সতীদাহ প্রথা বিলোপ করেন কে

সতীদাহ প্রথাটি হিন্দু নারীদের জন্য অন্যতম একটি প্রথা ছিল। তাই এ প্রথা টি কোন সময় উদ্ভাবন ঘটে, কোন সময় এটা প্রচলিত হয়, সতীদাহ প্রথা বিলোপ করেন কে এইসব প্রশ্নের উত্তরগুলো গুলো জানার জন্য আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায়। আপনারা যারা এইসব প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নেয়ার জন্য গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন আমরা তাদের জন্য প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইডে গুলোতে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো নিয়মিত লিখে থাকি আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারবেন। আর এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নেয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনাকে সর্বপ্রথম সিলেক্ট করতে হবে। তারপরে আমাদের ওয়েব সাইটে থাকা আর্টিকেলটি আপনাকে ধৈর্য সহকারে পড়ে নিতে হবে চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক এই বিষয়টি সম্পর্কে।

সতীদাহ প্রথাটি ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে একটি নিকৃষ্ট তম প্রথা। এই সতীদাহ প্রথাটি আঠারো দশকের দিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। বিশ্বের অনেক কথার মধ্যে এই প্রথাটি ছিল অত্যন্ত নিকৃষ্ট ও খারাপ প্রথা। এই প্রথাটি একটি আচার হিসেবে সতীদাহের অর্থ হলো মৃত স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর সহমরণের ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা এবং ওই অনুষ্ঠানে তূরীবাদক জনতার মাঝে স্বামীর শেষকৃত্যের চিতায় আরোহণ করা। বাংলা সহ ভারত বর্ষের সকল প্রদেশে হিন্দুদের কোন কোন বর্ণের লোকেরা এই সতীদাহ প্রথাটি পালন করত বিভিন্ন ভাবে। হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষের কাছে সতী দাহ প্রথাটি একটি নিষ্ঠুরতম প্রথা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল।

হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষদের কাছে সতীদাহ প্রথাটি একটি অভিশপ্ত প্রথা হিসেবে দাঁড়িয়েছিল। এই সতীদাহ প্রথাটির মূল উদ্দেশ্য ছিল মৃত বিধবা নারীর দাই এরানোর জন্য অর্থা্ৎ বিধবা নারীর ভরণপোষণ করানোর জন্য যে দায়িত্ব অর্পিত থাকে তার পরিবার গুলোকে রেহাই দিতে এই প্রথাটি চালু করা হয়েছিল। তাছাড়া হিন্দু ধর্মের মধ্যে এমন একটি ধারণা ছিল যে তার স্বামীর সঙ্গে তার স্ত্রীকে একই চিন্তায় দাহ করতে পারলে পত্নি তার স্বামীর সহচায হতে পারবে। এই প্রথায় সতী নারীর প্রাণ উৎসবে করলে বিধবা নারীটি সতী রূপে সারা গ্রাম জুড়ে পূজোতে হবেন এবং তার নামে কোন মনস্কামনা করলে খুব সহজেই তা পূরণ হয়ে যাবে। তাছাড়া সতী নারীর সম্পত্তি অর্জনের জন্য এই প্রথাটি মূল উদ্দেশ্যটি ছিল।

বাংলার হিন্দু সমাজে যে নিষ্ঠুর অমানবিক নির্যাতন চলাতো সেটা হলো সতীদাহ প্রথা। এই সতীদাহ প্রথাটি এমনটাই অমানবিক ছিল যে কোন হিন্দু পরিবারের বধু কোনভাবে স্বামীহারা হয় তাহলে সেই স্বামীর জ্বলন্ত চিতায় সেই বিধবা নারীটিকে নববধূ রূপে সাজিয়ে তার মনের বাইরে ও ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে পুড়িয়া মারা হত। এই সতীদাহ প্রথাটি এমন একটা প্রথা ছিল জ্বলন্ত চিতায় অগ্নিদগ্ধ হওয়ার সময় সেই বিধবা নারীদের চিৎকার জন্য অন্য কোন মানুষের কানে পৌঁছাতে না পারে সেজন্য দূরে শশান ঘাটে ঢোকঢোল পিটিয়ে ঘন্টা বাজে একদল পোষাচিত নির্যাতনের মাধ্যমে এই প্রথাটি দিনের পর দিন চালিয়ে গিয়েছে যেটা একটি অমানবিক।

এই সতীদাহ প্রথাটি বন্ধ করার জন্য রাজা রামমোহন রায় বিভিন্ন ধরনের প্রমাণ নিয়ে বারবার হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে সচেতনতার সৃষ্টি করেছেন। সমাজ সংস্কারক ও বহু ভাষা বিদ রাজা রাজা রামমোহন রায়ের একান্ত প্রচেষ্টায় ১৮২৯ সালের লর্ড বেন্টিংক এ সতীদাহ প্রথাটি বিলোপ করা হয়। রাজা রামমোহন রায় হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন ধরনের শাস্ত্র হিন্দু ধর্ম লম্বীদের বিভিন্ন বই নিয়ে উক্তি তুলে ধরে সতীদাহ প্রথাটি একটি যে ভুল ধারণা সেটা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। এই প্রথাটি বন্ধ করার লক্ষ্যে রাজা রামমোহন রায় প্রায় তিনশত বিশিষ্ট মানুষের স্বাক্ষর নিয়েছিলেন। সতীদাহ প্রথাটি যে একটি ভুল ধারণা কুসংস্কার তার এই শাসনামলেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে ভুল ধারণাটি ভেঙ্গে গিয়েছিল।

সতীদাহ প্রথা বিলোপ করেন কে আশা করছি আপনারা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন। তাছাড়া আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *