যক্ষার জীবাণু আবিষ্কার করেন কে

যক্ষা এক ধরনের সংক্রমক ব্যাধি। যা মানুষের ফুসফুসে গিয়ে আঘাত করে। তাছাড়া ফুসফুস ব্যতীত মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশে যক্ষা আক্রমণ করতে পারে তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফুসফুসে আঘাত হানে। অতীতের মানুষের একটি স্লোগান ছিল যক্ষা হলে রক্ষা নেই। তাহলে এই রোগটি মানুষের কাছে কি পরিমান আতঙ্ক ছিল। তাই আপনারা অনেকেই যক্ষার জীবাণু আবিষ্কার করেন কে এই বিষয়টি জেনে নিতে বেশ আগ্রহী। আর জানার আগ্রহ থেকে আপনারা ইন্টারনেট সহ গুগলে বারবার সার্চ করছেন এই প্রশ্নটির উত্তরটি জেনে নেয়ার জন্য। তাই আপনাদের জন্য ও আপনাদের সুবিধার ক্ষেত্রে আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিব। আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনারা গুগলে এ সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিন।

অতীতের মানুষের কাছে যক্ষা মানেই মরণব্যাধি অসুখ। যক্ষা মানেই তার মৃত্যু নিশ্চিত এরকম একটি ভাবনা ছিল।যক্ষা একটি জীবানু ঘটিত ব্যাকটেরিয়া রোগ যা মাইকো ব্যাকটেরি য়াম বা যক্ষা জীবানু নামক একপ্রকার জীবানু দিয়ে হয়ে থাকে। যক্ষা আক্রান্ত ব্যক্তির কফ, হাঁচি কাশির মাধ্যমে যক্ষা রোগের জীবানু বাতাসে মিশে ও শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে তা সুস্থ ব্যক্তির ফুসফুসে ঢুকে বংশ বৃদ্ধি করে। এটা এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ বলে দাবি করেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এটা একটি মানুষের শরীরের থেকে অন্য একটি মানুষের শরীরে খুব সহজে প্রবেশ করতে পারে। শুধু মানুষের ফুসফুসের নয় মাথার চুল থেকে শুরু করে পা অব্দি যে কোন স্থানে এ রোগটি বংশবিস্তার করতে পারে।

একটা সময় ছিল যক্ষা মানে মানুষের কাছে আতঙ্কর একটি রোগ। যক্ষার নাম শুনলেই মানুষ আতঙ্কে কেঁপে উঠতো। মানুষ যক্ষা রোগীর কাছে যেতে ভয় পেয়ে উঠতো তার ধারের কাছে যেত না। মানুষের মাঝে প্রচলিত একটি কথা ছিল যক্ষা হলেই রক্ষা নেই। তাই প্রতিনিয়ত এই রোগটি ক্ষেত্রে মানুষ আতঙ্কে থাকতো। আমরা যেমন করোনা ভাইরাস কে যতটা ভয় পেতাম এই যক্ষা রোগটি কেউ মানুষ এতটা ভয় পেত। তখন যক্ষা রোগটিকে নিয়েও পৃথিবীর মানুষ এতটাই আতঙ্কিত ছিল। আর করোনা ভাইরাসের মতোই ভয়াবহ পরিস্থিতি ছিল পৃথিবী জুড়ে। কিন্তু ধীরে ধীরে করোনা ভাইরাসের মতো যক্ষা কেউ জয় করতে শিখেছে মানুষ। বর্তমান চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নতির কারণে যক্ষা রোগকে প্রতিহিত করতে পেরেছে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।

করোনা ভারতের মতোই অতি দ্রুত বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তো যক্ষা রোগটি। তাই মানুষের মধ্যে যক্ষা নিয়ে সচেতন তামূলক প্রচার বাড়াতে প্রত্যেক বছর ২৪ মার্চ বিশ্ব যক্ষা দিবস পালিত হয়। এই রোগটি খুব দ্রুত বাতাসের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে ফুসফুসের পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন কিডনি, মস্তিষ্ক, হাড় এবং মেরুদণ্ডেও এই যক্ষা রোগের ব্যাক্টেরিয়া প্রভাব ফেলতে পারে। যক্ষা কোনও জিনবাহিত রোগ নয়। এই রোগের বিস্তারের ক্ষেত্রেও জিনের কোনও ভূমিকা নেই। এই ব্যাক্টেরিয়া যে কোনও সময় যে কাউকে সংক্রমিত করতে পারে। বাবা-মায়ের যক্ষা হলেই সন্তনের মধ্যে যক্ষা রোগের সম্ভাবনা থাকবে, এই তথ্যের কোনও রকম সত্যতা খুজে পাওয় যায়নি।

যক্ষা একটি প্রাচীনতম রোগ। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষকে প্রাণ দিতে হয় এই যক্ষা রোগের কারণে। এই রোগটি সম্পর্কে অনেক চিকিৎসা বিজ্ঞানী তাদের গবেষণা শুরু করেন কিন্তু এই রোগের জীবাণু আবিষ্কার করে রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ওষুধ তৈরির জন্য অনেক চিকিৎসা বিজ্ঞানী ব্যর্থ হয়েছেন। তবে ১৮৮২ সালে রবার্ট কচ নামক বিজ্ঞানী প্রথম এই যক্ষা রোগের জীবাণু আবিষ্কার করেন। প্রথম এই বিজ্ঞানী যক্ষা রোগের জীবাণুটি আবিষ্কার করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বেশ সুনাম অর্জন করেছিলেন। এবং তার পরবর্তীতেই যক্ষা রোগের প্রতিশোধক আবিষ্কার করা হয়।

আপনারা যারা যক্ষার জীবাণু আবিষ্কার করেন কে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নিতে চান আমরা উপরোক্ত আলোচনা মাধ্যমে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *