সরল স্পন্দন গতি কাকে বলে

আসলে আমরা গতি বলতে বুঝি যে কোন কিছু চলার বেগ। অর্থাৎ একটি সাইকেল কত জোরে অতিক্রম করছে সেটিকে সাইকেলের গতি বলব। পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় বিভিন্ন প্রকার গতি হয়ে থাকে। অর্থাৎ আমরা আমাদের চারপাশে অনেক রকম গতি দেখতে পাই সেটি হতে পারে কারো কিছু চলার গতি কোন কিছু নড়ার গতি কিছু কাপার গতি অথবা যদি আমরা আমাদের মাথার উপর দিয়ে কোন ঘূর্ণি ঘোরায় সেটির গতি এ ধরনের বিভিন্ন প্রকার গতি সম্পর্কিত বা গতি সম্পর্কে আমরা অবগত রয়েছি। বিভিন্ন প্রকার গতির মধ্যে রয়েছে সরলরৈথিক গতি ঘূর্ণন গতি চলন গতি পর্যায় বৃত্ত গতি সরল স্পন্দন গতি ইত্যাদি।

তাই আমরা বলতে পারি যে সরল স্পন্দন গতি হলো পদার্থ বিজ্ঞানের বিভিন্ন প্রকার গতির মধ্যে এক প্রকারের গতি। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি যে কোন কিছু যদি সরলরেখা যায় তাহলে তার গতিটি আমরা বলে থাকবো সরল রৈখিক গতি। কোন কিছু যদি একটা নির্দিষ্ট বিন্দুর বা নির্দিষ্ট বিন্দুকে সমদ্বত্য থেকে বা রেখে ঘুরতে থাকে তাহলে সেটাকে বলা হয় ঘূর্ণন গতি। ঘূর্ণন গতির উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ঘড়ির কাটার গতি অথবা আমাদের মাথার উপর ঘোড়া ফ্যানের গতি ইত্যাদি। আবার যদি কোন কিছু এমন ভাবে চলতে থাকে যেন বস্তুর সকল কণা একই সময় একই দিকে যেতে থাকে তাহলে সে গতি গতিকে আমরা চলন গতি হিসেবে জানবো।

চলন গতির উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি গাড়ির প্রতিটি বিন্দু একই সময় একই দিকে একই দূরত্বে অতিক্রম করে সেটি চলন গতির উদাহরণ। এরপর আসা যাক পর্যায় বৃত্ত গতি সম্পর্কে। কোন গতিশীল বস্তু যদি নির্দিষ্ট সময় পরপর একটি নির্দিষ্ট বিন্দু দিয়ে যায় অর্থাৎ একই দিকে একইভাবে অতিক্রম করে তাহলে সেই গতিটিকে আমরা পর্যায় বৃত্ত গতি বলে জেনে থাকব। আমাদের হৃদপিন্ডের স্পন্দন পর্যায়ে বৃত্ত কারণ সেটি নির্দিষ্ট সময় পর পর একইভাবে একই দিকে স্পন্দিত বা গতিশীল হয় এই কারণে আবার পর্যাপ্ত গতি বৃত্তাকার উপবৃত্তাকার কিংবা সরল রয়েছে হতেও পারে।

ঘূর্ণন গতি ও একটি বিশেষ ধরনের আসলে পর্যাবৃত্ত গতি হিসেবেই বলা যেতে পারে। আমরা যে অহরহ বা সব সময় বিভিন্ন গতির মধ্যেই থাকি আর সেই কারণেই গতিস সম্পর্কিত সকল বিষয়গুলো যদি আমরা জানি তাহলে অবশ্যই আমাদের জন্য খুবই ভালো একটি বিষয় হতে পারে। যেহেতু আমরা আজকে জানবো স্পন্দন গতি সম্পর্কে তাই আমরা দেখতে পারি যে আমাদের চারপাশে স্পন্দনগতির অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। কি সেই স্পন্দন গতির উদাহরণ দেখা যাক স্প্রিং থেকে ভুলিয়ে দেওয়া একটি বস্তু গতি আমরা স্পন্দন গতি বলে জানতে পারি। আবার দোলনায় তুলতে থাকা শিশু কিংবা ঘড়ির পেন্ডুলাম এই ধরনের গতির উদাহরণ হিসেবে ধরা যেতে পারে।

আমরা যখন কথা বলি তখন বাতাসের অনু এই দিক দিয়ে শব্দকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায় আবার আমরা এতক্ষণ বিশেষ কয়েক ধরনের গতির কথা যে বলেছি তা কিন্তু এই গতিগুলো র কারণটি কোথাও কিন্তু বলা হয়ে ওঠেনি। তাই পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে যে এই গতি শুধু যে বস্তুর বিচিত্র গতির কারণটি খুঁজে বের করব তা কিন্তু নয় প্রতিটি সুনির্দিষ্ট ভাবেও আমরা এই গতিগুলি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে পারবো। তাই আমরা যদি পদার্থবিজ্ঞানের এই গতিগুলি সম্পর্কে ধারণা থাকে তাহলে সরল স্পন্দন গতিকে সে সম্পর্কেও আমাদের জেনে নিতে হবে।

আমরা এতক্ষণে বিভিন্ন ধরনের গতি সম্পর্কিত তথ্য গুলি জেনে নিলাম। তাহলে চলুন আমরা এখন দেখতে পারি যে সরল স্পন্দন গতি কি?
সরল স্পন্দন গতি: একটি বিশেষ ধরনের পর্যাপ্ত গতিই হচ্ছে সরল স্পন্দন গতি। অর্থাৎ স্পন্দন গতির বেলায় একটি নির্দিষ্ট বিন্দুর দুই পাশে বস্তুটি স্পন্দিত হতে থাকে। বস্তুটি আসলে একেবারে স্থির অবস্থা থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে গতিশীল হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *