সরণ কাকে বলে

আমরা দূরত্ব বলতে বুঝি যে কোন বিন্দু থেকে আরেকটি কোন বিন্দুর অতিক্রম করার পথকে। আর সোজাপথে কোন বস্তু যদি পথ অতিক্রম করে সেটিকে আমরা সরণ বলে থাকি। আমরা দূরত্ব শব্দটির সাথে খুব ভালোভাবেই পরিচিত আছি। তবে সরণ শব্দটি আমাদের কাছে অপরিচিত। শব্দটি অপরিচিত হলেও আমরা প্রত্যেকদিন সরণ এর ন্যায় অনেক কাজ করে থাকি। দূরত্ব এবং সরণ অনেকটা একই জিনিস। তাই দূরত্ব বুঝে থাকলেও সরণ আমরা ভালোভাবে বুঝি না বা ব্যবহার করিনা সরণ কথাটি। আমরা এখন একটি উদাহরণের মাধ্যমে দূরত্ব এবং সরণের মধ্যে সম্পর্ক বোঝার চেষ্টা করব। একটি আঁকাবাঁকা রাস্তা ধরে যদি কোন বিন্দুর সাপেক্ষে কিছু দূরত্ব অতিক্রম করলে বা তুমি সাইকেল চালিয়ে আঁকাবাঁকা পথটি ধরে ৪ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে কোন একটা বিন্দুতে গিয়ে পৌঁছালে।

তাহলে আমরা বলতে পারব তোমার দূরত্ব চার কিলোমিটার। দূরত্ব একটি স্কেলার রাশি কাজেই দূরত্ব বোঝানোর জন্য কোন দিকের কথা বলে দিতে হবে না। সরণ বলতে বোঝানো হয় কোন বিন্দুর অবস্থানের সাপেক্ষে আরেকটি বিন্দুর অবস্থান। অর্থাৎ সরণ হচ্ছে ভেক্টর রাশি এর মান এবং দিক দুইটিই আছে। তাই বলা যায় যদি তুমি সাইকেল দিয়ে আরো দুই কিলোমিটার বেশি পথ অতিক্রম করে মোট 6 কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আরো কোন একটা বিন্দুতে পৌঁছাও তখন তোমার সরণ হবে অর্থাৎ এই দূরত্বের আঁকাবাঁকা দূরত্বের কম। যদিও তুমি আঁকাবাঁকা পথ ধরে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করেছ কিন্তু সরণ অনেক কম হয়েছে অর্থাৎ বেশি দূরত্ব অতিক্রম করলেই বেশি সরণ হবে সেটি সত্যি নয়। শুরু থেকে শেষ অবস্থানের পার্থক্য হচ্ছে সরণ।

অর্থাৎ সরণ কোনো বিন্দু থেকে আরেকটি বিন্দুর সোজা দূরত্বকেই বোঝানো হয়ে থাকে। আর এই দূরত্ব এবং সরণের এটিই পার্থক্য। দূরত্ব যতখানি হবে সরণও ততখানি হবে এটা বলা ঠিক নয়। যেহেতু দূরত্বটা শুধু সোজা পথকেই বোঝায় না আঁকাবাঁকা পথেও আমরা ৬ কিলোমিটার গেলে ছয় কিলোমিটার দূরত্ব হবে এবং ৪ কিলোমিটার গেলে ৪ কিলোমিটার দূরত্ব বুঝিয়ে থাকবো। কিন্তু সরণের ক্ষেত্রে শুধু একটি বিন্দু থেকে আরেকটি বিন্দুর সোজা দূরত্বকেই আমরা বুঝে থাকব বা সোজা দূরত্বই নেব সরণের ক্ষেত্রে। আজকে আমাদের দেখাতে হবে সরণ কাকে বলে। এতক্ষণ যে আলোচনা হল তা থেকে আমরা সরণের একটা ধারণা পেয়েছি অবশ্যই। তাহলে আমরা এই ধারণা থেকেই সরণ কাকে বলে সেটা বুঝে নিতে পারব তারপরেও সরণের একটা সংজ্ঞা আমরা দাঁড় করাতে পারি। তার আগে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটিতে আপনাদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য আমরা প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনার জীবনে বা দৈনন্দিন জীবনে যে ধরনের তথ্য বা উপাত্ত প্রয়োজন হয়ে থাকে তার সবগুলি তথ্যপত্রই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা পেয়ে যাবেন আশা করি।

আমাদের ওয়েবসাইটে থেকে তথ্যগুলি আপনারা ডাউনলোড করে। আবার আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি নিতে আলাদা কোন চার্জের প্রয়োজন হবে না। তাই আপনার দৈনন্দিন জীবনে যত ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে সব সমস্যার তথ্যগুলি আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যাবেন আশা করি। তাহলে চলুন দেখা যাক এবার সরণ কাকে বলে?
সরণ: শুরু থেকে শেষ অবস্থানের দূরত্বের পার্থক্যই হচ্ছে সরণ।
সরণ সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য আমরা এখানে দিতে পারি সেগুলি হল- দূরত্ব কিংবা সরণ, দুটোর মাত্রাই হলো দৈর্ঘ্যের মাত্রা।
[সরণ] = L (ভেক্টর)
[দূরত্ব] = L (স্কেলার)
তাই আমরা দেখলাম দূরত্ব স্কেলার রাশি এবং সরণ হচ্ছে ভেক্টর রাশি। যে রাশি শুধু একটি সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা যায় সেটাকে স্কেলার রাশি বলা হয়ে থাকে। আবার যে রাশি দ্বারা প্রকাশ করার জন্য বা যে রাশিকে প্রকাশ করার জন্য একটা দিক ও প্রয়োজন পড়ে তাকে ভেক্টর রাশি বলা হয়। তাপমাত্রা ছাড়াও স্কেলারের উদাহরণ হচ্ছে সময় দৈর্ঘ্য কিংবা ভর। আবার ভেক্টরের উদাহরণ হচ্ছে বেগ কিংবা বল এগুলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *