অনুপাত কাকে বলে

আমরা জানি যে অনুপাত অর্থ হলো তুলনা করা। যদি দুটি একই জাতীয় রাশির একটি অপরটির তুলনায় কত গুণ বা কত অংশ তা একটি ভগ্নাংশ আকারে প্রকাশ করা হলে সেই ভগ্নাংশটিকে রাশি দুইদিন অনুপাত বলা হয়ে থাকে। এর কোন একক নেই তবে অনুপাতের একটি গাণিতিক চিহ্ন রয়েছে। অনুপাতের গাণিতিক চিহ্ন কে ইংরেজিতে ইসটু এবং বাংলায় অনুপাত বলা হয়ে থাকে। তবে এই গাণিতিক চিহ্নটি হল ( : )। আমরা গণিতের মাধ্যমে এই অনুপাতকে বুঝিয়ে দিতে পারি সেটি হচ্ছে যে- ধরি ক এর মাসিক বেতন ৭ ০০০ টাকা এবং খ এর মাসিক বেতন ৯ হাজার টাকা। তাহলে ক ও খ এর মাসিক বেতনের অনুপাত হবে- ৭০০০:৯০০০ বা ৭:৯ । আবার কোন অনুপাতে উভয়ের আশিকে একই সংখ্যা দ্বারা প্রয়োজন অনুযায়ী গুণ বা ভাগ করা যেতে পারে।

যেমন- ৩:৪ কে আমরা লিখতে পারি (৩×২): (৪×২) বা ৬:৮ এভাবে লেখা যেতে পারে। একটি অনুপাতের দুইটি রাশি থাকে। প্রথমটিকে বলা হয় পূর্ব রাশি এবং পরের থেকে বলা হয় উত্তর রাশি। এখানে আমরা যে প্রথম অনুপাত দেখিয়েছি ৭:৯ এই অনুপাতটিতে আমরা সাপকে পূর্ব রাশি এবং নয়কে উত্তরটা সেই হিসেবে বলতে পারি। অনুপাত বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। এগুলোর মধ্যেই হল মিশ্র অনুপাত ব্যস্ত অনুপাত দিগনাপাত িত অনুপাত সরল অনুপাত ইত্যাদি। তাহলে এখন আমরা দেখতে পারি এই অনুবাদ গুলি কাকে বলে।
মিশ্র অনুপাত (Mixed or Compound Ratio): দুই বা ততোধিক অনুপাতের পূর্ব রাশি গুলোর গুণফলকে পূর্ব রাশি এবং উত্তর রাশি গুলোর গুণফলকে উত্তর রাশি ধরে যে অনুপাত হয় তাই মিশ্র অনুপাত।

যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে- ৫:১৮, ৭:২ এবং ৩:৬ এর মিশ্র অনুপাত হলো ১০৫:২১৬।
ব্যস্ত অনুপাত (Inverse Ratio): কোন অনুপাতের পূর্ব রাশি ও উত্তর রাশি যদি স্থান বিনিময় করে তবে তাকে বলা হয় ব্যস্ত অনুপাত। যেমন- ৩:৪ এর ব্যস্ত অনুপাত হলো ৪:৩ ।
দ্বীগুণানুপাত (Duplicate Ratio): অর্থাৎ কোন অনুপাতের বর কই হল তার দ্বিগুণানুপাত। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে যে ৩:৪ এর দ্বিগুণ অনুপাত হলো ৩ এর বর্গ অনুপাত চার এর বর্গ বা ৯:১৬ ।
বিভাজিত অনুপাত (Sab – duplicate ratio): কোন অনুপাতের বর্গমূল হলো তার দ্বিভাজিত অনুপাত কে বুঝায়। যেমন- ৯:১৬ এর দ্বিপাদিত অনুপাত হলো- ৩:৪।

সরল অনুপাত (Sample Ratio): অনুপাতের মধ্যে দুইটি রাশি থাকলে তাকে সরল অনুপাত বলে। আচ্ছা সরল অনুপাতের প্রথম রাশি কে পূর্ব রাশি এবং দ্বিতীয় রাশিকে উত্তর রাশি বলে। যেমন- ৩:৪ একটি সরল অনুপাত। এর দিন হলো পূর্ব রাশি ও ৪ হল উত্তর রাশি। আমরা সমানুপাতের কয়েকটি ধর্ম উল্লেখ করতে পারি। এই ধর্ম গুলি হল-
চারটি রাশি সমানুপাতী হলে প্রাণপ্রিয় রাশি দুই টির মানের গুণফল মধ্য রাশি দুইটির মানের গুণফল এর সমান হয়। আবার সমানুপাতের অনুপাত দুইটির ব্যস্ত অনুপাত ২টি ও সমান হয়ে থাকে।

চারটি এক জাতীয় রাশি সমানুপাতী হলে প্রথম ও তৃতীয় রাশির অনুপাত হয় দ্বিতীয় ও চতুর্থ রাশির অনুপাতের সমান। তাহলে আমরা অনুপাতের সকল কিছুই আপনাদের অবগত করার জন্য এই পোস্টে তুলে ধরা হলো। অনুপাতের সকল ধরনের অংকের ক্ষেত্রে আপনাদের আর সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ অনুপাতের আদ্যপ্রান্ত সবই বলা হয়েছে।

তারপরে এখন দেখা যাক অনুপাত কাকে বলে? চলুন দেখি
অনুপাত: অনুপাত শব্দের অর্থ হলো তুলনা করা। দুইটি একই জাতীয় রাশির একটি অপরটির তুলনায় কত গুণ বা কত অংশ তা একটি ভগ্নাংশ আকারে প্রকাশ করলে এই ভগ্নাংশটিকে রাশি দুইটির অনুপাত বলা হয়।
এ ধরনের তথ্য পেতে আপনারা আপনাদের handset থেকে বা স্মার্টফোন থেকে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *