পাটি গণিত অংকে চার ধরনের প্রক্রিয়া ব্যবহার করে আমরা গণিত সম্পন্ন করে থাকি। এই প্রক্রিয়া চিহ্ন গুলি হল যোগ বিয়োগ গুণ এবং ভাগ। পাটি গণিতে এই চারটি প্রক্রিয়া চিহ্ন ব্যতীত অন্য কোন ধরনের চিহ্ন তেমন ভাবে ব্যবহৃত হয় না। অর্থাৎ গণিতের যে শাখায় সংখ্যা বিশেষ করে ধনাত্মক সংখ্যার যোগ বিয়োগ গুন ভাগ ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে পাটিগণিত বলা হয়। এই পাটিগণিত অংকে মোট দশটি প্রতীক বা অংক ব্যবহার করা হয়। এই সংখ্যাগুলি হল এক দুই তিন চার পাঁচ ছয় সাত আট নয় এবং শুন্য (১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯, এবং ০)। এদের মধ্যে প্রথম নয়টি প্রতীককে স্বার্থক অংক বলা হয় এবং শেষের শূন্যটিকে বলা হয় অবজ্ঞা জ্ঞাপক অংক।
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে সংখ্যার সাথে সাথে পাটিগণিতের অন্তর্গত বিভিন্ন বিষয় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। ভারতীয় গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিদ আর্য ভট্ট কে পাটিগণিতের জনক বলা হয়ে থাকে। এই পাটিগণিতিরই একটি অংক বা গণিত হচ্ছে বিয়োগ। বিয়োগ অংকের মধ্যেই রয়েছে বিয়োজন। অর্থাৎ বিয়োগ অংকের মোট তিনটি অংশ থাকে। অংশ তিনটি যথাক্রমে বিয়োজন বিয়োজ্য এবং বিয়োগফল। প্রাথমিক গণিতগুলোতে আমাদের বিয়োগ অংক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হয়। অর্থাৎ গণিতের শুরু থেকে যোগ এরপর বিয়োগ অংক গুলি আমাদের শিখতে হয়। প্রথমে যোগ অংক শিখতে হয় এরপরেই বিয়োগ অংক শিখতে হয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে গণিতে শুরুর ধিক্কার অংক শেখায় হচ্ছে বিয়োগ অংক। তাহলে আমাদের গণিত শিখতে হলে অবশ্যই বিয়োগাংক খুব ভালো করে শিখে নিতে হবে। বিয়োগ অংক গণিতের শেখার প্রাথমিক ধারণার মধ্যেই পড়ে থাকে। গণিতের প্রাথমিক ধারণা গুলি যদি আমরা ঠিকমতো না গ্রহন করি তাহলে অবশ্যই পরবর্তীতে গণিত করতে আমাদের বেশ সমস্যায় পড়তে হবে।
তাই আমাদের উচিত হবে গণিত বিষয়টি খুব ভালো করে শেখার জন্য প্রথমে বিজ্ঞান যোগ এবং বিয়োগ অংক খুব ভালোভাবে শেখা। আপনারা আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল ধরনের তথ্য আমরা প্রকাশ করে থাকি। অর্থাৎ শিক্ষা বিষয়ক যেকোনো ধরনের তথ্য পেতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বার বার ভিজিট করুন। আমাদের ওয়েবসাইটে গণিত ইংরেজি বাংলা রসায়ন ভূগোল পদার্থ জীববিজ্ঞান আইসিটি সহ- সকল বিষয়ের তথ্য আমরা প্রকাশ করে থাকি। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি আপনারা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের এক্সট্রা কোন চার্জ এর প্রয়োজন হবে না। প্রশ্নের উত্তর বলে ডাউনলোড করে নিতে আমাদের ওয়েবসাইটের গিয়ে সেখানে ডাউনলোড অপশনে গিয়ে সেখানে দেখানো নির্দিষ্ট লিংকে ক্লিক করে প্রশ্নের উত্তরগুলি আপনি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন অনাহাসেই।
আজকে আমাদের দেখাতে হবে বিয়োজন কাকে বলে?
বিয়োজন: কোন ধনাত্মক সংখ্যা থেকে আরেকটি ছোট ধনাত্মক সংখ্যা বিয়োগ করলে সেই ধনাত্মক ছোট সংখ্যারকে বিয়োজন বলা হয়। অর্থাৎ বিয়োজ্য থেকে যে সংখ্যাটি বিয়োগ করা হয় তাকে বিয়োজন বলা হয়। বিয়জনের সূত্র হিসেবে দেখালে আমরা দেখাতে পারি যে,
বিয়োজন নির্ণয়ের সূত্র: বিয়োজন = বিয়োজ্য + বিয়োগফল৷
হঠাৎ আমরা বিয়োগ অংক করার সময় ধনাত্মক বড় সংখ্যাটিকে প্রথমে লিখি তারপর বিয়োগ চিহ্ন দিয়ে ধনাত্মক ছোট সংখ্যাটি লিখে বিয়োগ করি। এখানে বিয়োগ চিহ্ন দেওয়ার পর যে ধনাত্মক ছোট সংখ্যাটি লিখে এই ছোট সংখ্যাটি হল বিয়োজন। আর ধনাত্মক বড় সংখ্যাটি থেকে ধনাত্মক ছোট সংখ্যাটিকে বিয়োগ করার পর যে উত্তর বের হয় তাকে বিয়োগফল বলা হয়ে থাকে। হাওয়ার উপরের ফেনীতে আমরা বিয়োজন বলতে বুঝি বিয়োগ করা অর্থাৎ আমরা সেখানে যোজন বিয়োজন করে থাকি যোজন অর্থযোগ এবং বিয়োজন অর্থ বিয়োগ করা। সামগ্রিকভাবে বিয়োজন বলতে আসলে বিয়োগ বোঝায় বাদ দেওয়া বোঝায়। এছাড়া আমরা আবার জীববিজ্ঞান নিয়ে বিয়োজন বলতে এখানেও নেগেটিভ বোঝে অর্থাৎ এখানেও পরিবেশ থেকে কিছু বাদ পড়ে যাওয়াকেই বিয়োজন বলা হয় অর্থাৎ পুনরায় প্রকৃতিতে ফিরে যাওয়া কে বিয়োজন বলা হয়ে থাকে।