বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাংস্কৃতির উপর একটি আলাদা টান রয়েছিল। তার জীবন ও কর্মে থেকে দেখা যায় শিল্প ও সংস্কৃতির উপর তার বিশেষ ভূমিকা ও অবদানে রয়েছে। তাছাড়া তার ব্যক্তি জীবন নিয়েও অনেক শত শত বই উপন্যাস নাটক গান ও চলচ্চিত্র রচিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন আমি বাঙালি বাংলা আমার দেশ বাংলা আমার সংস্কৃতি। আর এ থেকে আমরা অনেকেই জেনে নিতে চাই বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতির নান্দনিক শিল্পী বলেছে কে। তাই এই বিষয়টি জানার জন্য আমরা গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছি। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা এ বিষয়ে সম্পর্কে জেনে নিতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।
বাংলাদেশের মহান নায়ক ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রদানের মাধ্যমেই তার কাজ সমাপ্ত করেননি। বরং জাতির সাংস্কৃতিক চেতনা নির্মাণেও তার অবদান ছিল চোখে পড়ার মতো। তার ভাষণ পর্যবেক্ষণ থেকে শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক ও রাজনৈতি ক কর্মীদের প্রতি বাঙালির সংস্কৃতি বিষয়ে তিনি যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা বাঙালি জাতির জন্য একটি অনুপ্রেরণা মূলক। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে নতুন ভাবে গড়ে তোলার জন্য সাহিত্যকদের বারবার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন। জাতীয়বাদী ও এই মহান নেতা বলেছিলেন শিল্প কবি ও সাহিত্যক বৃন্দের সৃষ্টিশীল বিকাশের জন্য যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ আমি এবং আমার দল করবো।
জাতীয় সংস্কৃকৃতি কে গৌরবময় করে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে গৃহীত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি অ্যাক্ট ১৯৭৪ অনুসারে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত করে ছিল তাছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় তার ভাষণে বাংলাদে শ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে একটি জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হবে। এ থেকেই বোঝা যায়, শিল্প সংস্কৃতির বিকাশে তিনি কতটা দায়িত্ববান ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সাংস্কৃতিক চুক্তি এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রমের মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল তার প্রচেষ্টার মাধ্যমে। আর এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একটি স্বতন্ত্র বিভাগ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় সেই সময় থেকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি সাহিত্যিক সংস্কৃতিক ও শিল্পীদের খুব শ্রদ্ধা ও ভালবাসতেন। তার সব রাজনৈতিক সংগঠনিক কার্যক্রমে শিল্পী সাহিত্যিকদের আমন্ত্রণ করতেন। একটি আদর্শ সমাজ হিসেবে ও একটি আদর্শ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি শিল্প ও সাহিত্যিক ও সংস্কৃতির ওপর ভরসা করে রাখতেন। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদেশ ক্রমে ১৯৭২ সালে পহেলা বৈশাখ কে জাতীয় উৎসব হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন এবং জানতেন যে, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন। তাই তিনি রাজনীতি ও সংস্কৃতিকে পরিপূরক হিসেবে দেখেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তুমি লোকগান বাংলাদেশের দেশাত্মবোধক গান এগুলো বেশ পছন্দ করতেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর কর্তৃত্বে আরো অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠন তৈরি করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছে। তাছাড়া ১৯৭১ সালের মার্কিন সাপ্তাহিক নিউজ উইক বঙ্গবন্ধুকে আখ্যায়িত করেছিল রাজনীতির কবি হিসেবে। আর প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে আখ্যায়িত করেছেন রাজনীতির নান্দনিক শিল্পী হিসেবে। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রতিটি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না। শিল্প ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে তিনি সবসময় সবক্ষেত্রে সব ধরনের প্রাধান্য ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে গিয়েছেন।
আপনারা যারা এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো প্রকাশিত করে থাকি আমাদের ওয়েবসাইটে। আপনারা যারা এ প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জেনে নিতে আগ্রহী আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।