জ্যামিতিতে প্রথমে বিন্দু এরপর রেখা দল তারপরে ই কনের ধারণা বুঝতে হয়। জ্যামিতিতে বিভিন্ন ধরনের কোন আমাদের পড়তে হয়। এই কোনগুলি হল – সূক্ষ্মকোণ, স্থূলকোণ বিপ্রতীপ কোণ সম্মিলিত হন কোন পূরক কোণ সম্পূরক কোণ প্রবৃদ্ধ কোণ লম্ব কোণ বা সমকোণ ইত্যাদি। দুইটি সরলরেখার যদি একটি প্রান্ত বিন্দু হয় তবে সেখানে কোন উৎপন্ন হয়ে থাকে। কোণ শেখা হয়ে গেলে আমাদের শিক্ষার্থীদের কে ত্রিভুজ এবং চতুর্ভুজ সম্পর্কিত বিষয়গুলি আস্তে আস্তে করে বুঝে নিতে হয়। তিন বাহু দ্বারা সীমাবদ্ধ সমতলক্ষে ত্রিভুজ বলা হয়ে থাকে। আমরা এর আগে জানি যে বিন্দু থেকে শুরু হয় জ্যামিতির রুপরেখা। আমরা জানি লক্ষ্যবস্তু থেকে লক্ষ্যবস্তুর দূরত্বের তুলনায় যদি ব্যাসার্ধ অতি ক্ষুদ্রতর হয় তবে সেই অবস্থানকে বিন্দু বলা হয়।
বিন্দুর বিষয় সম্পর্কে আমাদের কয়েকটি জিনিস মনে রাখতে হয় সেই তথ্যগুলি হল-বিন্দুর ক্যাবল অবস্থিতি আছে। দৈর্ঘ্য প্রস্থ ও বেধ নেই। আবার একটি বিন্দু থেকে একাধিক রশ্মি আঁকা যায়। দুইটি বিন্দুর মধ্যে সরলরেখার দূরত্বই ক্ষুদ্রতম দূরত্ব। এবং দুইটি বিন্দুর মধ্য দিয়ে একটি এবং কেবলমাত্র একটি সরলরেখা আঁকা সম্ভব। জ্যামিতি যদিও প্রাচীনকালের মানুষেরা শুধু জমির জমা মাপতো। তবে বর্তমানে আর এই জমি-জমা পরিমাপের জন্যই প্রয়োজন হয় জ্যামিতির এরকম না আজকাল জ্যামিতি শুধু পরিমাপের জন্যই ব্যবহার করা হয় না গণিতের অনেক জটিল সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য জ্যামিতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই জ্যামিতি বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই উপযোগী এবং উপকারী একটি বিষয়। প্রতিটি শিক্ষার্থীর অবশ্যই জ্যামিতি বিষয়ক ভালো জ্ঞান রাখতেই হবে নইলে এই জ্যামিতি ভালোভাবে চলতে পারবে না সে গণিতে ভালো ফল করতে পারবে না। গণিত বিষয়টিতে ভালো হওয়ার জন্য দরকার জ্যামিতিতে ভালো জ্ঞান রাখা।
জ্যামিতির প্রত্যেকটি তথ্য সম্পর্কে আমাদের অবগত হওয়া উচিত। তাই আমাদের জ্যামিতির প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হতে হবে। যেহেতু বিভিন্ন ধরনের কোণ জ্যামিতিতে পাওয়া যায় এই বিভিন্ন কোণ গুলি এখন আমরা দেখতে পারি।
সূক্ষ্মকোণ: যে কোন ৯০ ডিগ্রী থেকে ছোট তাকে সূক্ষ্মকোণ বলা হয়। অর্থাৎ একসময় পঞ্চায়েতে ছোটকনকে সূক্ষ্মকোণ বলা হয়।
স্থূলকোণ: এক সমকোণ এর চাইতে বড় কোণ অর্থাৎ 90 ডিগ্রি থেকে বড় এবং ১৮০ ডিগ্রী ডিগ্রি থেকে ছোট কোণকে স্থূলকোণ বলা হয়।
সমকোণ: একটি সরলরেখার ওপর অন্য একটি সরলরেখা লম্বভাবে টানলে এবং লম্বের দুপাশে অবস্থিত ভূমি সংলগ্ন কোন দুইটি সমান হলে প্রতিটি কোণ কে সমকোণ বলে। অথবা বলা যায় যে যে কোণের পরিমাপ ৯০ ডিগ্রী তাকে সমকোণ বলে।
সরল কোণ: দুই সমকোণ বা ১৮০° কোণের সমান কোণকে সরল কোণ বলে।
সন্নিহিত কোণ: দুইটি কোণের যদি একটি সাধারণ বাহু থাকে তবে একটি কোণকে অপর কোণের সন্নিহিত কোণ বলে।
বিপ্রতীপ কোণ: দুইটি সরলরেখা পরস্পর ছেদ করলে যে চারটি কোন উৎপন্ন হয় এদের যেকোনো একটিকে তার বিপরীত কোণের বিপ্রতীপ কোন বলে।
একান্তর কোণ: দুটো সমান্তরাল সরল রেখাকে অপর একটি সরলরেখার সেদ করলে সেদের বিপরীত পাশে সমান্তরাল যে রেখা কোন উৎপন্ন করে তাদের একান্তর কোন বলে।
অনুরূপ কোণ: দুইটি সমান্তরাল সরলরেখাকে অপর একটি সরলরেখা শেভ করলে শেবকের একই পার্শ্বে যে কোন উৎপন্ন হয় তাদেরকে অনুরূপ কোণ বলে।
আমরা বিভিন্ন ধরনের কোন সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। জ্যামিতিতে ব্যবহৃত সকল ধরনের কোন আমরা এখানে আপনাদের সামনে আলোচনা করলাম এবং তাদের সংজ্ঞা প্রদান করা হলো। তাহলে আপনারা অবশ্যই জ্যামিতির বিভিন্ন কোন সম্পর্কে ধারণা পেলেন। আমরা সম্পর্কে দুই একটি কথা বলতে পারি সেটি হল কোন ত্রিভুজের শীর্ষবিন্দু থেকে ভূমির মধ্যবিন্দুর সংযোজক সরলরেখাকে মধ্যমা বলা হয় আবার ত্রিভুদের তিনটি মধ্যমা হয় মধ্য হয় পরস্পরকে দুই অনুপাত এক এভাবে বিভক্ত করে। তাহলে চলুন দেখা যাক প্রবৃদ্ধ কোণ কাকে বলে?
প্রবৃদ্ধ কোণ: দুই সমকোণ অপেক্ষা বড় কিন্তু চার সমকোণ অপেক্ষা ছোট কোণকে প্রবৃদ্ধ কোণ বলে।