শক্তি কাকে বলে

আমরা জানি কাজ করার সামর্থক এই শক্তি বলে। বিভিন্ন ধরনের শক্তি হিসেবে আমরা জেনে থাকি অর্থাৎ আমাদের বস্তু জগতে যত ধরনের বা যা কিছু দেখতে পায় তার মধ্যে দুইটি জিনিস রয়েছে একটি হচ্ছে পদার্থ অপরটি শক্তি। অর্থাৎ যেগুলি পদার্থ সেগুলিতে আমরা জানি যে যার ওজন আছে আয়তন আছে বল প্রয়োগ করলে বাধার সৃষ্টি করে তাদেরকে পদার্থ বলা হয়। অপরদিকে শক্তি হলো যেগুলি আমরা চোখে দেখতে পাই না কিন্তু অনুভব করতে পারি সেগুলিকে শক্তি বলা হয়। উজানের হিসেবে বলা যায় আলোক শক্তি তাপ শক্তি বিদ্যুৎ শক্তি ইত্যাদি। তবে শক্তির সবচাইতে সুবিধা জনক রূপ হচ্ছে বিদ্যুৎ শক্তি। কারণ এই বিদ্যুৎ শক্তি কাজে লেগে এখন গোটা পৃথিবী টি বদলে যাচ্ছে। এই সুবিধা জনক শক্তির রূপটি আমরা এখন প্রায় সকল ক্ষেত্রেই ব্যবহার করে থাকি। সকল ক্ষেত্রে না হলেও শক্তির বেশিরভাগ জায়গায় আমরা এই বিদ্যুৎ শক্তি টি কাজে লাগাতে পারছি। এই কারণে বর্তমান বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় শক্তি হলো বিদ্যুৎ শক্তি।

এবং এই বিদ্যুৎ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা এখন অনেক কিছু করে ফেলেছি বিশ্ব এখন এগিয়ে যাচ্ছে এবং চলে এসেছে মানুষের হাতের মুঠোয়। তবে পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় শক্তি বলতে কোন ব্যক্তি বা বস্তুর কাজ করার সামর্থ্যকেই বুঝিয়ে থাকে। তাই বলা যায় শক্তি হচ্ছে পদার্থের এমন একটি বৈশিষ্ট্য যার সৃষ্টি বা ধ্বংস নেই আমরা শক্তিকে শুধু এক গ্রুপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তর করতে পারি। এবং শক্তি এক বস্তু থেকে শুধু অন্য বস্তুতে যেতে পারে। তাই আমরা শক্তিকে শুধু রূপান্তর করে যাই এক রূপ থেকে আরেক রূপে। বিখ্যাত E=mc² সূত্র অনুযায়ী শক্তি পদার্থের নিহিত থাকতে পারে। শক্তির si একক হিসেবে শক্তির একক জুল।

শক্তির প্রধান উৎস সূর্যকে ধরা যেতে পারে। অর্থাৎ সূর্যায় শক্তির প্রধান উৎস। সূর্যকে আবর্তন করেই বিভিন্ন প্রকার শক্তি উৎপাদিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ আমার যে দেহের শক্তি সেটিও সূর্যের দাঁড়ায় উৎপন্ন হয়েছে। কারণ সূর্যের আলো ব্যতীত উদ্ভিদ জন্মাতে পারবে না বাস সে বেঁচে থাকতে পারবে না আর উদ্ভিদের ওপর নির্ভর করেই সকল প্রাণীরা বেঁচে আছে। অর্থাৎ সূর্যের আলো না থাকলে উদ্ভিদ আসতে পারবে না আর উদ্ভিদ না বাসলে প্রাণীরাও আসতে পারবে না। এদিক থেকে বলা যায় যে সূর্যকে আবর্তন করেই পৃথিবীর সমস্ত শক্তি আবর্তিত হচ্ছে। আর এ কারণেই সূর্যকে শক্তির প্রধান উৎস হিসেবেও গণ্য করা হয়। যেখানে যে শক্তি আছে সেটি অবশ্যই সূর্যের সৌরশক্তির ওপর টিকে আছে। অর্থাৎ আমরা তেল গ্যাস ইত্যাদি লেখনি থেকে তুলি সেটিও একসময় সূর্যের রশ্মির কারণে উৎপাদিত হয়েছে।

সূর্যের তাপ এবং আলো কারণে জীবাশ্ম জ্বালানিগুলি শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে এবং সেগুলি আমরা এখন ব্যবহার করছি। তাই সৌরশক্তিকে বাদ দিয়ে আমরা শক্তির অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারবোনা। আবার দেখা যাচ্ছে যে বিদ্যুৎ শক্তি যে আমরা ব্যবহার করছি বা সুবিধা জনক বিদ্যুৎ, এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সৌর শক্তির প্রয়োজন হয়। তেল গ্যাস ব্যবহার করে যদি আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করি সেখানেও সূর্যের অবদান রয়েছে। কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে আমাদের তেল অথবা গ্যাস ইত্যাদি শক্তির ব্যবহার করে টারবাইন ঘুরাতে হয় এবং তারপরে সেখান থেকে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদিত হয় এই কারণে বলছি যে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করতেও আমাদের সৌর শক্তির প্রয়োজন হয়। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল ধরনের তথ্য আমরা প্রকাশ করে থাকি। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নেওয়া যায়।

আমার প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন অর্থ খরচ হবে না। তাহলে এখন আমরা দেখে নিতে পারি শক্তি কাকে বলে।
শক্তি: কোন বস্তু বা ব্যক্তির কাজ করার সামর্থক এই শক্তি বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *