শবে মেরাজ মুসলমানদের জন্য একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি রাত। আর এই শবে মেরাজ উপলক্ষে মুসলমানরা নানান ধরনের নফল ইবাদত করে আর নফল ইবাদতের মধ্যে অন্যতম ইবাদত হলো রোজা। তাই অনেক মুসলমান ভাই ও বোনেরা ২০২৩ সালের শবে মেরাজের রোজা কত তারিখ এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বেশ আগ্রহী তাই তারা ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গা থেকে জেনে নিতে চাই ২০২৩ সালের শবে মেরাজের রোজা কত তারিখে এই বিষয়টি সম্পর্কে। অনেকেই শবে মেরাজের এই নফল রোজাকে অনেক ফজিলত ও তাৎপর্যপূর্ণ মনে করেন। তাই আমাদের আজকের ওয়েবসাইটে আপনাদের সুবিধার জন্য ২০২৩ সালে শবে মেরাজের রোজা কত তারিখে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দেব। দেরি না করে চলুন তাহলে জেনে নেই ই আপনাদের কাঙ্খিত এই বিষয়টি সম্পর্কে।
শবে মেরাজ একটি কোরআনিক মহাসত্য ঘটনা। এটি ইসলামের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ঐতিহাসিক একটি দিন। তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এ রাতে নফল ইবাদত করবে ও দিনে রোজা পালন করবে। শবে মেরাজ রাতটি ইবাদত বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলায় নফল রোজা রাখো কেননা, এদিন সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং আহ্বান করেন কোনো বান্দা ক্ষমাপ্রার্থী আছ কি? আমি ক্ষমা করব। কোনো বান্দার রিজিক প্রার্থী আছ কি? আমি রিজিক দেব। কোন বান্দার মধ্যে কেউ আছো নাকি যে কোনো বিপদগ্রস্ত? আমি উদ্ধার করব। এভাবে ভোর পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে আহ্বান করতে থাকেন। তোম রা আজ যা কিছু চাইবে আমি তা প্রদান করব তিনি তাই বলেন।
নবীজি শবে মেরাজের নফল রোজা সাধারণত শবে মেরাজে র আগের দিন ও পরের দিন ও শবে মেরাজের দিন পালন করতে বলেছেন। কেউ যদি শবে মেরাজের রোজা দুইটা করেন সেক্ষেত্রে কোন ক্ষতি হবে না। যেহেতু শবে মেরাজের পরেই রমজান মাস তাই এই মাসে ঘন ঘন রোজা থাকতেন আমাদের নবী। রজব মাসের পরে রমজান মাস তাই রমজান মাসের প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য আমাদের প্রত্যেকটি মুসলমানের শবে মেরাজের রোজা পালন করাটা উচিত। তাহলে রমজান মাসের অগ্রিম প্রস্তুতি হিসেবে শবে মেরাজের রোজাটা পালন করলে কোন ক্ষতি নেই। বরং এই নফল রোজার জন্য বিশেষ সোওয়াব রয়েছে।
আপনারা যারা শবে মেরাজ ২০২৩ রোজা কত তারিখে এ সম্পর্কে জেনে নিতে চেয়েছিলেন আপনাদের জন্য আমাদের আজকের এই আটিকেলটিতে এ বিষয়ে সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হলো। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জেনে নিন।
