সাধারণভাবে একথা বলা যায় যে বিজ্ঞানের যে শাখায় সমাজের বিভিন্ন ইতিহাস বা আদ্যপ্রান্ত সকল কিছুই প্রকাশ করা হয়ে থাকে বা বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রকাশ করা হয়ে থাকে তাকে সামাজিক বিজ্ঞান বলা হয়। আজকে আমাদের দেখাতে হবে বা বলতে হবে সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে। ইতিহাস ঘাটলে একথা ও প্রিয় মান হয় যে সমাজ কথাটি বহু প্রাচীন কাল থেকেই এসেছে। কারণ প্রাচীনকালের গোহাবাসী মানুষ যখন দলবদ্ধ ভাবে বাস করত প্রাকৃতিক বিভিন্ন বিপদ এবং হিংস্র প্রাণীর বিভিন্ন বিপদ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য। তখন থেকেই মূলত সমাজের ধারণা। এবং তখন থেকেই মানুষ সামাজিকভাবে বসবাস করতে শুরু করেছে। এবং তখন থেকেই মানুষ দলবদ্ধ হয়ে বসবাস শুরু করেছে অর্থাৎ সামাজিকভাবে তাদের আচরণ গুলি প্রকাশ পেয়েছে। আমরা সকালেই একটি নির্দিষ্ট সমাজে বসবাস করে থাকি।
অর্থাৎ সমাজের নিয়ম-নীতি মেনে আমরা সমাজে বসবাস করি। প্রাচীন কালের সমাজব্যবস্থা থেকে বর্তমান সমাজেও আমরা নিয়ম নীতিগুলি মেনে চলে আসছে। অর্থাৎ মানুষকে সমাজে বসবাস করতে হলে অবশ্যই সমাজের বিভিন্ন নিয়ম কানুন আছে সেই নিয়ম কানুন গুলি মেনে চলতে হয়। সমাজের সামাজিক নিয়ম-কানুন গুলি যদি আমরা না মানতে পারি তাহলে সমাজে বসবাস করা যায় না। মানুষ আদিমকাল থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত সমাজে বসবাস করে আসছে কারণ সমাজ মানুষের কিছু চাহিদা পূরণ করে থাকে। অর্থাৎ এ কথা বলা যায় যে সমাজে থেকে মানুষ নিজের চাহিদা পূরণ সহ সকল ধর্মের ধর্মীয় রীতিনীতিতে অংশগ্রহণ করে থাকে এই কারণে মানুষ অবশ্যই সমাজে বসবাস করতে হয়। মানুষ সমাজে বাস করে এবং পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন নিয়ম নীতির রীতিনীতি ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করে এবং এগুলি পালন করে থাকে।
তাই আমরা বলতে পারি যে যে শাস্ত্র সমাজের উৎপত্তি, বিকাশ প্রত্যয় ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অর্থাৎ সমাজের সকল দিক নিয়ে সমাজবিজ্ঞান শাস্ত্রে আলোচনা করা হয়। বিভিন্ন সামাজ বিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে সমাজবিজ্ঞানের সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছেন। আমরা তাহলে এখন এই ধরনের অর্থাৎ বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানের সংজ্ঞা গুলি দেখে নিতে পারি। যেমন ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী ডুর্খেইম বলেছেন,”সমাজবিজ্ঞান হলো সমাজিক প্রতিষ্ঠান সমূহের বিজ্ঞান”। আবার সমাজ বিজ্ঞানী ম্যাকাইভারের মতে,“সমাজবিজ্ঞান ই হল একমাত্র বিজ্ঞান যা সমাজ এবং মানুষের মধ্যাকার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে”।
আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে যে ধরনের তথ্য উপাত্ত প্রয়োজন হয় তার সবগুলোই প্রায় আমরা প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনার যে ধরনের তথ্য প্রয়োজন আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে তা আপনারা দেখে নিতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি আবার আপনারা ডাউনলোড করেও নিতে পারবেন। প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন চার্জ প্রয়োজন হবে না। আমরা আমাদের এই এলাকায় সমাজ বিজ্ঞান সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য এখানে প্রকাশ করা হলো। তবে সমাজবিজ্ঞান আসলে বিজ্ঞানের একটি অনেক বৃহৎ শাখা। এই বৃহৎ শাখা কে আসলে দুই একটি কথায় আমরা তুলে ধরতে পারবো না।
এই শাখা কে বিস্তারিতভাবে আমরা বলতে হলে আরো অনেক কথাই বলতে হয়। তাহলে আমরা এখন দেখে নিতে পারি সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে। সমাজকেই শুধু একটি বিজ্ঞান হয় কিনা। যেহেতু সমাজের সাথে বিজ্ঞান শব্দটি জড়িত আছে তাই সমাজকে বিজ্ঞানের আঙ্গিকেও বিশ্লেষণ করা যায়। কারণ বিজ্ঞানের বা সমাজের সেই নিয়ম নীতির নীতিগুলি আমরা বিজ্ঞানিকভাবে বিশ্লেষণ করতে হয় তাই সমাজ কে বিজ্ঞান হিসেবেই আখ্যায়িত করা ভালো।
তাহলে চলুন দেখা যাক সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে?
সমাজবিজ্ঞান: তাই বলা যায় সমাজবিজ্ঞান একটি ল্যাটিন শব্দ Sociology শব্দ থেকে এসেছে। আবার ল্যাটিন এই শব্দটি Socious এবং logos থেকে এসেছে। Socious এই শব্দটির অর্থ হল যে সমাজ। তাই বলতে পারি সোসিওলজি শব্দটির অর্থ হচ্ছে সমাজবিজ্ঞান। তাই সমাজবিজ্ঞান সম্পর্কে Hob House বলেন, ” The subject matter of sociology is the interaction of human mind.”