প্রেষণা হলো প্রতিষ্ঠানের সচল রাখে এমন সাকাকে আমরা বলতে পারি প্রেষণা। অর্থাৎ এসো না যে কোন প্রতিষ্ঠানের চাকা কে সচল রাখে এবং কর্ম উদ্দীপনার পরিবেশ সৃষ্টি করে থাকে। কর্ম উদ্দীপনার সৃষ্টি করে শিল্প সম্পর্ককে গতিশীল রাখে এবং সর্বোপরি প্রাতিষ্ঠানিক জীবনে সজীবতা আনার ক্ষেত্রে প্রেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রেষণা কর্মীদেরকে উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে কর্মে সচল রাখার জন্য যেকোনো কাজ করে থাকে। অর্থাৎ কর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনা দানে তথা প্রণোদনা দানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কাজে উদ্বুদ্ধ করতে থাকে এবং এই প্রক্রিয়াকেই আমরা প্রেষণা বলতে পারি।
আমাদের বর্তমান সমাজে দুই ধরনের প্রতিষ্ঠান আমরা পরিলক্ষিত করতে পারি একটি হল সেবামূলক প্রতিষ্ঠান অন্যটি উৎপাদন মূলক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান যে ধরনেরই হোক না কেন সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের কর্মচারীদের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে হয়। এবং এই উদ্দীপনা সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হয়। যে ধরনের প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন সেই প্রতিষ্ঠানকে সচল রাখার জন্য প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে শ্রমিক কর্মী তথা মানবসম্পদ। যদি কোন প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদেরকে সঠিক মূল্যায়ন না করা হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তা এরা কেউই ভালোভাবে কাজ করতে চায় না।
তাই এই শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাগণকে ভালোভাবে কাজ করানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনামূলক কাজ করতে হয়। এই প্রণোদনা কখনো অর্থের কখনো অন্যভাবেও হতে পারে। তাই শ্রমিক কর্মচারীদের কে সবসময়ই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সঠিক মূল্যায়ন করতে হবে এবং তাদেরকে তাদের যথাযথ পাওনা মিটিয়ে দিতে হবে প্রয়োজনে বেশি কাজ করানোর জন্য কখনো কখনো বেশি অর্থ অর্থাৎ প্রণোদনাও দিতে হয় তাদেরকে। আর যদি প্রণোজনের না দেওয়া হয় তাহলে তাদের সেই ইসলামকে সঠিকভাবে তারা প্রতিষ্ঠানকে দিবে না। অর্থাৎ কর্মদক্ষ তার ১০০% যদি প্রত্যেক কর্মচারী দিয়ে থাকে তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান অবশ্যই ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারে। এবং কর্মচারীদের যে কোন কাজই হোক তারা ভালবেসে সেই কাজগুলি সঠিক সময়ে মধ্যে শেষ করে ফেলার চেষ্টা করবে। প্রয়োজনে তারা অতিরিক্ত কাজ করেও সেই কার্যকে সম্পাদন করবে সঠিক সময়ে।
এই কারণে মালিকপক্ষকে অবশ্যই কর্মীদের কাজ করানোর জন্য যথাযথ মূল্যায়ন এবং তাদের যথাযথ পারিশ্রমিক দিতে হবে। শ্রমিক কর্মচারীদের যদি যথাযথ মূল্যায়ন করা না হয় তাহলে তারা অবশ্যই কর্ম ক্ষেত্রে তাদের ১০০% কখনোই দিবেনা না। তাদের কাছ থেকে ১০০% কাজ আদায় করতে হলে তাদের কেউ কিছু দিতে হবে। একটি প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা গন যে সকল কাজ করে থাকে সেগুলো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল কর্মীদের কাজে অনুপ্রাণিত করা। অর্থাৎ কর্মকর্তাগণ যেভাবেই পারুক কর্মচারীদের কাজে অনুপ্রেরণা দান করতেই হবে সেটি আর্থিকভাবেই হোক বা অন্য কোনো প্রণোদনা দিয়েই হোক এটি সবার আগে প্রয়োজন। কর্মীদের প্রত্যাশা চিন্তা চেতনা প্রতিটি কাজের প্রকৃতি কার্য পরিবেশ ইত্যাদি বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন আর্থিক এবং অনার্থিক সুবিধা বি প্রদান করতে হয় যাতে তারা তাদের দ্বারা যে কার্য সম্পাদন হয় সে কার্য গুলি ভালোভাবে ভালো মতো করতে পারে এবং খুশি মনে নিজের মনে করে করতে থাকে।
তাই যে কোন প্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য দক্ষ কর্মকর্তার প্রয়োজন হয়। কর্মকর্তাগণ যদি দক্ষ না হয়ে থাকেন তাহলে তার কর্মক্ষেত্র অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি ভালোভাবে চলতে পারে না। কারণ প্রতিটি প্রতিষ্ঠান একজন চালাতে পারে না সকলকে নিয়েই প্রতিষ্ঠান হয়। প্রতিষ্ঠানের বিষয়টি লক্ষ্য রেখে কর্মকর্তাগণ কর্মচারীদের বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দিতে হবে যাতে তারা তাদের দায়িত্ব পালন সঠিকভাবে করে থাকে। প্রেষণা সম্পর্কে আমরা এতক্ষণ বিভিন্ন ধরনের কথা আপনাদের তুলে ধরলাম। তবে এখন দেখতে হবে আমাদের প্রেষণা কাকে বলে? তাহলে চলুন দেখা যাক প্রেষণা কি
প্রেষণা: যে প্রক্রিয়ায় কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে কর্মীদের কাজে উৎসাহিত, প্ররোচিত ও অনুপ্রাণিত করা হয় তাকে প্রেষণা বলে।