ঈদুল ফিতর ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ। বাংলাদেশের প্রধান ধর্ম হলো ইসলাম ধর্ম। এ দেশের প্রায় ৯০% মানুষ ইসলাম ধর্মালম্বী। আর ইসলাম ধর্মে প্রধানত দুটি ধর্মীয় উৎসব রয়েছে একটি হল ঈদুল ফিতর ও আরেকটি হল ঈদুল আযহা। সারা বছর মানুষ অপেক্ষা করে এই দুটি উৎসবের জন্য। সাধারণত ঈদুল ফিতর নিয়ে মানুষের আগ্রহটা অনেক বেশি কারণ এটা এক বছর পর মুসলমানদের জীবনে উৎসবের বার্তা নিয়ে আসে। আর ঈদুল ফিতর এর প্রস্তুতিটাও মানুষ অনেক আগ থেকে নেয় তাই অনেকেই বাংলাদেশের ২০২৩ সালে ঈদুল ফিতর কত তারিখে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চাই। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেব। তাহলে দেরি না করে চলুন জেনে নিন আপনাদের প্রশ্নের এই উত্তরটি সম্পর্কে।

দীর্ঘ একমাস সিয়াম পালনের পর মুসলমানরা ঈদুল ফিতর উৎসবটি পালন করে থাকে। সমগ্র বিশ্বে মুসলিমরা অনেক আনন্দের সঙ্গে এই দিনটি পালন করে থাকে। দীর্ঘ একমাস সিয়াম পালনের পর মুসলমানদের জীবনে এক খুশির মুহূর্ত ও বার্তা নিয়ে আসে ঈদুল ফিতরটি। রমজান মাসের শেষে অর্থাৎ শাওয়াল মাসের ১ তারিখে বিশ্বের সকল মুসলিমরা পালন করে থাকে ঈদুল ফিতর টি। তবে প্রতি বছর ১ মাস পর পরই এই উৎসব আমাদের মাঝে আসে না। কারণ আরবি মাসগুলো কখনো ২৯ দিনে হয় আবার কখনো ৩০ দিনে হয় তাই কোন বছরে ২৯ দিন পরে ঈদুল ফিতরটি হয় আবার কোন বছরে ৩০ দিন পর ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। আর এ বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করে চাঁদ দেখার উপর।

বাংলাদেশ একটি মুসলিম রাষ্ট্র, প্রতিবছর এই দেশের মুসলিমরা অনেক আনন্দের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করে থাকে। প্রতিটি মানুষ তাদের পরিবার এবং আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে এ দিনটি পালন করে থাকে। ঈদ মানে খুশি তাই অনেক আনন্দ এবং খুশির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ এই ঈদুল ফিতরের ঈদ টি উদযাপন করে থাকে। আর বি ক্যালেন্ডার অনুসারে প্রতি বৎসর শাওয়াল মাসের এক তারি খে ঈদুল ফিতর উৎসব পালন করা হয়। তবে প্রতিবছর কোন নির্দিষ্ট তারিখে‌ উৎসবটি উদযাপন করা হয় না। কেননা ইসলামিক ক্যালেন্ডার চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। ইসলামি ক ক্যালেন্ডার সাধারণত ঊনত্রিশ অথবা ত্রিশ দিনে হয়ে থাকে। তাই এ বছরও বাংলাদেশে কবে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে তার নির্দিষ্ট কোন তারিখ বলা যাবে না।

প্রতিবছর ঈদুল ফিতর বাংলাদেশের মানুষ খুব জাকজমক পূর্ণভাবে পালিত করে থাকে। ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার আগেই মুসলমানরা তাদের ফিতরা আদায় করে এবং ফিতরা আদায় করে সকল গরিব ও অসহায় মানুষদের মধ্যে ফিতারা আদায় করা অর্থগুলো সঠিকভাবে বন্টন করে। যাতে সমাজের অসহায় ও গরিব মানুষগুলো অন্যান্য মানুষ গুলোর মত ঈদুল ফিতরটি আনন্দের সঙ্গে কাটাতে পারে। বাংলাদেশের আকাশে যদি শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা হয় তাহলে সেটাকে সাধারণ চাঁদ বলে বলা হয় না। সবাই সেটাকে ঈদুল ফিতরের চাঁদ বলে আখ্যায়িত করে এবং ঈদের চাঁদ বলে এবং সেই চাঁদের সম্মানের সহিত তাকে সালাম প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশের মানুষ ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার পরে ঈদের দিনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে। উক্ত দিনে সকাল বেলা ছোট,বড় ,বৃদ্ধ, নারী,পুরুষ উভয়েই ঈদের নামাজ পড়ার জন্য ঈদগাহে যাই। ঈদুল ফিতরের হালকা মিষ্টি কিছু খাবার খেয়ে নামাজে যাওয়ার সুন্নাত। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এই সুন্নত আদায় করার জন্য ঈদুল ফিতরের দিন হালকা মিষ্টি খাবার পানাহার করে ঈদগাহে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বাংলাদেশের সকল মানুষ এই ঈদুল ফিতর দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। কারণ এই ঈদটির দশ মাস পর পর বাংলাদেশের মানুষের কাছে ফিরে আসে। তাই ঈদুল ফিতরটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে অন্যতম একটি উৎসবের দিন।

আপনারা যারা ঈদুল ফিতর ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশ এ প্রসঙ্গে সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দিলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আপনাদের এই কান্ট্রিতে প্রশ্নের উত্তরটি খুব সহজে জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *