টর্ক কাকে বলে

পার্ক হচ্ছে বলের ভ্রামক। ইংরেজিতে টর্কে বাংলায় বলের ভ্রামক বলা হয়ে থাকে। বলের ভ্রামক বলতে একটি বস্তুকে কোন বল কোন অক্ষ অবলম্বন বা বিভট্টের চারিদিকে ঘোরানোর প্রবণতা কে বোঝায়। পদার্থবিজ্ঞানের বল নিয়ে আইজ্যাক নিউটন ত্রিনি যুগান্তকারী সূত্র প্রয়োগ করেছেন। বল কিভাবে কোন বস্তুর ওপর কাজ করে সেটি নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করতে পারি। বলের বস্তুর ওপর কাজ করে বা বল বস্তুর জরতা বলের প্রকৃতি ঘর্ষণ বল ইত্যাদি বিষয়গুলি আমাদের জানা উচিত। আমরা জানি নিউটনের প্রথম সূত্রে প্রথমবার বল শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে বল বলতে আমরা কি বুঝায় সেটা এখনো আমরা জানি না বা বলা হয়নি আমাদের।

এটা যদি পদার্থ বিজ্ঞানের বই নাউ হয়ে অন্য কোন জায়গা থেকে বলের কথা পায় তাহলে আমরা বলতে পারব যে বল প্রয়োগের জায়গায় শক্তি প্রয়োগ কথাটাও আমরা ব্যবহার করতে পারব। তাই আমরা দলের পরিবর্তে সত্যি কথাটাও ব্যবহার করতে পারব। আমরা এখন পর্যন্ত বলের সংজ্ঞা কি সেটা পায়নি আসলে বল কাকে বলে সেটা আমরা এখনো জানিনা। তাই আমরা বলতে পারি যে নিউটনের প্রথম সূত্রটাই বলের সংজ্ঞা হতে পারে। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি যে যার প্রয়োগের মাধ্যমে স্থির বস্তু চলতে শুরু করে আর সমবেগে চলতে থাকা বস্তুর বেগের পরিবর্তন হয় সেটাই হচ্ছে বল।

তাই নিউটনের প্রথম সূত্র থেকে বলটা কি সেটা আমরা অবশ্যই বুঝতে পারব আর ফিজিক্সের অথবা পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হলে তো বল কি সেটা আমরা অনেক ভালোভাবেই বুঝতে পারবো।আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই বল কথাটা বহুবার ব্যবহার করে থাকি এবং বলের কাজও আমরা করে থাকি। অর্থাৎ যে কোন কাজ করতে হলে আমাদের বল প্রয়োগ করতে হয়। তাই বল বল সম্পর্কে সবাই অবগত আছে বলে আমার ধারণা।

আমরা শুধু নিজেরা বল প্রয়োগ করি বা বল প্রয়োগ করে কোন কাজ করি এ ধরনের কথা শুধুমাত্র নয় আমরা সারাদিন ধরে অনেক যন্ত্র সাহায্য বা যন্ত্রের বল প্রয়োগ করেও বিভিন্ন কাজ আমাদের করে দেয়। অর্থাৎ সারাদিন আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি যেগুলি বলের দ্বারাই হয়ে থাকে। আমরা এর আগেও বলেছিলাম যে পৃথিবীতে অনেক ধরনেরই বল আছে। যেমন কোন কিছুকে ধাক্কা দিয়ে সেটাও একটা বল আবার ট্রাক যখন বোঝা টেনে নিয়ে যায় সেটাও ট্রাকের একটা বল বা যান্ত্রিক শক্তি। এই যান্ত্রিক শক্তি দিয়ে এসব যন্ত্রণা কাজ করে থাকে। বল দ্বারা যেমন ধাক্কা বা টান বোঝানো হয় তেমনি টর্ক বলতে অক্ষের চারিদিকে কোন বস্তুর ঘূর্ণন প্রবণতা বোঝানো হয়ে থাকে।

তাই গাণিতিকভাবে টক হল কোন অর্থের সাপেক্ষে ঘূর্ণনশীল বস্তুর উপর ক্রিয়ারত বল এবং অক্ষ থেকে ঐ বস্তুর দূরত্বের ভেক্টর গুণফলকে বোঝায়। তাই পদার্থবিজ্ঞানের যে বল নিয়ে আমরা আলোচনা করি সেই দলের ভ্রামক কেই টক হিসেবে আলোচনা করা হলো এখানে। অর্থাৎ বল এবং বলের ভ্রামক একই অর্থে ব্যবহৃত হয় না। টক দ্বারা যে বলে ভ্রামক কে বোঝায় তা আমরা এতক্ষণ আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম এবং আরো করে যাচ্ছি। তবে সহজ ভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে টক বলতে কোন বস্তুর সাপেক্ষে ঘূর্ণন প্রবণতাকে বুঝিয়ে থাকে।

অর্থাৎ একটি বিন্দুকে কেন্দ্র করে বল কেমন ভাবে ঘুরছে তার প্রবণতা কে কেন্দ্র করেই এই টর্ক বোঝানো হয়ে থাকে। আমরা বিভিন্নভাবে এতক্ষণ আপনাদের ত্বক সম্পর্কে বলার চেষ্টা করে গেছি। কিন্তু টর্ক কাকে বলে সে সম্পর্কে কোন সংজ্ঞা আপনাদের দেইনি। তাহলে চলুন দেখা যাক টর্ক কাকে বলে?
সংজ্ঞা: কোনো অক্ষরের সাপেক্ষে ঘূর্ণনরত বস্তুর উপর যে বিন্দুতে বল ক্রিয়াশীল ঐ বিন্দুর অবস্থান ভেক্টর ও প্রযুক্ত বলের গুণফলকে ঘূর্ণন বল বা টর্ক বলে ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *