শূন্য আবিষ্কার করেন কে

শূন্য গণিত শাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা। গণিতের প্রতিটি অংশে শূন্যর ব্যবহার বিশেষ। বর্তমান সময়ে যে কোনো সংখ্যা লেখা অতি সহজ একটি কাজ। তবে আমাদের মনে অনেকেরই একটি প্রশ্ন শূন্য কি একটি সংখ্যা আসলে কি গণিতের অংশে শূন্যকে কোন সংখ্যা হিসেবে বিবেচ্য করা হয় ইত্যাদি। কিন্তু গনিত শাস্ত্রে শূন্য মোটেই কোনও বিন্দু নয়।আধুনিক গনিত শাস্ত্রের অনেকটা অংশ জুড়েই আছে শূন্যের গুরুত্ব। বাংলা যেটাকে বলা হয় শুন্য ইংরেজিতে তা বলা হয় জিরো। তাই আপনারা এই শূন্য সম্পর্কে অনেকেই অনেক তথ্য জেনে নিতে চান। তাই আজ আমরা আপনাদের কে জানাতে চলেছি শূন্য আবিষ্কার করেন কে। তাই আপনারা যারা শূন্য আবিষ্কার করেন কে এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তবে আমাদের দেয়া আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানিয়ে দেব।

গণিত শাস্ত্রে শূন্যের কোন মান নেই। কিন্তু কোন সংখ্যার পরে সংখ্যার ডান পাশে শূন্য এর মান বৃদ্ধি পায় তেমনি কোন সংখ্যার আগে শূন্য বসিয়ে তার মান অপরিবর্তিত থাকে। এক কথায় আরও সহজ ভাবে বলতে গেলে শূন্যর মান কোন সংখ্যার আগে বসে তাহলে কোন মান থাকে না আর যদি কোন সংখ্যার সমান ১ এরপরে যদি শূন্য হয় তাহলে শূনের দাম বৃদ্ধি পায়। 0 থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যা গুলোকে গাণিতিক ভাষায় মৌলিক সংখ্যা বলা হয়। কিন্তু আমরা যে কোনো সময় যে কোনো মুহূর্তে খুব সহজেই ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত লিখতে পারি কিন্তু কেউ কি সঠিকভাবে জানে এই সংখ্যা গুলো কিভাবে এসেছে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে প্রাথমিক সংখ্যা কিন্তু 0 থেকে ৯ পর্যন্ত। আর অন্যান্য সংখ্যাগুলো তৈরি করতে হয় কিন্তু শূন্য ব্যবহার করা হয়।

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা দেখাতে পেরেছি গাণিতিক শাস্ত্রে শূন্যের অবদান কতটুকু। শূন্য আবিষ্কারের ফলে গাণিতিক শাস্ত্রে অনেক বিষয় গুলো অতি সহজ হয়ে গিয়েছে। তাই আপনাদের সবারই জেনে রাখা উচিত এই প্রয়োজনীয় শূন্য সংখ্যাটি কে আবিষ্কার করেছেন। শূন্যের আবিষ্কার হয়েছে ভারতীয় উপমাহাদেশে। বিখ্যাত গাণিতিক বিদ আর্যভট্ট শূন্যের আবিষ্কারক। তিনি সর্বপ্রথম গাণিতিক শাস্ত্রে শূন্যের ব্যবহার করে থাকেন। শূন্য আবিষ্কারের আগে
বিভিন্ন ধরনের সভ্যতায় ১ থেকে ১০ পর্যন্ত সংখ্যার ব্যবহার হয়ে আসছিল। সেই সময় শুধু রোমান অক্ষর গুলো ব্যবহৃত হতো। তার জন্য শূন্য সংখ্যার কোন প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু পরবর্তী সময়ে যখন শূন্যের আবিষ্কার হয় তখন আমাদের বিশেষ বিশেষ অংক গুলো করতে অনেক সহজ হয়ে উঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *