শহীদ মিনার একটি জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শহীদ মিনারের মাধ্যমে একটি জাতির আত্মত্যাগ ব্যক্তিদের বারবার মনে করিয়ে দেয়। আর সে সব সম্মানি ব্যক্তিদের জন্যই শহীদ মিনার গঠন করা হয়। তাছাড়া বাঙালি জাতি হিসেবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থাপতিকে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো কারণ আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের গুলো বিভিন্ন জায়গায় ফেস করে থাকি। তাই আপনারা যারা এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে এ বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের সঠিক তথ্য প্রদান করব। আপনারা এ প্রশ্ন টি উত্তর সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের এই কাঙ্খিত প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে জানি এই বিষয়টি সম্পর্কে।
যে কোনো জাতি ঐতিহাসিক ঘটনা গুলোকে স্মরণ করে রাখতে বা নতুন প্রজন্মকে জানাতে বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনার স্থাপিত করে। কারণ একটি জাতি মূল চেতনা ইতিহাস থেকে জানা যায় একটি জাতি কিভাবে দেশ স্বাধীনতা করেছে কিভাবে শত্রুদের হাত থেকে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে এ ধরনের ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো ইতিহাস ও বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য স্মৃতিসৌধ মাধ্যমে জানা যায়। তাছাড়া মহান ব্যক্তিদের স্মরণে ও ইতিহাসকে হৃদয় ধারণ করার জন্য শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়। শুধু বাঙালি জাতির ক্ষেত্রে নয় প্রতিটি দেশে প্রতিটি রাষ্ট্রে নিজ নিজ রাষ্ট্র ভূমির মহান নেতা ও বিশেষ মানুষের জন্য শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়। যেন জাতি তাদেরকে ভুলতে না পারে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার স্থাপিত হওয়ার আগে এর ইতিহাসটি ছিল অনেক লম্বা। যা বাঙালি জাতিকে বারবার মনে করিয়ে দেয়। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও প্রগতিশীল রাজনীতি বিদ ও জনসাধারণ একটি মিছিল বের করে। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি থাকার পরেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকায় প্রবেশ করে এই মিছিলটি। তখন এই ছাত্রদের ও জনতার ওপর নির বিচারে এলো পাথারি গুলি করতে থাকে। আর সেই গুলিতে অনেক ছাত্র নিহত হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন সালাম, রফিক, বরকত, ও জব্বার আর নাম না জানা আরও অনেকেই শহীদ হন। আর সেসব শহীদের স্মৃতির স্মরণে ২৩ শে ফেব্রুয়ারি বিকেলে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আর বাংলার ইতিহাসে এটাই ছিল সর্বপ্রথম শহীদ মিনার।
বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মিনারের উচ্চতা ছিল ১০ ফুটের মতো। আর এর প্রস্তুত ছিল ছয় ফুটের মতো। কিন্তু পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের ২৬ শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সরকারের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হয় এই শহীদ মিনারটি। শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফলে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনে ফেটে পড়ে বাংলার জনতা। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে দুর্বার গতিতে আন্দোলন চলতে থাকে। অবশেষে পাকিস্তান শাসক গোষ্ঠী ১৭৫৭ সালে বাংলা ভাষা হিসেবে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করতে বাধ্য হয়। এরপরে বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আর এই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রথম স্থপতি ছিলেন বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী হামিদুর রহমান।
১৯৭১ সালের যুদ্ধ চলাকালীন সময় পাক বাহিনীর বর্বরতার কারণে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ধ্বংস করে দিয়েছিল। পরে বাংলাদেশে বিজয় অর্জনের পর এই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটিকে আবার পুনরায় নির্মাণ করা হয়। তাই প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা আন্দোলন কারী বীর শহীদদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ও বাঙালির প্রতিটি মানুষ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কে ভুলিতে পারি এই গানটি র সঙ্গে ভাষা শহীদদের স্মরণে ও শ্রদ্ধার নিবেদন ক্ষেত্রে খালি পায়ে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে গোটা জাতি তাদেরকে স্মরণ করে। শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য অবশ্য যেন আমরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খালি পায়ে অবস্থান করব।
আপনারা যারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থপতি কে এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে আগ্রহী আপনাদের জন্য আমাদের এখানে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করা হলো। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন।