কোণ কাকে বলে

জ্যামিতিক চিত্র অংকন করতে গেলে বিন্দু রেখা তলের পরবর্তীতেই আমাদের কোণের বিষয়টি চলে আসে। এখন আমাদের দেখাতে হবে কোণ কাকে বলে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য দেওয়া থাকে। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটটিতে সকল শ্রেণীর সকল বিষয়ের সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলি অত্যন্ত সঠিকভাবে নির্ভুলভাবে সহজ সরল ভাষায় প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনাদের যে ধরনের প্রশ্নের উত্তর প্রয়োজন আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে ভিজিট করে প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখে নিতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নেওয়া যায়।

এবং আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে আপনার এক্সট্রা কোন চার্জের প্রয়োজন হবে না। সমতলে দুটি রশ্মির প্রান্ত বিন্দু একই হলে একটি কোণ তৈরি হয়। রশ্মি দুইটিকে কোণের বাহু এবং তাদের সাধারণ বিন্দুকে শীর্ষবিন্দু বলা হয়ে থাকে। রশ্মিদ্বয় যদি তাদের সাধারণ বিন্দু অর্থাৎ একটি প্রান্ত বিন্দুতে মিলিত হয়। প্রান্তবিন্দু অর্থাৎ মিলিত বিন্দুতে কোণ উৎপন্ন হয়। কোণটির অভ্যন্তরে অথবা কোন বাহুতে অবস্থিত নয় এমন সকল বিন্দুর ছেদ কে এর বহির্ভাগ বলা হয়ে থাকে। জ্যামিতিতে বিভিন্ন ধরনের কোণ হয়ে থাকে। যথা সূক্ষ্মকোণ সমকোণ স্থূলকোণ সরল কোণ প্রবৃদ্ধ কোণ সন্নিহিত কোণ বিপ্রতিক্রণ একান্তর কোণ অনুরূপ কোণ ইত্যাদি।

তাহলে আমরা দেখতে পারি এই কোনগুলো আবার কাকে বলে।

সূক্ষ্মকোণ: এক সমকোণ বা ৯০° ডিগ্রী এর চেয়ে ছোট কোণ কে সূক্ষ্মকোণ বলে।
সমকোণ: একটি সরলরেখার ওপর অন্য একটি সরলরেখা লম্বভাবে টানলে এবং লম্বের দুই পাশে অবস্থিত ভূমি সংলগ্ন কোন দুইটি সমান হলে প্রতিটি কোণকে সমকোণ বলা হয়। অথবা যে কোণের পরিমাণ ৯০° ডিগ্রি তাকে সমকোণ বলা হয়।
স্থূলকোণ: ৯০° ডিগ্রি এর চেয়ে বড় কিন্তু ১৮০° ডিগ্রি এর চেয়ে ছোট বা দুই সমকোণ এর চেয়ে ছোট কোণকে স্থূলকোণ বলে।
সরল কোণ: দুই সমকোণ বা ১৮০° কোণের সমান কোণকে আমরা সরল কোণ বলে থাকি।
প্রবৃদ্ধ কোণ: দুই সমকোণ অপেক্ষা বড় কিন্তু যার সমকোণ অপেক্ষা ছোট কোণকে প্রবৃদ্ধ কোণ বলে।

সন্নিহিত কোণ: দুটি কোণের যদি একটি সাধারন বাহু থাকে তবে একটি কোণকে অপর কোণের সন্নিহিত কোণ বলে।
বিপ্রতীপ কোণ: দুইটি সরলরেখা পরস্পর ছেদ করলে যে চারটি কোণ উৎপন্ন হয় এদের যে কোন একটিকে তার বিপরীত কোণের বিপ্রতীপ কোণ বলে। বিপ্রতীপ কোণগুলো পরস্পর সমান হয়ে থাকে।
একান্তর কোণ: দুইটি সমান্তরাল সরলরেখাকে অপর একটি সরলরেখা ছেদ করলে সেদের বিপরীত পাশে সমান্তরাল যে রেখাকোণ উৎপন্ন করে তাদের একান্তর কোণ বলে।
অনুরূপ কোণ: যখন দুইটি সমান্তরাল সরলরেখাকে অপর একটি সরলরেখা ছেদ করলে ছেদকের একই পাশে যে কোণ উৎপন্ন হয় তাদের কে অনুরূপ কোণ বলে।

পূরক কোণ: দুইটি কোণের পরিমাপের যোগফল এক সমর্পণ হলে কোন দুইটির একটি অপরটির পূরক্ষণ বলা হয়ে থাকে।
সম্পূরক কোণ: দুইটি কোণের পরিমাপের যোগফল ২০ সমকোণ হলে কোণ দুইটি পরস্পর সম্পূরক কোণ হয়।
তাহলে আমরা কোন সম্পর্কিত বিশদ আলোচনা করলাম এবং কোণ কাকে বলে কোণ কত প্রকার এ সকল কিছুই দেখে নিলাম। তাহলে এখন আমরা দেখতে পারি কোণ কাকে বলে।

কোণ: দুইটি রশ্মি পরস্পরের সাথে মিলিত হলে মিলিত বিন্দুতে উৎপন্ন জ্যামিতিক আকারকেই কোণ বলা হয়।

জ্যামিতিতে কতগুলো প্রতিজ্ঞাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে উপপাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং অন্যান্য প্রতিজ্ঞা প্রমাণে ক্রম অনুযায়ী এদের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জ্যামিতিক প্রমাণে বিভিন্ন তথ্যচিত্রের সাহায্যে বর্ণনা করা হয়।

তবে প্রমাণ অবশ্যই যুক্তি নির্ভর হতে হবে। জ্যামিতিক প্রতিজ্ঞার বর্ণনায় সাধারণ নির্বাচন অথবা বিশেষ নির্বাচন ব্যবহার করা হয়। সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে চিত্রনিরপেক্ষ বর্ণনা আর বিশেষ নির্বাচন হচ্ছে চিত্রনির্ভর বর্ণনা। কোন প্রতিজ্ঞা সাধারন নির্বাচন দেওয়া থাকলে প্রতিজ্ঞার বিষয়বস্তু বিশেষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *