শাহনামা হচ্ছে পারস্যের এক কবির লেখা একটি দীর্ঘ মহা গ্রন্থ। এটি একই সাথে ইরানের এবং সারা বিশ্বের ফার্সি ভাষা ভাষী লোকদের জন্য জাতীয় মহা গ্রন্থ হিসেবেও পরিচিত। ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে এই মহা গ্রন্থটি রচনা করা হয়েছিল।
এই মহা গ্রন্থটিতে ইরানের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে। ইরানে ইসলাম পূর্ব ও সপ্তম শতাব্দীতে ইসলাম শাসন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরের এই গ্রন্থটি বর্ণিত হয়েছে। তাই আপনারা অনেকেই এই বিখ্যাত গ্রন্থটি সম্পর্কে অনেক প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে চান। তাই শাহনামা গ্রন্থের রচয়িতা কে এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জেনে নিতে আপনারা অনেকেই বেশ আগ্রহী। তাই আপনাদের কথা চিন্তা করে আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেল টিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আর এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
যারা এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে চান ও আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে চান আমরা প্রতিনিয়ত এই প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করি। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত ভিজিট করুন আর জেনে নিন আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর গুলো। আশা করছি আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের প্রশ্নের উত্তরগুলো পেয়ে যাবেন। তাছাড়া আপনারা এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন তাই গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আপনারা আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে বিস্তারিতভাবে এই প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে পারবেন। তাছাড়া আপনারা আপনাদের সুবিধা অনুযায়ী আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের কাঙ্খিত যে কোন প্রশ্নের উত্তর কোন ঝামেলা ছাড়াই ডাউনলোড করতে পারবেন।
শাহনামা গ্রন্থটিতে রাজাদের গুণগান এবং পরবর্তীকালে কবির নিজের অনুভূতির বহিপ্রকাশ ঘটেছে। বর্তমানে ইরান তার পার্শ্ববর্তী ফার্সি ভাষায় কথা বলা বিভিন্ন মুসলিমদের কাছে শাহনামা তার সাহিত্য কে ধারণ করে চলেছে। শাহনামা গ্রন্থটিতে বর্তমান ইরানের পূর্ব ইতিহাসকে তুলে ধরেছে এবং ফার্সি লোকদের সাংস্কৃতিকে ধারণ করছে। এটিতে ইসলাম পূর্ব শেষ সামানাইড রাজার কথাও বলা হয়েছে। শাহনামা হচ্ছে প্রাচীন ইরানের ইতিহাস, কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি নিয়ে বিভিন্ন কাব্যগাথা। এতে আছে নয়শত নব্বই টি অধ্যায় ৬২ টি কাহিনি। পুরো মহাকাব্যে ৬০ হাজার বার আছে অন্ত্যমিল।
শাহনামা একটি নির্দিষ্ট ভূগোলের ভৌগোলিক প্রতিবেশের মানুষের বহুবিচিত্র কাহিনি নিয়ে সৃষ্টি একটি মহাগ্রন্থ।
শাহনামা বাংলায় অনুবাদ করেন মনিরউদ্দীন ইউসুফ। বাংলা একাডেমির মাধ্যমে, ঢাকা হতে এটি ছয় খণ্ডে প্রকাশিত হয়।
এই মহাকাব্য গ্রন্থটি শুধু ইরানের নয় ও সারা বিশ্বের ফার্সি ভাষাভাষী লোকদের জন্য জাতীয় মহাকাব্য। তাজাকিস্তানের ও আফগানিস্তান লোকদের কাছে শাহনামা তাদের সাহিত্যের ধারক। শাহনামা গ্রন্থ সম্পর্কে আপনাদের অনেক ধরনের তথ্য গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিলাম। এখন আমরা আপনা দেরকে জানিয়ে দেবো এই মহাগ্রন্থের রচয়িতা সম্পর্কে।
শাহনামা গ্রন্থটি আরব্য কবি ফেরদৌসি রচয়িতা করেছিলেন। কবি ফেরদৌসী দ্বারা লিখিত একটি দীর্ঘ মহাকাব্য।ফেরদৌসির মৌলিক গ্রন্থ গুলোর মধ্যে শাহনামা গ্রন্থটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য একটি গ্রন্থ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর আপনারা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। তাই আপনাদের প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন আর জেনে নিন আপনাদের প্রশ্ন কাঙ্ক্ষিত উত্তর গুলো সম্পর্কে।