স্কেলার রাশি কাকে বলে

আমরা জানি রাশি দুই প্রকার একটি হল স্কেলার রাশি অপরটি ভেক্টর রাশি। আমরা জানি যে কোন গতিশীল বস্তুকণার গতি যদি এমন হয় যে এটি এর গতিপথে কোন নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পর পর একই দিক থেকে অতিক্রম করে তাহলে সেই গতিকে আমরা পর্যায়বৃত্ত গতি বলে থাকে। এই গতি বৃত্তাকার উপবৃত্তাকার সরলরেখা ইত্যাদি বিভিন্নভাবে বা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে যদি কোন বস্তু নির্দিষ্ট দিকে গড়ে কখনো সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করে সেই এটি হলো সেই বস্তুটির বেগ। অর্থাৎ বিভিন্ন বস্তু বেগ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। অর্থাৎ যেহেতু এর আগেই আমরা বলেছি যে পৃথিবীর সমস্ত বস্তু কণা গতিশীল। তবে এই গতিশীল হওয়ার কারণ হচ্ছে যে যেহেতু পৃথিবী নিজ অক্ষের ওপর সব সময় ঘটছে এই কারণে আমরা বলতে পারি যে পৃথিবীর সমস্ত বস্তু কোনায় পৃথিবীর সঙ্গে গতিশীল অবস্থায় রয়েছে।

সে দিক থেকে বলতে গেলে আমরা সব সময় গতিশীল বা পৃথিবীর সকল বস্তুই গতিশীল। তবে আজকে আমাদের রাশি নিয়ে কথা বলতে হবে অর্থাৎ রাশি যে দুই প্রকার একটি স্কেলার রাশি অপরটি ভেক্টর রাশি এই সম্পর্কে আজকে আমরা কথা বলবো। যে সকল ভৌত রাশির মান এবং দিক উভয়েই থাকে তাদেরকে ভেক্টর রাশি বলা হয়। ভেক্টর রাশির উদাহরণ হল যে স্মরণ বেগ ত্বরণ বল তড়িৎ প্রাবল্য ইত্যাদি। এই সকলকে আমরা ভৌত রাশি বলে জানি। এই রাশি গুলোকে প্রকাশ করার জন্য মান এবং দিক উভয়েরই প্রয়োজন হয়।যেহেতু মান এবং দিক উভয়েরই প্রয়োজন হয় সেজন্য এই রাশিকে ভেক্টর রাশি বলতে পারি। কারণ শুধু মান অথবা শুধু দিক দ্বারা এই রাশিগুলো সম্পর্কে আমরা কোন সাম্যক ধারণা পাবো না।

যেমন আমরা বলতে পারি যে কোন ব্যক্তির সঠিক অবস্থান নির্ণয়ের জন্য দূরত্বের সাথে দিক উল্লেখ করতে হয়। কারণ নির্দিষ্ট দিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্বে গেলেই তাকে সনাক্ত করা যাবে। আর এই কারণেই ভিক্টর রাশি কে প্রকাশ করার জন্য মান এবং দিক উভয়েরই প্রয়োজন হয়। আমরা একথা জানি যে আমাদের এই বস্তু জগতে যে সকল কিছু পরিমাপ করা যায় তাকেই রাশি বলা হয়। এবং এটাও বলা হয়েছে যে রাশিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় একটি ভেক্টর রাশি এবং অপরটি স্কেলার রাশি। আমরা এর আগে বললাম যে ভেক্টর রাশি বলতে সে সব ভৌত রাশিকে বোঝায় যেগুলি সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করার জন্য মান এবং দিক উভয়ের প্রয়োজন হয়। তাহলে এখন আমরা দেখতে পারি যে স্কেলার রাশি কি বা স্কেলার রাশি কাকে বলে।

স্কেলার রাশি হল আমরা যদি একটি গাড়ি প্রতি ঘন্টায় 40 কিলোমিটার যায় তাহলে এই বাক্যটি দ্বারা গাড়িটির দ্রুতি অর্থাৎ গাড়িটি কত দ্রুত অতিক্রম করছে সেই কথাটি বুঝতে পারি। আর গাড়ির এই গতি প্রকাশ করার জন্য গাড়িটি কোন দিকে যাচ্ছে তা আর বলার প্রয়োজন বোধ হয় না বা প্রয়োজন পড়ে না। তাই সর্বোপরি এ কথা বলা যায় যে যে সকল ভৌত রাশিকে শুধু মান দিয়ে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করতে পারি দিক নির্ণয়ের কোন প্রয়োজন পড়ে না সেই সকল রাশি কে স্কেলার রাশি বলা হয়। আমরা এতক্ষন আমাদের এই ভৌত জগতের দুই ধরনের রাশি সম্পর্কেই আপনাদের অবগত করলাম। তাহলে আপনারা এখন দেখতে পারেন বা এর মধ্যে থেকেই বুঝে নিতে পারেন যে স্কেলার রাশি কাকে বলে। যেহেতু আমরা দুই ধরনের রাশি সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আপনাদের কাছে আলোকপাত করা হয়েছে তাহলে অবশ্যই আপনারা এতক্ষণ বুঝেই নিয়েছেন যে স্কেলার রাশি কাকে বলে। তারপরেও আমরা দেখতে পারি বা সংজ্ঞাটা দিতে পারি যে স্কেলার রাশি কাকে বলে।

স্কেলার রাশি: যে সকল ভৌত রাশিকে শুধু মান দিয়ে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করা যায়, দিক নির্দেশের প্রয়োজন হয় না তাদেরকে স্কেলার রাশি বলে। স্কেলার রাশির উদাহরণ হিসেবে বেগ এবং দ্রুতির কথা বলা যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *