আলোর প্রতিফলন কাকে বলে

প্রতিফলন কথাটা বললেই আমাদের চোখেই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থাকার চিত্রটা ভেসে ওঠে কিন্তু মনে রাখতে হবে প্রতিফলন বিষয়টা আরো অনেক ব্যাপক। অর্থাৎ প্রতিফলন হল কোন কিছু পুনরায় ফিরে আসায় হচ্ছে প্রতিফলন। আমরা জানি আলো সবসময়ই সোজা পথে চলে। আলো কখনো বাঁকা পথে যায় না। কিছু নিয়ম মেনে আলোর প্রতিফলন হয়। প্রতিফলনের সূত্র বোঝার আগে আমাদের কয়েকটা বিষয়কে অবশ্যই জেনে নেওয়া দরকার। সেই বিষয়গুলি হলো যখন এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে আলো এসে পড়ে আমরা আপাতত ধরে নিই সেটি হচ্ছে একটা সমতল ক্ষেত্র। বিষয়টি বুঝার জন্য আমরা ধরে নেই যে আলোটা প্রতিফলিত হবে সেটা একটা আলোক রেখা বা আলোকরশ্মি যা আলোর উৎস থেকে সেই সমতল ক্ষেত্রের ওপর পড়বে। যখন একটা আলোকরশ্মি এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমের ওপর একটা বিন্দুতে এসে পড়ে প্রথমে সেই বিন্দু থেকে একটা লম্ব কল্পনা করে নিতে হয়।

যে আলোকরশ্মিটি এসে সেই বিন্দুটিতে পড়েছে এবং যে লম্বটি কল্পনা করেছে সেই দুটি রেখাকে নিয়ে একটি সমতলের কল্পনা করে নিই। প্রতিফলনের দুটি সূত্র রয়েছে। সূত্র দুটি হল- প্রথম সূত্র: আপতান রশ্মি এবং লম্ব দিয়ে আমরা যে সমতলটি কল্পনা করে নিয়েছিলাম প্রতিফলিত রশিটি সেই সমতলেই থাকবে।
দ্বিতীয় সূত্র: প্রতিফলন কোনটি হবে আপাতন কোণের সমান। প্রতিফলনের দুইটি সূত্র বলা হলেই প্রতিফলন নিয়ে সবকিছু বলা হয়ে যায় না। প্রতিফলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়মটাই বলা হয়নি সেটা হচ্ছে যে কতটুকু প্রতিফলন হবে তা নির্ভর করবে সমতল ক্ষেত্রের প্রকৃতির ওপর। আলোর প্রতিফলন কতটুকু হবে সেটার জন্য একটি সূত্র রয়েছে সূত্রটির নাম ফ্রেন্ডের সূত্র। সূত্রটা আমরা পরবর্তীতে শিখে নিতে পারব।

তবে এই সূত্র টার মূল বিষয়টা হলো আপাতন কোণ যত বেশি হবে প্রতিফলনও তত বেশি হবে। আমরা সাধারণ এক টুকরো কাছে প্রতিফলন হয় কম মাত্র চার পার্সেন্ট থেকে ৫% বাকিটা ভেতর দিয়ে প্রতিষোলিত হয়ে যায়। কিন্তু প্রতিফলন কোন যদি বেশি হয় অর্থাৎ ৮০° কিংবা ৯০ ডিগ্রি এর কাছাকাছি তাহলে প্রতিফলিত আলো অনেক বেশি বেড়ে যায়। আমরা এই বিষয়টি জানলার কাঁচের পাশে দাঁড়িয়ে পরীক্ষা করে নিতে পারি এখনই। আমরা জানি আলো যখন এক মাধ্যম থেকে আরেক মাধ্যমের যায় তখন আলো প্রতিসরণ ঘটে এবং কিছুটা আলোর শোষণ হয়। প্রথম মাধ্যম থেকে দ্বিতীয় মাধ্যমে যাবার সময় বাকিটা আলো আবার প্রথম মাধ্যমিক ফিরে আসে সেটার নামই হচ্ছে প্রতিফলন। আবার খানিকটা আলো দ্বিতীয় মাধ্যমে ঢুকে যেতে পারে সেটাই হচ্ছে আলোর প্রতিসরণ।

এবং খানিকটা আলো শোষিত হয়ে যায় সেটার নাম হচ্ছে শোষণ।কাজেই আমরা একথা বলতে পারি যে আলোর প্রতিফলন বা প্রতিসরণ ব্যাখ্যা করার জন্য যখন প্রথম এবং দ্বিতীয় মাধ্যমের কথা বলা হবে তখন একটি মাধ্যম আসলে শূন্য মাধ্যমে হতে পারে। সত্যি কথা বলতে কি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা কাজ বা পানিতে আলোর প্রতিফলন এবং প্রতিসরণের যে উদাহরণগুলো দেখি সেখান থেকে একটা মাধ্যম বাতাস অন্যটি কাজ অথবা পানিও হতে পারে। বাতাস এত হালকা মাধ্যম যে সেটাকে শূন্য মাধ্যম ধরে নিলে এমন বড় কোন ভুল হবে না বলে আশা করি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল ধরনের তথ্য উপাত্ত আমরা প্রকাশ করে থাকি। এবং এই তথ্য উপাত্তাবলী অত্যন্ত নির্ভুল হওয়ার কারণে সকলের কাছে সঠিক বলে মান্যতা পায়।

আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা আপনাদের পছন্দ কৃত প্রশ্নের উত্তর গুলি ডাউনলোড করেও নিতে পারবেন অন্যান্য চার্জ ছাড়া। তবে চলুন এখন দেখা যাক আলোর প্রতিফলন কাকে বলে?

আলোর প্রতিফলন: আলো যখন একটি মাধ্যম থেকে আরেকটি মাধ্যমে যাবার সময় খানিকটা আলো আবার প্রথম মাধ্যমেই ফিরে আসে সেটার নামই হচ্ছে আলোর প্রতিফলন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *