ধোলাই খাল বাংলাদেশের ঐতিহাসিক খাল গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম খাল। এটা পুরানো ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত একটি খাল। ইতিহাস থেকে জানা যায় প্রায় ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত এই ধোলাই খালটি খনন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। এ খালটির বিশেষত্ব হল খলটির নাম অনুসরণ করে ওই অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছে ধোলাই খাল। এই খালটি খনন করার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল যাতায়াত সুবিধা বৃদ্ধি ও বহিরাগত শত্রুদের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করা। তাই আপনারা যারা আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার ক্ষেত্রে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো সম্পর্কে জানতে চান অর্থাৎ ধোলাই খাল খনন করেন কে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাদের কাঙ্খিত এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জানিয়ে দেব। আর এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
তৎকালীন ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দে জলপথ ছিল সাধারণত প্রধান যাতায়াতের সুবিধা অর্থাৎ জল পথ ধরে মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতেন। আর তাই সেই সময়ে তৎকালীন ঢাকার প্রধান জলপথ ও নগর রক্ষা পরিখা ছিল এ ধোলাই খালটা। ধোলাই শুধু যাতায়াতের জন্য উত্তম একটি পথ ছিল না এই খালকে কেন্দ্র করে নানান ধরনের প্রতিযোগিতায় আয়োজন করা হতো। ধোলাই খাল দীর্ঘদিন সাঁতার নৌকা বাইচ ইত্যাদি প্রতিযোগিতার একটি আদর্শ স্থান ছিল। বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে খালের দুই তীরে নানা স্থানে অতীতে মেলা অনুষ্ঠিত হতো। তাছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য এই খালটি বিশেষ প্রয়োজন ছিল তার কারণ হলো পূজা শেষে হিন্দু সমাজ তাদের দেবতাদের মূর্তি ধোলাই খালে বিসর্জন দিত।
ধোলাই খাল বর্তমানে বহু পুরাতন একটি খাল যা প্রাচীন কালের অনেক ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে। তবে বর্তমানে এই খালটি অযত্ন অবহেলায় ভাগাড়ে পরিণত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে খালটি বালু নদী থেকে আরম্ভ হয়ে খালটি দুটি শাখায় বিভক্ত হয়। একটি উত্তর দিকে প্রবাহিত হয় এবং অপরটি বর্তমানে শাহবাগ এলাকার অদূরে পশ্চিমমুখী হয়ে ডানে শহরের মধ্য দিয়ে ঢাকা তেজগাঁও এলাকা অতিক্রম করে। বিখ্যাত এই খালটি সম্পর্কে অনেক ধারণা তথ্য আপনাদের কে জানিয়ে দিলাম এখন জানিয়ে দেবো খালটি খনন করেন কে। বাংলার প্রথম মুঘল সুবাদার ইসলাম খান ধোলাই খাল খনন করেন। বিখ্যাত এই খালটি প্রথম মুঘল সুবিধারের অনেক স্মৃতি বহন করে চলেছে। তবে বর্তমানে এই খালটি বিলুপ্ত হওয়ার পথে। যে খালটি এক সময় যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিল তা এখন প্রায় বন্ধের পথে।