সেনাবাহিনীর প্রধান কে ২০২৩

সেনাবাহিনী সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে অন্যতম একটি বাহিনী। এই বাহিনীনিটি দেশসহ ও দেশের বাইরে তাদের কাজের জন্য বেশ সুনাম অর্জন করে চলেছে। দেশের ভূখণ্ড রক্ষা ও দেশের নানান উন্নয়নমূলক কাজে এ বাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম। তাই আপনাদের অনেকেরই অনেক ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর প্রধান কে এই প্রশ্নটির সম্মুখীন হতে হয়। তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে আপনারা অনেকেই বেশ আগ্রহী। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে জানিয়ে দিব সেনাবাহিনীর প্রধান কে। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান তাদের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো লিখে থাকি। আপনারা গুগলে সার্চ করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে দেরি না করে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন প্রতিষ্ঠিত হয়। এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর জন্ম হয়। আর তারপর থেকেই বাংলাদেশের এই বাহিনীটির পথ চলা এখন পর্যন্ত এই বাহিনীটি সারাদেশে সুনামসহ গোটা বিশ্বব্যাপী এই বাহিনীটি এখন অব্দি সুনাম ধরে রেখেছে। প্রত্যেকটি বাহিনীর পরিচাল না করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ভাবে বাহিনীটির প্রধান দরকার। তাই অন্যান্য বাহিনীর মতো এই বাহিনীতেও প্রধান রয়েছে যাকে আমরা সেনাপ্রধান বলে জানি। কাজের উপর দক্ষ ও সবদিক বিবেচনা করে এই বাহিনীটির প্রধান নির্বাচন করা হয়। এ বাহিনীর প্রধান সাধারণত এ বাহিনীর মধ্য থেকে নির্বাচন করা হয়। চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই সেনাবাহিনীর প্রধান কে।

সেনাবাহিনী এমন একটি বাহিনী তারা শুধু দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে নয় দেশের প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজে এদের ভূমিকা চোখে পড়ার মতো। দেশের যেকোনো মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সময় অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো, এ বাহিনীর সুনাম গোটা দেশব্যাপী। দেশের গঠনমূলক কাজে এই বাহিনীটি প্রতিনিয়ত অভিরাম পরিশ্রম করে দেশের উন্নয় ন মূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পদ্মাসেতু রেল সংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হাতিরঝিল উন্নয়ন প্রকল্প, মহিপাল ফ্লাইওভার, কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ, সীমান্ত সড়ক প্রকল্প, খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে দেশের উন্নয়নে উল্লেখযাগ্যে ভূমিকা রাখছে সেনাবাহিনী। বাংলাদেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন মূলক কাজে এই বাহিনীটি প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে।

সেনাবাহিনী শুধু দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ভূমিকা পালন করছে শুধু তাই নয় দেশ ছেড়ে এখন বিদেশে এ বাহিনীতে সুনাম অক্ষুন্ন। বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ হওয়ার পর থেকে সেনাবাহিনী শান্তি রক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে। তাই সারা পৃথিবী জুড়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনাম। প্রতিবছর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে শান্তি রক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে বেশ সুনাম অর্জন করে।সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯৭ শান্তিরক্ষী ৪০টি দেশে জাতিসংঘ মিশনে অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিটি শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খুব সতর্কতার সাথে সফলতা অর্জন করে। বর্তমানে সেনাবাহিনীর জন্য শান্তি রক্ষা মিশনে র জন্য জাতিসংঘের উদ্যোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য নানান ধরনের সুযোগ-সুবিধা করে রেখেছে।

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে কত নিরাপত্তা প্রদানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা চোখে পড়ার মতো।পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা রক্ষণা বেক্ষণ এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর অসামান্য অবদানের কারণে বাংলাদেশ সরকার এই বাহিনীটিকে আধুনিক করার জন্য যা যা করার দরকার প্রতিনিয়ত সেটা করে যাচ্ছে। তাছাড়া একসময় গোটা পার্বত্য চট্টগ্রাম সন্ত্রাসীদের ও জঙ্গিদের দখলে ছিল যা বর্তমান সেনাবাহিনীর কারণে অনেকটাই এই বাহিনীটির দখলে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের দুই দশকে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এখন অব্দি ঘটেনি। এই বাহিনীটির বর্তমানে এই অঞ্চলটিকে ও এ অঞ্চলের জনগণকে একটি শান্তিপূর্ণ জীবন দান করেছে।

আশা করছি সেনাবাহিনীর প্রধান কে এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা আমাদের আজকের পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের সঠিক তথ্য প্রদান করতে পেরেছি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *