতীয় দিবস গুলোর মধ্যে একুশে ফেব্রুয়ারি অন্যতম একটি দিবস এই দিনটিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা আয়োজনের মাধ্যমে পালন করে থাকে। প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সব অঞ্চল থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শত শত মানুষ এই গান গেয়ে শহীদ মিনার দিকে খালি পায়ে হেঁটে যান।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানটির সুরকার কে আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা পেতে চান আমরা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এ বিষয়টি সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জেনে নিন।