আমরা জানি বিদ্যুৎ প্রবাহ তৈরি করতে হয় ইলেকট্রন প্রবাহের জন্য। এই ইলেকট্রন প্রবাহিত হওয়ার সময় কিছু বাধার সৃষ্টি হতে পারে। এবং এই বাধা সৃষ্টির এই সাধারণ ভাষায় রোধ বলা হয়ে থাকে। রোধ কথাটি আসলে বৈদ্যুতিক প্রবাহের উপর বাধাকে রোদ বলে আমরা চিহ্নিত করি। তাই বলা যায় যে কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তে বিভব পার্থক্য থাকলে বিদ্যুৎ প্রবাহ শুরু হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই ইলেকট্রন নিম্ন বিভাগ থেকে উচ্চবিভের দিকে প্রবাহিত হয়ে থাকে। এই ইলেকট্রন স্রোত পরিবাহীর মধ্য দিয়ে চলার সময় পরিবাহীর অভ্যন্তরস্থিত অনুপরামানুর সাথে তারা মারামারি বা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ফলে এর গতি বাধা প্রাপ্ত হয় বা বিদ্যুৎ প্রবাহের বাধা প্রাপ্ত হয়ে থাকে বা হতে পারে। এই বিদ্যুৎ প্রবাহ বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়টিকেই আমরা রোধ বলে থাকি।
পরিবাহীর এই বাধা দানের ধর্মই হলো এক কথায় রোধ। মূলত পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য পরিবাহীর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ চলাচল বাধাগ্রস্ত হতে পারে তাই আসলে রোধ। আমরা এটাও জানি যে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হবে কিনা তা নির্ভর করছে আসলে ওই বিদ্যুৎ পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের ওপর। এছাড়াও আরো একটি বিষয় সেটি হল পরিবাহীর আকৃতি এবং উপাদান এমনকি পরিবাহীর তাপমাত্রার ওপর ও এর তড়িৎ প্রবাহের মাত্রা নির্ভর করে থাকে। অর্থাৎ এ কথা বলা যায় যে তাপমাত্রা যদি স্থির রাখা যায় তবে নির্দিষ্ট পরিবাহীর মধ্যে দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ শুধুমাত্র এর দুই প্রান্তের বিপদপার থেকে উপরই নির্ভর করবে।
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য ও এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহের অনুপাত থেকে ওই তাপমাত্রায় ওই পরিবাহীর রোধ পরিমাপ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও আরেকটি দিক সেটি হল নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট আকৃতির একটি পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ এর দুই প্রান্তের সাথে যে বিপদ পার্থক্য নিয়মে মেনে চলে এটি ঠিক। তবে এই নিয়মটির জন্য জর্জ সাইমন ওম এর একটি সূত্র প্রণয় ন করেন যা আমরা ও ‘মের সূত্র নামে চিনে থাকি বা বুঝে থাকি। ওমের সূত্রটি আমরা এখানে দিয়ে দিতে পারি- ও’মের সূত্রটি হল: তাপমাত্রা স্থির থাকলে কোন নির্দিষ্ট পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহের মান পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের মানের সমানুপাতিক হয়।
আমরা জানি রোধের এসআই একক হল ও’ ম । অর্থাৎ কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য ১ ভোল্ট এবং এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ একাম্পিয়ার হলে ওই পরিবাহীর রোধ হবে ১ ও’ম । আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ভিজিট করতে পারেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটিতে আপনাদের যে সকল বিষয়বস্তু দৈনন্দিন কাজের সময় প্রয়োজন হয়ে পড়ে সেই সকল বিষয়বস্তু নিয়ে আমরা অত্যন্ত যত্ন সহকারে আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বারবার ভিজিট করে আপনার প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তুগুলি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারবেন। আবার আমাদের এখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তুগুলি আপনারা ডাউনলোড করেও নিতে পারবেন। ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন অর্থের ও খরচ হবে না।
আমরা আমাদের এই পোস্টে এতক্ষণে রোধ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করলাম। এবং আমাদের এই আলোচনা থেকে আপনারা এতক্ষণে অবশ্যই বুঝেছেন যে রোদ জিনিসটি আসলে কি? তারপরেও আমাদের জানার স্পৃহা থাকে যে বা একটি সংজ্ঞা প্রদান করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য হয়ে পড়ে। তাই আমরা আমাদের এই লেখা থেকেই একটি রোধের সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে পারি। তাহলে আমরা এখন দেখতে পারি চলুন যে আপেক্ষিক রোধ কাকে বলে?
আপেক্ষিক রোধ: একক দৈর্ঘ্য এবং একক প্রস্থচ্ছেদ ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট কোন একটি পরিবাহীর তারের প্রস্থচ্ছেদের অবিলম্ব বরাবর বিদ্যুৎ প্রবাহে যে পরিমাণ বাধার সৃষ্টি হয় তাকে রোধ বলে।
রোধের একক Unit আপেক্ষিক রোধের একক ও’ম মিটার।