কোন বস্তুর চলাচল হলো বেগ। পৃথিবীতে আপাত দৃষ্টিতে সকল বস্তু স্থির মনে হলেও আসলে প্রত্যেকটি বস্তুই গতিশীল অবস্থায় আছে। আমরা খালি চোখে যদিও মনে করি বস্তুকনাদায় ঈদ কার্ড পাথর বাড়িঘর এগুলো স্থির অবস্থায় আছে কিন্তু পদার্থের ভাষায় এগুলো গতিশীল। কারণ পৃথিবী সব সময় ঘূর্ণায়মান অবস্থায় আছে যেহেতু পৃথিবী ঘুরনাম্যান অবস্থায় আছে এ কারণে পৃথিবীর সঙ্গে সঙ্গে সকল বস্তুই ঘোনা আছে এই কারণে বলা যায় যে পৃথিবীর সমস্ত বস্তুই ঘূর্ণায়মান বা গতিশীল অবস্থায় চলমান। আজকে আমাদের দেখাতে হবে বেগ কাকে বলে। পদার্থের বিভিন্ন ধরনের বা প্রকারের বেগ রয়েছে। এগুলি হল-
বেগ প্রধানত দুই প্রকারের। যথা:১. কৌণিক বেগ এবং ২.রৈখিক বেগ।
কৌণিক বেগ কাকে বলে: কৌণিক সরণের হারকে কৌণিক বেগ বলা হয়। অর্থাৎ কোন বস্তুর কৌণিকাকে বোঝাতে কৌণিক বেগের কথা বলা হয়ে থাকে। কৌণিক বেগের একক সাধারণত রেডিয়ান ও সেকেন্ডে প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
রৈখিক বেগ কাকে বলে: কোন বস্তুর স্মরণ রৈখিকভাবে পরিবর্তনের হারকে রৈখিক বেগ বলা হয়। অনেক সময় রৈখিক বেগ কে সরল রৈখিক বেগ বলা হয়ে থাকে। এই বেগের একক মিটার বা সেকেন্ডে প্রকাশ করা হয়।
যদি কোন বস্তুর সরণ s এবং বস্তুটি যদি t সময়ে কোন দূরত্ব অতিক্রম করে তাহলে ওই বস্তুটির বেগ v হলে এভাবে প্রকাশ করা যাবে। বেগ , v = s ÷ t
সরণ = বেগ x সময়
v * t = s
সামগ্রিকভাবে বেগের একককে মিটার/ সেকেন্ড বা m/s লেখা হয়।
বেগের মাত্রা হিসেবে লেখা হয় =LT-1
বেগ এর মান এবং অভিমুখ দুই আছে। অর্থাৎ বেগ একটি ভেক্টর রাশি। এরপর আমরা সমবেগ বলতে বুঝি, সময়ের সাথে কোন বস্তুর বেগের মান ও অভিমুখ উভয় অপরিবর্তিত থাকলে বস্তুটির বেগকে সমবেগ বলা হয়ে থাকে।
শব্দের বেগ ও আলোর বেগ হলো সমবেগের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে ধরা যেতে পারে। আবার অসম বেগ বলতে বুঝি, সময়ের সাথে কোন বস্তুর বেগের মান ও অভিমুখ অথবা উভয়ই অপরিবর্তিত হলে বস্তুর বেগকে অসমবেগ বলা হয়ে থাকে। তবে অসম বেগে নির্ণয় করতে হলে বস্তুটির বেগের মানকে গড় করতে হয়। আমরা বেগ সম্পর্কিত অনেক তথ্য বলে ফেললাম তাহলে এখন দেখা যেতে পারে বেগ কাকে বলে? আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটিতে আপনাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা বিষয়ক সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলি আমরা প্রকাশ করে থাকি। তাই আমাদের প্রশ্নের উত্তরগুলি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন এবং আমাদের সাথে থাকবেন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের ভাল লাগা প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোডও করে নিতে পারবেন।
আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন চার্জ প্রযোজ্য হবে না। তাহলে চলুন দেখি বেগ কাকে বলে
বেগ: বেগ এর ইংরেজি পরিভাষা Velocity । কোন বস্তুর স্মরণের পরিবর্তনের হার কে বেগ বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট দিকে চলমান কোন বস্তুকণার অবস্থান পরিবর্তনের হারি হল বেগ। যদি কোনো বস্তু কণার t সময়ে s সরণ হয় তাহলে বেগ, v = s/t.
অর্থাৎ আমরা আরো ভালোভাবে বললে বলা যেতে পারে যে
“একক সময়ে কোন বস্তু নির্দিষ্ট দিকে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে বস্তুটির বেগ বলা হয়।
পদার্থবিদ্যায় বেগের একটি গুরুত্ব রয়েছে। অর্থাৎ প্রাথমিকভাবে বেগ সম্পর্কে না জানা থাকলে পদার্থবিদ্যার গতি বল ইত্যাদি কোন কিছুই আমাদের মাথায় ঢুকবে না। তাই আমাদের বেগ সম্পর্কিত তথ্যটি বা পোস্টটি আপনারা ভালোভাবে ভিজিট করে নেবেন। এতে করে আপনার মাথায় বেগ সম্পর্কিত সকল তথ্যগুলি ঢুকে যাবে। যেহেতু পদার্থবিদ্যা খুব সহজ কোন বিষয় নয়। তাই আপনারা পদার্থবিদ্যায় এই অংশটি খুবই ভালোভাবে বুঝে নিবেন।