বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। আর এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটার হলো অন্যতম একটি ইলেকট্রিক যন্ত্র। এই ইলেকট্রিক যন্ত্রটি বর্তমানে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি যন্ত্র হিসেবে মানুষ প্রতিনিয়ত ব্যবহার করছে। তাই আমরা অনেকেই রয়েছি এই কম্পিউটার সম্পর্কে জানতে বেশি আগ্রহী। তাই অধিকাংশ মানুষ কম্পিউটার আবিষ্কার করেন কে? কম্পিউটারের জনক কে ? এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে ইন্টারনেট সহ গুগলের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রকাশিত করি। আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেয়া যাক আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।
আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই কম্পিউটার শব্দটির সঙ্গে বেশ পরিচিত। বর্তমান যুগে এই ইলেকট্রিক যন্ত্রটির ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। কম্পিউটার আসলে এক ধরনের ইলেকট্রিক ডিভাইস। কম্পিউটার শব্দটি সাধারণত গ্রীক শব্দ। কম্পিউটার যখন আবিষ্কার করা হয়েছিল তখন এটা শুধু গণনার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। কম্পিউটার হলো অতি দ্রুত গতি সম্পন্ন একটি ইলেকট্রিক যন্ত্র যা নির্দিষ্ট কোনো প্রোগ্রামের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন রকমের গাণিতিক ও যৌক্তিক কাজ করতে পারে। প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত যতগুলো আবিষ্কার বিজ্ঞানীরা করেছে তার মধ্যে কম্পিউটার যন্ত্রটির অন্যতম। এই ইলেকট্রিক যন্ত্রটি বর্তমানে আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি জায়গায় এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। দিনের শুরু থেকে রাতের শেষ অংশ প্রতিটি মুহূর্তে এর ব্যবহার হচ্ছে।
বিজ্ঞানের একটি বিস্ময়কর আবিষ্কার হচ্ছে কম্পিউটার। এই যন্ত্রটির আবিষ্কারের পর থেকে সারা পৃথিবীর তথ্য প্রযুক্তির এক বিশাল জয় হয়েছে। কম্পিউটার আবিষ্কারের ফলে মানুষের জীবনকে খুব সহজ করে তুলেছে। আগের দিনে যে কাজটি করার জন্য মানুষের দীর্ঘদিন সময় লাগতো এখন খুব কম সময়ের মাধ্যমে তা হয়ে যাচ্ছে খুব কঠিন কাজগুলো খুব সহজেই কম্পিউটার এর মাধ্যমে করা যাচ্ছে। আধুনিক জীবন পরিচালনা করার জন্য কম্পিউটারের ব্যবহার অন্যতম। বর্তমানে এমন কোন জায়গা আমাদের চোখে পড়ে না যেখানে কম্পিউটারে ব্যবহার হয় না। এই ইলেকট্রিক যন্ত্রটি এমন একটি যন্ত্র যেখানে আপনি দীর্ঘদিন ধরে আপনার প্রয়োজনে তথ্য গোপন অংশে রেখে দিতে পারবেন।
কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি নতুন আবিষ্কার হলেও এর পিছনে দীর্ঘদিনের ইতিহাস রয়েছে। বহুকাল ধরে বহুজনের অবদানের ফলে আবিষ্কৃত হয়েছে কম্পিউটার। ১৬৭১ সালে সর্বপ্রথম গুণ ও ভাগ করতে পারে এমন যান্ত্রিক ক্যালকুলেট র আবিষ্কার করেন এক ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। তারপরে নানান ভাবে গবেষণা ও চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কম্পিউটারের আবিষ্কার। ব্রিটিশ গণিতবিদ চার্লস ব্যাবেজের হাতে এসে আধুনিক রূপ লাভ পায়। বহুদূর দিন ধরে এই বিজ্ঞানী অনেক গবেষণার পরে ১৮৩৩ সালে কম্পিউটারের পাঁচটা অংশ গঠনমূলক তত্ত্ব আবিষ্কার করেন। তবে সেই সময় আধুনিক যন্ত্রাংশ না থাকাই সে কম্পিউটারের পূর্ণ রূপ দিতে পারেনি। তাই চালর্স ব্যাবেজ কে কম্পিউটারে আবিষ্কারক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। তারপরে অনেক বিজ্ঞানী নানানভাবে কম্পিউটারের আধুনিক রূপদান করেছে। তারপরেও এই বিজ্ঞানী কেই কম্পিউটারে আবিষ্কারক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
কম্পিউটার আবিষ্কারের ফলে আমাদের জীবনকে নানাভাবে পরিবর্তন করেছে। কম্পিউটার আবিষ্কারের ফলে মানুষ এখন খুব কম সময়ের মাধ্যমে অতি দ্রুত যেকোনো কাজ করে ফেলছে তাছাড়া কম্পিউটার এমন একটি মেশিন যা দিয়ে মানুষের দেয়া সূত্র ও যুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটার ফলাফল প্রদান করে।কখনও ভুল করে না কম্পিউটার। শতকরা একশত ভাগ কম্পিউটারের নির্ভুলতা। শিক্ষা, বিজ্ঞান গবেষণা, তথ্য যোগাযোগ, বিনোদন, ব্যবস্যা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই আজকাল কম্পিউটার এর ব্যবহার দেখা যায়। এই যন্ত্রটি আবিষ্কারের পর থেকে মানুষের কঠিন কাজ গুলোকে সহজ করে দিয়েছে। তাই এ যন্ত্রটি যে আবিষ্কার করেছে তার অবদান মানবজাতির কাছে অনন্য হয়ে থাকবে।
আপনারা যারা কম্পিউটার আবিষ্কার করেন কে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে চান আমরা আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইডে ভিজিট করে এ ধরনের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নিন। তাছাড়া শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোন তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েব সাইটে আপনারা ভিজিট করুন।