জাতীয় স্মৃতিসৌধ একটি জাতির জন্য অনন্য স্থাপনা। আর সেটা বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। সাধারণত জাতীয় স্মৃতিসৌধ টি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মরণে ও শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত এক স্থাপনা। জাতীয় স্মৃতিসৌধের মাধ্যমে প্রতি বছর শহীদদের স্মরণ করা হয়। তাই আপনাদের অনেকেরই অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় আর তা হলো জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি কে। তাই এ প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে অনেকেই জেনে নিতে চান।
আর জানার আগ্রহ থেকে আপনারা গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় এই প্রশ্নটির উত্তর জানার জন্য সার্চ করছেন। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত লিখে থাকি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর ও শিক্ষা সংক্রান্ত যে কোন প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের সকল উত্তর সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ টি সাধারণত স্বাধীনতার মুক্তিযুদ্ধে নিহত ও এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যারা বাংলার স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে সেসব শহীদদের স্মৃতির স্মরণে একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা ও স্মৃতিসৌধ। সেই স্মৃতিসৌধের মাধ্যমে প্রতিবছর বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধের মাধ্যমে তাদের স্মরণ করা হয়
জাতীয় স্মৃতিসৌধের টি ঢাকা থেকে ৩৫ কিলো দূরে অবস্থিত উত্তর পশ্চিমে সাভারের নবীনগরে ৪৪ হেক্টর জায়গা নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধ টি স্থাপিত করা হয়। এই স্মৃতিসৌধের মাধ্যমে প্রতি বছর বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ শহীদদের স্মরণ করে থাকেন। প্রত্যেক বছর স্বাধীনতা দিবসে দেশের নানা প্রান্ত থেকে শহীদদের স্মরণ করার জন্য জাতীয় স্মৃতি সৌধতে লাখো মানুষ ভিড় করে। আর স্বাধীনতা দিবসটিতে ছোট বড় সবাই জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে শহীদদের গভীর ভাবে স্মরণ করে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধি টি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ও স্বাধীনতা যুদ্ধকে নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতা সম্পর্কে জানাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ছয় দফা আন্দোলন, ২৬ শে মার্চের স্বাধীনতা, ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধা এই বিশেষ ঘটনা গুলো ও আন্দোলনের পরিক্রমা হিসেবে এই জাতীয় স্মৃতি সৌধ টি নির্মিত করা হয়। তাই স্মৃতিসৌধের সাতটি ফলক ত্রিকোণ আকারে উপরে উঠে গিয়েছে। এখানে স্বাধীনতা যুদ্ধে দশ জন নাম না জানা শহীদদের জন্য দশটি সমাধী রয়েছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ তে রয়েছে ডান পাশে পুষ্পবেদী। জাতীয় স্মৃতিসৌধ টি চারিদিকে সবুজ সমারহে এর সৌন্দর্যকে আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশের সফরে এসে জাতীয় স্মৃতি সৌটিতে বাংলাদেশের শহীদদের স্মরণে পুষ্প স্তবক অর্পণ করে।
বাংলাদেশের জাতীয় দিবস গুলোতে ও বাংলাদেশের বিশেষ বিশেষ দিনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের সরকার প্রধান শহীদদের স্মরণে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে পুষ্প স্তবক অর্পণ করে থাকেন। এর আগে ১৯৭১ সালের পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সঙ্গে বাঙালিদের এক বিশাল যুদ্ধ হয়। আর এই যুদ্ধের সময়কাল ছিল দীর্ঘ নয় মাস। আর এই নয় মাসে ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছেন দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ দেশ ত্যাগ করেছেন পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নানান ধরনের জুলুম অত্যাচার ও নিপীড়ন সহ্য করেছেন। কিন্তু কোন ভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাঙ্গালীদের দাবিয়ে রাখতে পারেনি সেই চূড়ান্ত যুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় ও পাকিস্তানের পরাজয় ঘটে।
১৯৭৮ সালে ৫৭ টি নকশার মাধ্যমে জাতীয় স্মৃতিসৌধের নকশা গৃহীত হয়। আর ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল কাজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আর এ জাতীয় স্মৃতিসৌধটির নকশার মূল স্থাপতি ছিলেন সৈয়দ মাইনুল হোসেন। তাই জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি হিসেবে সৈয়দ মাইনুল হোসেন কে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। সাতটি মিনার সহ জাতীয় স্মৃতিসৌধের উচ্চতা প্রায় ১৫০ ফুট। জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আপনারা যারা জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি কে এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে তা জানিয়ে দিলাম। আপনারা যারা এই ধরনের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নিতে চান আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।