পীড়ন কাকে বলে

সাধারণত পীড়ন একটি মান নির্দেশ করে। অর্থাৎ কোন বস্তুর ওপর বাইরে থেকে কোন বল প্রয়োগ করা হলে বস্তুর আকার বা আয়তনের পরিবর্তন ঘটে থাকে তাকেই পীড়ন বলা হয়। এই পরিবর্তনকে বাধা দেওয়ার জন্য ভেতর থেকে একটি বল বা এক ধরনের বাধা দানকারী দলের সৃষ্টি হয়ে থাকে। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা কাজে বলের ব্যবহার করে থাকি তখন আমাদের মনে হতে পারে কোন কোন বল প্রয়োগ করতে হলে স্পর্শ করতে হয় আবার এটাও আমরা লক্ষ্য করি যে কোন কোন বল প্রয়োগের জন্য স্পর্শ করতে হয় না। অর্থাৎ কোন কিছু ছেড়ে দিলে মধ্যাকর্ষণ শক্তির মাধ্যমে নিচে পড়ে যায় এবং চুম্বকের আকর্ষণের কারণে স্পর্শ না করলেও চলে আসে। কাজেই আমরা বলকে স্পর্শ এবং অস্পর্শ দুই ধরনের বল ভাগ করতে পারি।

কিন্তু আমরা এটা জানি যে আমরা যেখানে স্পর্শ করছি বলে ধারণা করছি সেখানে কিন্তু পরস্পরের অনুপরমানু তাদের ঘিরে ঘুরনাম্যান ইলেকট্রন সরাসরি স্পর্শ দিয়ে নয় তাদের তড়িৎ চৌম্বক বল দিয়ে একে অন্যের সাথে কাজ করছে। এজন্য আবার আমরা অন্য কথাই বলতে পারি যে আমরা যদি পারমাণবিক পর্যায়ে চলে যায় তাহলে সব বলি অস্পর্শক কোন এক পরমাণু অন্য পরমাণুকে আকর্ষণ বিকর্ষণ করে দূর থেকে তাদেরকে আক্ষরিক অর্থে স্পর্শ করতে হয় না। বস্তুর প্রতি একক ক্ষেত্রফল বরাবর লম্বভাবে সৃষ্ট বাধা দানকারী বলের মান্য কে পীড়ন বলে অভিহিত করা যায়। বল কে ক্ষেত্রফল দিয়ে ভাগ করা হলে পীড়নের মান পাওয়া যায় বা পীড়ন পাওয়া যায়। তাই পিরণকে একটি স্কেলার রাশি হিসেবে দেখা হয়। কারণ হিরনের কোন দিক নেই।

আবার কোন বস্তুর প্রস্থচ্ছেদ বা তলের প্রতি একক ক্ষেত্রফলের ওপর প্রযুক্ত আসহভরকে অসহকিরণ বলা হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অর্থাৎ এসআই পদ্ধতিতে পীড়নের একক প্যসকেল। আবার পীড়নের মাত্রা হলো- [ML-1T-2] অর্থাৎ সাপের মাত্রীয় সংকেত ও পিরনের মাত্রার সংকেত একই হয়ে থাকে। আমরা জানি কোন বস্তুর ওপর প্রযুক্ত বল যদি বেশি হয় তাহলে সেই বস্তুটি হয় ভেঙ্গে যায় না বলে ছিঁড়ে যেতে পারে বা ছিঁড়ে যায়।
পদার্থ বিজ্ঞানের বিভিন্ন প্রকার পীড়ন হয়ে থাকে।

এগুলি হল- পীড়নের বিভিন্নতা, বাম দিক থেকে Compression= চাপন বা সঙ্কোচন, Tension=পীড়ন, Shear= বিভাজন, Bending= নমন,Torsion= ব্যাবর্তন, Fatigue= আবল্য। আবার প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে আমরা তিন ধরনের প্রেরণ দেখতে পাই। যথা: ১) দৈর্ঘ্য বা টান পীড়ন ২) আয়তন পীড়ন এবং ৩) ব্যাবর্তন পীড়ন
দৈর্ঘ্য বা টান পীড়ন: দৈর্ঘ্য বিকৃতি প্রতিরোধ করার জন্য বস্তুর একক ক্ষেত্রফলের ওপর বাধা দানকারী যে ধরনের বলের সৃষ্টি হয় তাকে দৈর্ঘ্য বা টানপিড়ন বলা হয়।
আয়তন পীড়ন: আয়তন বিকৃত প্রতিরোধ করার জন্য বস্তুর ওপর জেট প্রযুক্ত বল বা বাধা দানকারী বল প্রয়োগ করা হয় তাকে আয়তন পীড়ন বলা হয়।

ব্যাবর্তন পীড়ন: ব্যাবর্তন বিকৃতি প্রতিরোধ করার জন্য বস্তুর একক ক্ষেত্রফল বরাবর যে বাধা দানকারী বল প্রয়োগ করা হয় তাকে ব্যাবর্তন পীড়ন বলে। আবার এই ধরনের পিরনকে মোচর পিড়নও বলা হয়ে থাকে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটিকে ভিজিট করতে পারেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইট দিয়ে শিক্ষা স্বাস্থ্য চিকিৎসা বিষয়ক সকল ধরনের তথ্য আমরা আমাদের এখানে দিয়ে থাকি। তাই আপনাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যে কোন জিনিস আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে খুঁজে নিতে পারবেন।

তাই আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো ধরনের তথ্য উপাত্য প্রয়োজন হলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে সেখান থেকে দেখে নিলে সঠিক তথ্যবহুল ও উপাত্তগুলি আপনারা পেয়ে যাবেন বলে আশা রাখি। পীড়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আপনাদের এখানে তুলে ধরলাম। তাই এখন পীড়ন এর সংজ্ঞা দেওয়া আবশ্যক। তাহলে চলুন দেখা যাক পীড়ন কাকে বলে।

পীড়ন: বস্তুর প্রতি একক ক্ষেত্রফল বরাবর লম্বভাবে সৃষ্ট বাধা দানকারী বলের মানকে পীড়ন বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *