টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন

বর্তমানে টেলিভিশন দেখেন না বা টেলিভিশনের কথা শোনেন নি এমন মানুষের সংখ্যা কম রয়েছে। খুব জনপ্রিয় একটি ইলেকট্রিক যন্ত্র হলো টেলিভিশন। এই ইলেকট্রিক যন্ত্রের মাধ্যমে ছবি দেখা ও শব্দ শোনা যায়। বর্তমান যুগে বিনোদনের একটি বড় অংশ মানুষ টেলিভিশন থেকে পাই। আর এই ইলেকট্রিক যন্ত্রটি মানুষের মনোরঞ্জন করার উদ্দেশ্যেই আবিষ্কার করা হয়েছিল। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো বিনোদন আর সেই বিনোদন আমরা নানা ভাবে পেয়ে থাকি।

তবে খুব সহজেই ও যদি কম সময়ে বিনোদন পেয়ে থাকি তার সবচেয়ে উপযুক্ত মাধ্যম হলো টেলিভিশন। আর এই ইলেকট্রিক যন্ত্রটি ঘিরে মানুষের জানার আগ্রহ শেষ নেই তাই অনেকেই আমরা জেনে নিতে চাই টেলিভিশন কে আবিষ্কার করেন। তাই আপনাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেল টিতে কাঙ্খিত এ প্রশ্নের উত্তরটি জানিয়ে দেবো। আর এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য প্রতিনিয়ত আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।

বর্তমান সময়ে টেলিভিশন মানুষের কাছে এতটাই জনপ্রিয় দিনে শুরু থেকে রাতের শেষ অব্দি প্রতিনিয়ত এই ইলেকট্রিক যন্ত্রটির মাধ্যমে মানুষ পৃথিবীর নানান ধরনের খবরা খবর খুব সহজেই কম সময়ের মধ্যে জেনে নিতে পারছে। যুগের সাথে সাথে যেমন সব কিছুর পরিবর্তন ঘটে তেমনি টেলিভিশন আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে বর্তমান প্রজন্ম পর্যন্ত সাত ধরনের টেলিভিশন আবিষ্কার হয়েছে। টেলিভিশন আবিষ্কার হওয়ার শুরুতে সাধারণত সাদাকালো হিসেবে টেলিভিশন আবিষ্কার হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে ভারতের প্রথম রঙ্গিন টেলিভিশন চালু হয়েছিল। পরবর্তী সারা পৃথিবীর মানুষ একটি বাক্সের মধ্যমে পুরো রঙিন দুনিয়া কে দেখতে শুরু করেছিল। তাই পুরো প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার সাথে সাথে টেলিভিশনের প্রযুক্তিটাও বেশ পরিবর্তন হয়েছে।

টেলিভিশন শব্দটি সাধারণত গ্রীক শব্দ। বাংলায় এই ইলেকট্রিক যন্ত্রটিকে দূরদর্শন বলা হয়। টেলিভিশনের মূল ধারণা হচ্ছে শব্দ ও ছবিকে প্যাটার্নে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে স্থানান্তর করা। মূলত তিনটি প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি হয় টেলিভিশনের কার্যকারিতা। আসলে অনেক গুলো ধাপ পেরিয়ে টেলিভিশন আবিষ্কার হয়েছে। সর্বপ্রথম ১৮৬২ সালে তারের মাধ্যমে স্থির ছবি পাঠানো সম্ভব হয়েছিল। পরবর্তীতে টেলিভিশন আবিষ্কার করেন জন এল বেয়ার্ড। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন নাগরিক ছিলেন। ১৯২৬ সালের তিনি টেলিভিশন আবিষ্কারের বেশ সফলতা পান। এর আগে টেলিভিশন আবিষ্কার এর জন্য অনেকেই অনেক গবেষণা করেছেন সে ক্ষেত্রে কেউ সফলতা পায়নি। আর প্রথমে এই ইলেকট্রিক যন্ত্রটির নাম দেওয়া ছিল ইলেকট্রিক টেলিস্কোপ। বর্তমানে এই টেলিভিশনের মাধ্যমে আমরা অবসর সময়ে বসে খুব সহজেই বিনোদন নিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *