রাশি কাকে বলে

রাশি বলতে মূলত আমরা যা কিছু পরিমাপ করতে পারি তাকে রাশি বলা হয়। পদার্থবিজ্ঞানে সাধারণত রাশিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা স্কেলার রাশি বা অধিক রাশি এবং দিক রাশি বা ভেক্টর রাশি। আবার এটা বলা হয় যে যেসব রাশি প্রকাশের জন্য মানবিক উভয়টি প্রয়োজন হয় তাকে ভেক্টর বা দিক রাশি বলা হয়ে থাকে। ভেক্টর রাশির উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি বেগ, ত্বরণ ,সরণ, বল, তড়িৎ প্রাবল্য, ইত্যাদির মান এবং দিক উভয়েই থাকার কারণে এদেরকে ভেক্টর রাশি বলা হয়। আবার দৈর্ঘ্য ভর সময় তাপমাত্রা তাপ কাজ ইত্যাদি প্রকাশের জন্য দিক দরকার হয় না তাই এ সকল রাশিকে স্কেলার বা অধিক রাশি বলা হয়। তাই বলা হয় যে যেসব রাশি প্রকাশ করার জন্য শুধু মানের প্রয়োজন হয় দিকের কোন প্রয়োজন হয় না তাকে স্কেলার রাশি বলা হয়ে থাকে।

তাই আরো ভালো করে বললে বলা যায় যে ভৌত জগতে যা কিছু আমরা পরিমাপ করতে পারি বা পরিমাপ করা যায় তাকে ভৌত রাশি ইংরেজিতে Physical quantity বলে। এবং আমাদের চারপাশে যে সকল জড়বস্তু রয়েছে সে সকলকেই নিয়ে আমাদের ভৌত জগত গঠিত। যেমন চেয়ার টেবিল কম্পিউটার টিভি আলমারি ফ্যান খাট জানালার দরজা ইত্যাদি সকলকে নিয়েই ভৌত জগত গঠিত হয়। এই জগতে আবার বেশ কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলো আমরা শান্তিকভাবে পরিমাপ করতে পারি। এবং কিছু বিষয় আছে যেগুলি আমরা শান্তি কিভাবে পরিমাপ করতে পারি না।

তাই এ কথা বলা যায় যে যা কিছু পরিমাপ করা যায় যার পরিমাপ একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা দিয়ে নির্দেশ করা হয়ে থাকে পদার্থ বিজ্ঞানে তাকেই রাশি হিসেবে পরিচিত হয় বা বলা যায়। আবার অন্যদিকে এ কথা বলা যায় যে দুঃখ কষ্ট ব্যথা আনন্দহস্য বিষাদ ইত্যাদি বিষয়গুলি আমাদের মাঝে থাকলেও আমরা তা কখনো সংখ্যা দিয়ে পরিমাপ করতে বা সূচিত করতে পারি না। তাই এগুলোকে আমরা ভৌত রাশি হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি।

পদার্থবিজ্ঞানে আবার মৌলিকত্বের দিক থেকে রাশিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। অর্থাৎ মৌলিকত্বের দিক থেকে রাশি দুই প্রকারের হয় যথা: মৌলিক রাশি এবং লব্ধ রাশি। যেসব রাশি অন্য কোন রাশির উপর নির্ভরশীল নয় তাকে পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় মৌলিক রাশি বলে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে দৈর্ঘ্য ভর সময় তাপমাত্রা ইত্যাদি। আবার যে সকল রাশি সাধারণত মৌলিক রাশির ওপর নির্ভরশীল বা মৌলিক রাশি ছাড়া নিজে নিজে প্রকাশ হতে পারেনা তাদেরকে লব্ধ রাশি বলা হয়ে থাকে। যেমন: বেগ, ত্বরণ, বল ইত্যাদি লব্ধ রাশির উদাহরণ। লব্ধ রাশিকে আবার কখনো কখনো যৌগিক রাশিও বলা হয়ে থাকে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটি তে আপনাদের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থাৎ দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন এ আসে এ ধরনের সকল তথ্য গুলি আমরা প্রকাশ করে থাকি।

এবং আমাদের প্রকাশিত তথ্যগুলি অত্যন্ত সুন্দর সহজ সরল সাবলীল ভাষায় হয়ে থাকে বলে যে কোন ব্যক্তির জন্যই তা বোধগম্য হয়। তাই আমরা দেখলাম পদার্থবিজ্ঞানে প্রথমত রাশি দুই প্রকার একটি হচ্ছে স্কেলার রাশি অপরটি ভেক্টর রাশি অপরদিকে আবার দেখলাম যে মৌলিকত্বের দিক থেকেও রাশি দুই প্রকার একটি হচ্ছে মৌলিক রাশি আরেকটি লব্ধ রাশি। তাহলে আমরা আমাদের এই লেখায় আপনাদের জন্য রাশি সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্যই উপস্থাপন করলাম। তাই আপনারা এখান থেকে এতক্ষণে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে পদার্থ বিজ্ঞানের রাশি কাকে বলে এবং রাশি কত প্রকার ও কি কি। তাই চলুন দেখা যাক রাশি কাকে বলে?

রাশি: আমাদের এই ভৌত জগতে যে সকল বিষয় আমরা সান্তিকভাবে পরিমাপ করতে পারি তাদেরকে রাশি বলা হয়। অর্থাৎ এই ভৌত জগতে যা কিছু পরিমাপ করার যোগ্য অর্থাৎ যা কিছু পরিমাপ করা যায় তাকে রাশি বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *