কবর নাটকটি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমিকায় রচিত। ভাষা আন্দোলন রচিত এই নাটকটি খুব জনপ্রিয় একটি নাটক। আমরা কমবেশি সবাই এই নাটকটি দেখেছি বা এই নাটকটির সম্পর্কে জেনেছি। কবর নাটকটির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে গোরস্থানের আলো আঁধারির রহস্যময় পরিবেশে। কবর নাটকটি ১৯৫৩ সালের ১৭ জানুয়ারি রচিত হয়। তাই আপনার অনেকেই বিখ্যাত এই কবর নাটকটির রচয়িতা কে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি জেনে নিতে চান।
তাই আপনারা এ প্রশ্নটি উত্তর জানার জন্য গুগল সহ ইন্টারনেটে নানান জায়গায় অনুসন্ধান করছেন তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এর পথে সঠিক উত্তরটি জানিয়ে দেবো। তাছাড়া এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে আপনারা আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরগুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন।
ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির জন্য ঐতিহাসিক একটি ঘটনা। আর এই ঘটনাটাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে কবর নাটকটি। সাধারণত বিখ্যাত এই কবর নাটকটি লেখক এক অপ্রীতিকর অবস্থায় নাটকটি লিখেছিলেন। নাটকটির প্রথম অভিনয় হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদের একুশে উদযাপন উপলক্ষে। নাটকটিতে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে বাঙ্গালিরা তাদের ভাষা আন্দোলন কত ত্যাগের মাধ্যমে আনতে পেরেছে। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট বাঙালি জাতির জন্য অন্যতম একটি লড়াই। প্রতি বছরে ভাষার মাসে আমরা এই বিখ্যাত কবর নাটকটি কোন না কোন ক্ষেত্রে প্রতি যোগিতার মাধ্যমে চরিত্র গুলোকে দেখতে পাই। কবর নাটকে র মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে খুব সহজে জানিয়ে দেয়ার যাবে কিভাবে এদেশের ভাষা আন্দোলনের জন্য লড়াই করেছিল বাঙ্গালী জাতি।
অসাধারণ প্রতিভাধর এ নাটকের মৌলিক ও অনুবাদ গুলো বাংলাদেশের অন্যতম নাট্যকার ও প্রতিভাবান একজন মানুষ হলেন কবর নাটকের রচয়িতা। তাই ১৯৫৩ সালে ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় থাকার অপরাধে রাজবন্দি করা হয়। আর বন্দী জীবনে তেমন কিছু করার ছিল না। অলস সময় বেড়াজাল তাকে যেন ঘিরে ধরেছিল। পরবর্তীতে জেলে থাকা অবস্থায় অন্য রাজবন্দি বামপন্থী লেখক রণেশ দাশগুপ্ত মুনীর চেীধুরীকে একটি নাটক লিখতে বলেন, যা ওই জেল খাতেই রাজবিন্দরা অভিনয় করবেন।
রণেশ দাশগুপ্ত মুনীর চেীধুরী কে গোপনে চিঠি দেন এই লেখে একুশে ফেব্রুয়ারিতে অভিনয় করা যায় এ ধরনের নাটক লিখবে। তাই কবর নাটক টির রচয়িতা মুনীর চৌধুরী। তিনি এই নাটকটি জেল খানায় বসে রচনা করেন এবং এটি ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত করেছিলেন তিনি। আদর্শিক, রাজনীতি, আপোসহীন দেশপ্রেমিক মানুষ ছিলেন মুনীর চৌধুরী। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতাযুদ্ধ অবধি প্রায় প্রতিটি আন্দোলন ও সংগ্রামে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন তিনি।