বিভব শক্তি কাকে বলে

আমরা আগে জানি যে কাজ বলতে আসলে কোন কর্মকে বোঝায়। অর্থাৎ কাজ সম্পর্কে বলতে গিয়ে একথা বলা যায় যে যখন কোন বল কোন কিছুর ওপর পজিটিভ কাজ করে তখন সেখানে শক্তির সৃষ্টি হয়। শক্তি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন গতিশক্তি, স্থিতিশক্তি ইত্যাদি। আজ আমাদের দেখাতে হবে বিভব শক্তি কি কাকে বলে। আমরা তাহলে প্রথমে দেখতে পারি গতিশক্তি সম্পর্কে বলার সময় আমরা একটা এর আগে ধারণা দেখানো যেতে পারে তবে একটা বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল প্রয়োগ করে সেটাকে খানিকটা দূরত্ব নিয়ে গেলে গতিশক্তি 1/2mv2 বেড়ে যায় বলে ধরা হয়ে থাকে।

এখন আমরা আর একটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে সেখানে বল প্রয়োগ করে খানিকটা দূরত্ব অতিক্রম করার পরও যদি কোন গতি শক্তি তৈরি না হয় তবে মনে করতে হবে যে টেবিলে একটা স্প্রিং ৪.০২ উপায়ে রাখা আছে তাহলে তুমি স্প্রিং এর খোলার সময় আঙ্গুল দিয়ে এক গল্প করে স্প্রিংটাকে এক্স দূরত্বে যদি সংকুচিত করে থাকো তাহলে এরকম অবস্থায় তোমার হাত বাজবে কোনটাই গতিশীল হবে না তাই কোথাও কোন গতি শক্তি ও নেই অর্থাৎ গতি শক্তি এখানে তৈরি হবে না।

তবে এখানে বলা যায় যে যেহেতু যে দিকে বল প্রয়োগ করা হয়েছে অতিক্রান্ত দূরত্ব এক্স সেদিকে তাই কাজটি পজেটিভ এবং আমাদের কাজের সংজ্ঞা অনুযায়ী এখানে শক্তি সৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু সেই শক্তিটি আসলে কোথায় আছে সেটা আমাদের দেখার বিষয় আছে তাই এখানে নিশ্চিতভাবে কোন গতিশক্তি নেই একথাটি ঠিক বলা যেতে পারে। আমরা একথা জানি যে যখন আমরা কোন কিছুকে উপরের দিকে তুলি তখনো সেটা বিভব শক্তি অর্জন করতে পারে। তাই এক টুকরো পাথর উপর থেকে যখন ছেড়ে দেওয়া হয় সেটা নিচে নামার সময় তার গতি বাড়তে থাকে তাই সেটার মাঝে গতিশক্তির জন্ম হয় এই কারণেই এটির গতি বাড়তে থাকে বলে জানা যায়। তাই এটি সম্ভব হয় কারণ পাথরটা যখন উপরে ছিল তখন এই উপরে অবস্থানের জন্য তার মাঝে এক ধরনের বিভব শক্তি জমা হয়েছিল।

একটা পাথরকে উপর থেকে বা উপরে তোলা হলে তার ভেতরে কি পরিমাণ বিপক্ষে জমা হয় এখনো সেটা আমরা বের করে দেখতে পারি যে কত শক্তি তার মধ্যে জমা হয়েছিল। আবার মনে রাখতে হবে যে শক্তির নিত্যতার কারণে তার বিভব শক্তির পুরোটুকুই গতিশক্তি তে পরিণত হয়। আমরা একথা জানি যে আমরা যারা স্প্রিং ব্যবহার করেছি তারা অনুমান করতে পারছি যে সংকুচিত স্প্রিং এর ভেতর নিশ্চয়ই শক্তিটুকু লুকিয়ে আছে। এর কারণ আমরা জানি যে সংকুচিত স্প্রিং এর সামনে একটা ঘরের বস্তু যদি রাখা যায় তাহলে স্প্রিংটা ছেড়ে দিলে স্প্রিংটা ভরটার উপর বল প্রয়োগ করে একটা দূরত্ব অতিক্রম করতে পারতো বা পারবে যার অর্থই হচ্ছে সে কাজ করাতে পারতো।

তাই বলা যায় যে এটি একটি শক্তি গতিশক্তি না হলেও এটি অন্য এক ধরনের শক্তি। এছাড়াও আমরা জানি যে কোন বস্তুকে গতিশীল করে ফেলার অর্থ অবশ্যই সেখানে ভরপুর করা হয়েছে নইলে বস্তুটি অবশ্যই গতিশীল হবে না। আর সেই বলার জন্যই খানিকটা দূরত্ব দেওয়ার অর্থ নিশ্চয়ই সেখানে কাজ করছে শক্তি। তাই আমরা বলতে পারি যে নিশ্চিত ভাবে বলতে পারা যায় যে গতির জন্য বস্তুর যে শক্তি হয় সেটা নিশ্চয়ই এক ধরনের শক্তি বা সেটাকেই আমরা গতিশক্তি বলা হয়ে থাকে গতিশক্তি বলতে পারি। আবার যে সত্যি কোন পদার্থের মধ্যে সঞ্চিত থাকে সেটিকে স্থিতিশক্তি বলা হয়। তাহলে এখন আমরা দেখতে পারি বিভব শক্তি কাকে বলে?

বিভব শক্তি: স্থিতিশক্তির মত বিভিন্ন ধরনের সঞ্চিত শক্তিকে বিভব শক্তি বলা হয়। এই শক্তিটি কোন বস্তুর অবস্থা বা অবস্থানের জন্য তৈরি হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *