পদ কাকে বলে

পাদ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ পা। প্রাণীকুল যেমন পায়ের উপর ভর করে চলাচল করে তেমনি ভাষাও পদের ওপর ভর করে চলাচল করতে হয়। পদ শব্দের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। প্রতিটি পদ এক একটি শব্দ কিন্তু প্রতিটি শব্দ পথ নয়। বাক্যে ব্যবহৃত শব্দ সমূহের সাথে যখন বিভক্তিযুক্ত এবং অর্থ দ্বারা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত হয় তখন তাকে পদ বলে। শব্দ যদি বাক্যে ব্যবহৃত না হয়ে আলাদাভাবে অবস্থান করে তখন তাকে পদ বলা হয় না। মনে রাখার জন্য বলা যেতে পারে বিভক্তিযুক্ত শব্দই পদ বাক্যে যার গতি। বাক্যে যে কোন শব্দই ব্যবহৃত হোক না কেন সে শব্দ বিভক্তিযোগ শব্দের রূপ পাল্টিয়ে পথ হিসেবে ব্যবহৃত হতে হবে। তখন তা আর শব্দ থাকে না হয়ে যায় পদ। পদ প্রধানত দুই প্রকার যথা: ১. নাম পদ ২. ক্রিয়াপদ

নাম পদ কাকে বলে: নাম শব্দ দ্বারা শব্দ বিভক্তিযোগে যে পথ গঠিত হয় তাকেই সম্পদ বলে। যেমন: টাকায় বাঘের দুধ মিলে। এখানে টাকার সাথে “য়” , বাঘ-এর সাথে ‘এর’এবং দুধ এর সাথে শূন্য বিভক্তি যুক্ত হয়েছে, এরা এক একটি নাম পদ।
ক্রিয়াপদ: ধাতু থেকে ক্রীড়া বিভক্তিযোগে যে পদ গঠিত হয় তাকে নাম পদ বলে। যেমন: দিশান পড়ে। নাম পথকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়। সব্যয় পদ ও অব্যয় পদ।
সব্যয় পদ: যেসব পদ বিভক্তি অনুসর্গ ইত্যাদি যুক্তরূপ পরিবর্তন করে তাকে সব্যয় পদ বলে। যেমন: আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, ইত্যাদি।

অব্যয় পদ: যেসব পদে কোন অবস্থাতেই রূপের পরিবর্তন হয় না তাকে অব্যয় পদ বলে।
অব্যয় পদ: যেসব পদে কোন অবস্থাতেই রূপের পরিবর্তন হয় না তাকে অব্যয় পথ বলে। যেমন: এবং, কিন্তু ও ইত্যাদি। সবাই পাককে আবার চার ভাগে ভাগ করা যায় এগুলি হল বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম ও ক্রিয়া
বিশেষ্য পদ: যে পদ, ব্যক্তি, বস্তু, জাতি, সমষ্টি, স্থান, কাল, গুণ, ভাব বা ক্রিয়ার নাম বোঝায় তাকে বিশেষ্য পদ বলে। অর্থাৎ যে পথ কোন কিছুর নাম বোঝায় তাকে বিশেষ্য পদ বলে। যেমন: সমরেশ বাবু তার সততা ও চালচলন দ্বারা মানুষের মন জয় করেছেন। আলোচ্য বাক্যে-
সমরেশ একজন ব্যক্তির নাম ।
সততা = একটি গুণের নাম ।
মানুষ = একটি জাতির নাম ।
চলন = ক্রিয়ার নাম ।
মন = মানুষের সত্তার নাম ।

বিশেষণ পদ: যে পথ দ্বারা বিশেষ্য সর্বনাম বিশেষণ ও ক্রিয়া পদের দোষ গুণ অবস্থা সংখ্যা পরিমাণ ইত্যাদি বোঝায় তাকে বিশেষণ পদ বলে। যেমন:
বিশেষ্যের বিশেষণ-ক্লান্ত পথিক । সর্বনামের বিশেষণ-দয়ালু তিনি । বিশেষণের বিশেষণ-খুব ভাল । ক্রিয়ার বিশেষণ-আস্তে হাঁটুন।
সর্বনাম পদ: যে পথ বিশেষ্য পদের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় তাকে সর্বনাম পদ বলে। যেমন:
দিশান ভালো ছেলে, সে নিয়মিত স্কুলে যায়।
মওলানা ভাসানী মহান নেতা, তিনি মানুষের কল্যাণে চিন্তা করতেন। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র, তাঁরা দেশ স্বাধীন করেছেন।

ক্রিয়াপদ: বাক্যের যে পদ দ্বারা কোন কাজ সম্পাদন করা বুঝায়, সে পদকে ক্রিয়াপদ বলে। যেমন ইরফান বই পড়ছে। সে গতকাল বাড়ি ফিরল। আমরা দেশের সেবা করব।
এই বাক্যগুলোতে-‘পড়ছে’, পদ দ্বারা পড়ার কাজ সম্পাদন করা বুঝায়। করব’, পদ দ্বারা সেবার কাজ সম্পাদন করা বুঝায়।”ফিরল’, পদ দ্বারা ফিরার কাজ সম্পাদন করা বুঝায়। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েব সাইটটিতে শিক্ষা সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রকাশ করা থাকে। তাই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের প্রয়োজন মত যে কোন প্রশ্নের উত্তর আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারবেন।
তাহলে চলুন দেখা যাক পদ কাকে বলে?
পদ: বাক্যের অন্তর্গত প্রত্যেকটি বিভক্তিযুক্ত এবং অর্থপূর্ণ শব্দকেই পদ বলা হয়। যেমন: ইরফান ভাত খায়। এখানে ইরফান, ভাত, খায় এই তিনটি পথ আছে। প্রতিটি বাক্যের একাধিক পদ থাকতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *