ভাজক কাকে বলে

আমরা ছোটবেলা থেকেই অর্থাৎ প্রাথমিক শ্রেণী থেকে বিভিন্ন ধরনের গণিতের প্রক্রিয়া চিহ্ন সঙ্গে সম্পর্কিত। অর্থাৎ যখন জীবনের লেখাপড়া শুরু হয় তখন থেকে সংখ্যাগুলি আমরা লিখতে শুরু করি এরপর লেখা শেখা শেষ হলে আমাদের শুরু করতে হয় গণিত বিষয়ের পাঠ। এরপর আমরা একবার একাধিক সংখ্যার ছোট বড় নির্ণয় করা শিখি বা তুলনা করা শিখি। ছোট বা বড় সংখ্যা চেনার আমরা উপায় খুঁজি অর্থাৎ একাধিক অংকের একাধিক সংখ্যা থাকলে আমরা খুঁজে বের করি কোনটি বড় কোনটি ছোট এ ধরনের খেলা আমাদের খেলতে হয়। তাই সংখ্যাতে চারটি প্রক্রিয়া চিহ্ন ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের গণিত আমাদের করতে হয়। যোগ বিয়োগ গুন ভাগ এ সকল প্রক্রিয়া চিহ্ন ব্যবহার করে আমাদের পাটিগণিত এবং বীজগণিত সকল অংকই করে ফেলতে হয়।

প্রাথমিক শ্রেণীগুলিতে আমরা জানি যে যোগ অংক প্রাথমিকভাবে শেখানো হয় তারপর যোগ অংক শেখা হয়ে গেলে আমাদের বিয়োগ অংক করতে হয়। যোগ এবং বিয়োগ অংক যদি আমরা শিখে শেষ করতে পারি তাহলে আমাদের অবশ্যই গুণ এবং ভাগ অংকের দিকে যেতে হয় অর্থাৎ গুণ এবং ভাগ অংক শেখার চেষ্টা শুরু করে দিতে হয়। তাই আমরা যদি গুণ এবং ভাগ অংক করতে যাই তাহলে আমাদের ভাগ অংকের সেই সূত্র গুলি জানতে হবে। পাটিগণিতে ভাগ অংকের কিছু সূত্র রয়েছে এই সূত্র বা নিয়মগুলি যদি আমরা জানি তাহলে খুব সুন্দর ভাবে ভাব অংক গুলি করে ফেলতে পারব বা বুঝেও নিতে পারব। তবে তার আগে আমাদের পাটিগণ িত অংক সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নেওয়া অত্যন্ত জরুরী কারণ যেহেতু পাটিগণিত অংকের ভাগ অংক সম্পর্কে আমরা জানবো তাই।

আমরা জানি ইংরেজি Arithmetic শব্দটির বাংলা অর্থ সংখ্যার কলাকৌশল। এই Arithmetic শব্দটি গ্রিক শব্দ arithmetike থেকে এসেছে। গণিতের যে শাখায় সংখ্যা বিশেষ করে ধনাত্মক সংখ্যার যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে পাটিগণিত বলা হয়। পাটিগণিতে আমরা জানি দশটি শব্দ রয়েছে এই শব্দগুলি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সংখ্যা তৈরি করা যায়। তাই পাটিগণিতের এই দশটি সংখ্যায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা। এবং চারটি প্রক্রিয়া চিহ্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই চারটি প্রক্রিয়া চিহ্ন দাঁড়াই পার্টি গণিতের সমস্ত অংক করে ফেলা যায় না যে নিয়মের যে অংকই হোক না কেন আমরা এই চারটি প্রক্রিয়া চিহ্নের মাধ্যমেই করে থাকি। তাই আমাদের অবশ্যই এই চারটি প্রক্রিয়া চিহ্ন সম্পর্কে বা এই চারটি প্রক্রিয়া ছিল কাজ সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে আগে জ্ঞান রাখতে হবে। তবে আমাদের পাটিগণিতের অংকগুলি খুব ভালোভাবে করে ফেলতে পারব।

তাহলে চলুন আমরা ভাগ অংকের বিভিন্ন নিয়মগুলি সম্পর্কে এখন দেখে নিই। আমরা জানি ভাগ অংকের চারটি অংশ এই চারটি অংশ হল ভাজ্য ভাজক ভাগফল এবং ভাগশেষ। যে রাশিকে ভাগ করা হয় তাকে ভাবছে বলে। ভাজ্যকে ভাজক দ্বারা ভাগ করে যা পাওয়া যায় তাকে ভাগফল বলা হয়। ভাজক ও ভাগফলের গুণফল রাজ্য থেকে বিয়োগ করে যা পাওয়া যায় তাকে ভাগশেষ বলা হয়।
ভাজ্য=(ভাজক × ভাগফল)+ভাগশেষ
ভাগফল=(ভাজ্য- ভাগশেষ)÷ ভাজক
ভাজক=(ভাজ্য – ভাগশেষ) ÷ ভাগফল
ভাগ অংক সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আমরা আমাদের এই পোস্টে উল্লেখ করলাম। তবে বর্তমানে আমরা এখন ভাজক কাকে বলে সেই বিষয়টি সম্পর্কে দেখে নিতে পারি।

ভাজক কাকে বলে: যে রাশি দ্বারা ভাগ করা হয় তাকে ভাজক বলা হয়।
যদি কোন সংখ্যার শেষ অংক ০ থাকে তবে তা ২, ৫,১০ দ্বারা বিভাজ্য হয়।
কোন সংখ্যার শেষ দুইটি অংক দ্বারা গঠিত সংখ্যা ২৫ দ্বারা বিভাজ্য হলে পূর্ণ সংখ্যাটিও ২৫ দ্বারা বিভাজ্য হয়। যেমন ৬৭৫ এখানে শেষ দুইটি অংক দ্বারা গঠিত সংখ্যা ৭৫, যা ২৫ দ্বারা বিভাজ্য। সুতরাং ৬৭৫ পূর্ণ সংখ্যাটি ও ২৫ দ্বারা বিভাজ্য হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *